যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর চরে চরে মরিচের ফলন
- আপডেট টাইম : ০৩:৪৪:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
- / 134
যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর চরে চরে মরিচের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। চরগুলোতে কাঁচা মরিচের পাশাপাশি লাল শুকনা মরিচের ঝাঁজ ছড়িয়ে পড়ছে এলাকাজুড়ে। লাল মরিচ তোলা ও শুকানোর কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই এলাকার কৃষান-কৃষাণীরা।
জানা গেছে, বগুড়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মরিচের আবাদ হয়ে থাকে সারিয়াকান্দিতে। এ উপজেলার যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর চরাঞ্চলের জমিগুলোতে মরিচ আবাদ বর্তমানে অর্থকরি ফসল হিসেবে পরিণত হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চাষ করা স্থানীয় জাতের ১৫ শ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৯০ হাজার মণ লাল শুকনা মরিচ পাওয়া যাবে। বর্তমান লাল শুকনো মরিচের বাজার দর ছয় থেকে সাত হাজার টাকা মণ। এই দরে মরিচ বিক্রি করে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা চাষিরা ঘরে তুলবে বলে কৃষি অফিস আশা করেছে। বৃহৎ পাইকারি বাজার হাটফুলবাড়ী থেকে দেশের খ্যাতনামা মসলা কোম্পানিগুলো শুকনো মরিচ ক্রয়ের জন্য আনাগোনা শুরু করে দিয়েছেন। সৌখিন রাধুনীদের বগুড়ার প্রিয় লাল শুকনো মরিচ সংগ্রহের জন্য ইতোমধ্যে অনেকে হাটফুলবাড়ী এলাকায় অফিস নিয়ে বসে পড়েছেন।
কাজলা ইউনিয়নের ময়ূরের চরের মরিচ চাষি মোখলেছার রহমান জানান, অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও মরিচের আবাদ ভালো হয়েছে। তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। সব মিলিয়ে তার খরচ পড়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। তবে আমি যে পরিমাণ লাল শুকনো মরিচ পেয়েছেন, তাতে বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া সদর ইউনিয়নের বাটিচরের লাল মাহমুদ বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো ছিল। তিনি চার বিঘা জমিতে দেশি মরিচের আবাদ করেছেন। ফলনও খুবই ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, মরিচ চাষে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেওয়ার জন্য কৃষকদের উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক বিভিন্ন রকমের সহায়তা করা হয়েছে। তাছাড়া আবহাওয়া ভালো মরিচের থাকায় উৎপাদনও ভালো হচ্ছে।
নিউজ লাইট ৭১