ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের ৬০টি দেশে রফতানি হচ্ছে আরএফএল হাউজওয়্যারের পণ্য

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 86

বিশ্বের ৬০টি দেশে রফতানি হচ্ছে আরএফএল হাউজওয়্যারের পণ্য। আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যসহ উন্নত দেশগুলোর চেইনশপগুলোতে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য যাচ্ছে নিয়মিতভাবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন রিটেইলার অ্যামাজনেও পণ্য দিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে প্লাস্টিকের উৎপাদন সক্ষমতার দিক থেকে (প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি অ্যাসপেক্ট) বিশ্বের ১০টি বড় কোম্পানির একটি আরএফএল। সবার সহযোগিতায় আরএফএল আগামীতে বিশ্বের এক নম্বর প্লাস্টিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। রাজধানীর বাড্ডায় একটি হোটেলে আরএফএল হাউজওয়্যারের ১৮ বছর পূর্তিতে ‘দেড় যুগের বিশ্বাস’ নামে এক ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক তৌকিরুল ইসলাম।২০০৩ সালে আরএফএল প্লাস্টিক তিনটি পণ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল জানিয়ে তৌকিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৩ সালের আগে বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ভালো পণ্যের যে চাহিদা ছিল, এর পুরোটাই পূরণ হতো আমদানি থেকে। থাইল্যান্ড ও চায়না থেকে এবং ভারত থেকেও কিছু পণ্য আসত। এসব আমদানি করা পণ্যগুলো অনেক দামে বিক্রি হতো। উচ্চবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত এই পণ্যগুলো ব্যবহার করতেন। আমরা তখন চিন্তা করলাম, বাংলাদেশে এত বিশাল জনগোষ্ঠী, তাদের কীভাবে ভালো পণ্য সাধ্যের মধ্যে দেয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আরএফএল প্লাস্টিকের পণ্যগুলো বাজারে নিয়ে আসি। শুরুতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম। ডিলারদের কাছে ট্রাকে করে পণ্য দিয়ে আসলে মুহূর্তের মধ্যেই তা বিপণন হয়ে যেত। ওই ধারাবাহিকতায় আমরা ৩৪ ক্যাটাগরিতে এক হাজার ৬০০ পণ্য বাজারে এনেছি। বাংলাদেশে খুব কম পরিবার আছে যাদের বাড়িতে আরএফএলের পণ্য নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনার এই মারাত্মক সময়েও আমাদের ব্যবসা অত্যন্ত ভালো, মানে রেকর্ড। আমরা সর্বোচ্চ যে ভালো ব্যবসা করেছি তার চেয়েও ভালো ব্যবসা এখন করছি। করোনার সময় মানুষের চাহিদা ছিল, আমরাও বাজারে ছিলাম। বাজারে থাকার কারণে ক্রেতারা আমাদের গ্রহণ করেছেন এবং তাদের যে পণ্যগুলো দরকার, সেগুলো তাদের হাতে পৌঁছে দিতে পেরেছি। ক্রেতাদের ভালোবাসা, পরামর্শ, সমর্থন, সহযোগিতায় আমরা আজ এত দূর এগিয়ে এসেছি। আগামী দিনগুলোতে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখে ভালোমানের পণ্য আপনাদের ক্রমাগত দিয়ে যাব।’

এ সময় দেড় যুগ পূর্তি উপলক্ষে ১৮ পাউন্ডের একটি কেক কাটা হয়। একই সঙ্গে ১৮ বছর পূর্তিতে ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় ১৮টি নতুন পণ্যের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।‘দেড় যুগের বিশ্বাস’ ক্যাম্পেইনের আওতায় আরএফএল এক্সক্লুসিভ শোরুম থেকে কমপক্ষে ৫০০ টাকার পণ্য কিনলে স্ক্যাচ কার্ডের মাধ্যমে ক্রেতারা পাবেন ১৮ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। বর্তমানে দেশজুড়ে আরএফএল এক্সক্লুসিভের এক হাজার ৪০৬টি শোরুম রয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

বিশ্বের ৬০টি দেশে রফতানি হচ্ছে আরএফএল হাউজওয়্যারের পণ্য

আপডেট টাইম : ০৫:৫৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০

বিশ্বের ৬০টি দেশে রফতানি হচ্ছে আরএফএল হাউজওয়্যারের পণ্য। আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যসহ উন্নত দেশগুলোর চেইনশপগুলোতে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য যাচ্ছে নিয়মিতভাবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন রিটেইলার অ্যামাজনেও পণ্য দিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে প্লাস্টিকের উৎপাদন সক্ষমতার দিক থেকে (প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি অ্যাসপেক্ট) বিশ্বের ১০টি বড় কোম্পানির একটি আরএফএল। সবার সহযোগিতায় আরএফএল আগামীতে বিশ্বের এক নম্বর প্লাস্টিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। রাজধানীর বাড্ডায় একটি হোটেলে আরএফএল হাউজওয়্যারের ১৮ বছর পূর্তিতে ‘দেড় যুগের বিশ্বাস’ নামে এক ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক তৌকিরুল ইসলাম।২০০৩ সালে আরএফএল প্লাস্টিক তিনটি পণ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল জানিয়ে তৌকিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৩ সালের আগে বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ভালো পণ্যের যে চাহিদা ছিল, এর পুরোটাই পূরণ হতো আমদানি থেকে। থাইল্যান্ড ও চায়না থেকে এবং ভারত থেকেও কিছু পণ্য আসত। এসব আমদানি করা পণ্যগুলো অনেক দামে বিক্রি হতো। উচ্চবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত এই পণ্যগুলো ব্যবহার করতেন। আমরা তখন চিন্তা করলাম, বাংলাদেশে এত বিশাল জনগোষ্ঠী, তাদের কীভাবে ভালো পণ্য সাধ্যের মধ্যে দেয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আরএফএল প্লাস্টিকের পণ্যগুলো বাজারে নিয়ে আসি। শুরুতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম। ডিলারদের কাছে ট্রাকে করে পণ্য দিয়ে আসলে মুহূর্তের মধ্যেই তা বিপণন হয়ে যেত। ওই ধারাবাহিকতায় আমরা ৩৪ ক্যাটাগরিতে এক হাজার ৬০০ পণ্য বাজারে এনেছি। বাংলাদেশে খুব কম পরিবার আছে যাদের বাড়িতে আরএফএলের পণ্য নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনার এই মারাত্মক সময়েও আমাদের ব্যবসা অত্যন্ত ভালো, মানে রেকর্ড। আমরা সর্বোচ্চ যে ভালো ব্যবসা করেছি তার চেয়েও ভালো ব্যবসা এখন করছি। করোনার সময় মানুষের চাহিদা ছিল, আমরাও বাজারে ছিলাম। বাজারে থাকার কারণে ক্রেতারা আমাদের গ্রহণ করেছেন এবং তাদের যে পণ্যগুলো দরকার, সেগুলো তাদের হাতে পৌঁছে দিতে পেরেছি। ক্রেতাদের ভালোবাসা, পরামর্শ, সমর্থন, সহযোগিতায় আমরা আজ এত দূর এগিয়ে এসেছি। আগামী দিনগুলোতে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখে ভালোমানের পণ্য আপনাদের ক্রমাগত দিয়ে যাব।’

এ সময় দেড় যুগ পূর্তি উপলক্ষে ১৮ পাউন্ডের একটি কেক কাটা হয়। একই সঙ্গে ১৮ বছর পূর্তিতে ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় ১৮টি নতুন পণ্যের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।‘দেড় যুগের বিশ্বাস’ ক্যাম্পেইনের আওতায় আরএফএল এক্সক্লুসিভ শোরুম থেকে কমপক্ষে ৫০০ টাকার পণ্য কিনলে স্ক্যাচ কার্ডের মাধ্যমে ক্রেতারা পাবেন ১৮ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। বর্তমানে দেশজুড়ে আরএফএল এক্সক্লুসিভের এক হাজার ৪০৬টি শোরুম রয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১