ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহামারিজনিত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও পরিষেবা খাতকে ১৬ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
  • / 94

নিউজ লাইট ৭১ঃ নভেল করোনাভাইরাস মহামারিজনিত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও পরিষেবা খাতকে ১৬ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক। সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় তিন বছরে এই ঋণ দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে দেওয়া হবে ৪ হাজার ৬০ কোটি টাকা। পরের দুই অর্থবছরে দেওয়া হবে যথাক্রমে ৫ হাজার ৪৬৫ কোটি এবং ৬ হাজার ১০ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই করেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লিখিত ঋণ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও পরিষেবা খাতের জন্য বিশেষ মূলধন সহায়তার প্রেরণামূলক প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। তবে এই ঋণ সুবিধা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ঋণের সুফল দ্রুত পেতে ব্যাংকগুলো গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে ঋণ বিতরণ করতে হবে। এজন্য ঋণ বিতরণ নীতিমালা আরো সহজ করতে হবে বলে মত দেন তারা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ গত রোববার নিউজ লাইট ৭১ কে বলেন, বিষয়টি খুবই সময়োপযোগী। এক্ষেত্রে জটিলতা কমিয়ে যত দ্রুত ঋণটা সঠিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেজন্য প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান নিউজ লাইট ৭১ কে বলেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলো চিহ্নিত করতে এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো এফবিসিসিআইয়ের সহযোগিতা নিতে পারে। কারণ এফবিসিসিআই বিভিন্ন খাতের ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর বিষয়ে ভালো জানে। সেক্ষেত্রে ঋণের অপব্যবহার হওয়ার সুযোগ থাকবে না। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ঋণ পাবেন। তাছাড়া এই ঋণ ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও পরিষেবা খাতে পৌঁছানোর জন্য নীতিমালা আরো সহজ করার পরামর্শ দেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ কর্মসূচির আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও পরিষেবা খাতকে আগামী তিন বছরের জন্য (২০২০-২২) ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে সোনালী ব্যাংক। তাছাড়া, জনতা ব্যাংক ৪ হাজার ২০০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ৩ হাজার কোটি, রূপালী ব্যাংক ৩ হাজার ৩০০ কোটি, বেসিক ব্যাংক ২৯৪ কোটি এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন ব্যাংক (বিডিবিএল) ৫০ কোটি টাকা ঋণ দেবে। এই বিশেষ ঋণের ওপর সুদের হার অন্য যেকোনো ঋণের তুলনায় কম হবে।

Tag :

শেয়ার করুন

মহামারিজনিত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও পরিষেবা খাতকে ১৬ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ

আপডেট টাইম : ০৫:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০

নিউজ লাইট ৭১ঃ নভেল করোনাভাইরাস মহামারিজনিত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও পরিষেবা খাতকে ১৬ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক। সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় তিন বছরে এই ঋণ দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে দেওয়া হবে ৪ হাজার ৬০ কোটি টাকা। পরের দুই অর্থবছরে দেওয়া হবে যথাক্রমে ৫ হাজার ৪৬৫ কোটি এবং ৬ হাজার ১০ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই করেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লিখিত ঋণ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও পরিষেবা খাতের জন্য বিশেষ মূলধন সহায়তার প্রেরণামূলক প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। তবে এই ঋণ সুবিধা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ঋণের সুফল দ্রুত পেতে ব্যাংকগুলো গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে ঋণ বিতরণ করতে হবে। এজন্য ঋণ বিতরণ নীতিমালা আরো সহজ করতে হবে বলে মত দেন তারা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ গত রোববার নিউজ লাইট ৭১ কে বলেন, বিষয়টি খুবই সময়োপযোগী। এক্ষেত্রে জটিলতা কমিয়ে যত দ্রুত ঋণটা সঠিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেজন্য প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান নিউজ লাইট ৭১ কে বলেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলো চিহ্নিত করতে এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো এফবিসিসিআইয়ের সহযোগিতা নিতে পারে। কারণ এফবিসিসিআই বিভিন্ন খাতের ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর বিষয়ে ভালো জানে। সেক্ষেত্রে ঋণের অপব্যবহার হওয়ার সুযোগ থাকবে না। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ঋণ পাবেন। তাছাড়া এই ঋণ ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও পরিষেবা খাতে পৌঁছানোর জন্য নীতিমালা আরো সহজ করার পরামর্শ দেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ কর্মসূচির আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও পরিষেবা খাতকে আগামী তিন বছরের জন্য (২০২০-২২) ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে সোনালী ব্যাংক। তাছাড়া, জনতা ব্যাংক ৪ হাজার ২০০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ৩ হাজার কোটি, রূপালী ব্যাংক ৩ হাজার ৩০০ কোটি, বেসিক ব্যাংক ২৯৪ কোটি এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন ব্যাংক (বিডিবিএল) ৫০ কোটি টাকা ঋণ দেবে। এই বিশেষ ঋণের ওপর সুদের হার অন্য যেকোনো ঋণের তুলনায় কম হবে।