৭১: চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৫ মাস সময়ে দেশে ফিরেছেন বিভিন্ন দেশে কাজ করা ৭৮ হাজার ৪৩ জন কর্মী। ফিরে আসাদের মাঝে নারী কর্মী আছেন ৪ হাজার ৭৩২ জন। হিসাব করে দেখা গিয়েছে প্রতি মাসে দেশে ফিরে এসেছেন ১৫ হাজার ৬০৮ জন প্রবাসী।

আজ (রোববার) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা ফিরে এসেছেন তাদের মাঝে অনেকেই কর্মহীন হওয়ায় ফিরেছেন। ২৬টি দেশ থেকে এই সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। সবচেয়ে বেশি মোট ২৫ হাজার ৬৫৩ জন এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। ১৫ হাজার ৩৮৯ জন এসেছেন সৌদি আরব থেকে।

এছাড়া মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরেছেন ৭ হাজার ৯০৯ জন। আকামা বা ভিসার মেয়াদ না থাকা অবৈধ হওয়ায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় ও অনেকেই কারাভোগ শেষে কুয়েত থেকে ফিরেছেন ৭ হাজার ৩২৯ জন।

কাজ না থাকায় কাতার থেকে এসেছেন ৬ হাজার ৬০১ জন। ৩ হাজার ৮৮৪ জন এসেছেন ওমান থেকে। একই কারণে মালয়েশিয়া থেকে ফিরেছেন ২ হাজার ২২৬ জন প্রবাসী শ্রমিক। ইরাক থেকে ফিরেছেন ২ হাজার ১৩৬ জন। তুরস্ক থেকে ফিরেছেন ১ হাজার ৯৪৮ জন প্রবাসী। কাজের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১ হাজার ৩৮২ জন প্রবাসী শ্রমিক ফিরেছেন সিঙ্গাপুর থেকে।

এছাড়া, জর্ডান থেকে ১ হাজার ২৬ জন, লেবানন থেকে ৯৭৬ জন, বাহরাইন থেকে ৭৪৬ জন, ইতালি থেকে ১৫১ জন, ভিয়েতনাম থেকে ১২২ জন, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়া থেকে ফিরেছেন ১শ’ জন করে।

শ্রীলঙ্কা থেকে ৮০ জন, নেপাল থেকে ৫৫ জন, কম্বোডিয়া থেকে ৪০ জন, মিয়ানমার থেকে ৩৯ জন, মরিশাস থেকে ৩৬ জন, থাইল্যান্ড থেকে ২০ জন, হংকং থেকে ১৬ জন আর জাপান থেকে ফিরেছেন ৮ জন প্রবাসী শ্রমিক।

ফেরত আসা শ্রমিকদের অনেকেই ছুটিতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। আবার করোনার নেতিবাচক প্রভাবে কর্মস্থল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেও অনেকে দেশে ফিরেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার তাদের কর্মস্থলে ডাকা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।