সাহেদকে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর রিমান্ড শুনানি ১০ আগস্ট
- আপডেট টাইম : ০৬:০১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০
- / 125
৭১: অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির তারিখ আগামী ১০ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এ তারিখ ঠিক করেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ আসামি সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এদিকে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত ২৭ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে সাহেদ, ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. মাহবুবুল হক চিশতীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি, মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে ও বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের এমডি রাশেদুল হক চিশতী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রিজেন্ট হাসপাতালের জন্য ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখা থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে এমআরআই মেশিন কেনার জন্য দুই কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন মো. সাহেদ। অথচ ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা ও ক্রেডিট রিস্ক গ্রেডিং নিরূপণ না করেই ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. মাহবুবুল হক চিশতী ঋণ অনুমোদন করেন।
পরে ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি ২১তম সভায় সাহেদের অনুকূলে দুই কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন হয়। যা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ও এমআরআই মেশিন কেনা হয়েছে এমন জাল কাগজপত্র দেখিয়ে ২১ জানুয়ারি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মহিলা শাখার মাধ্যমে দুই কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। তবে শর্তানুযায়ী ১ কোটি টাকার এফডিআর করতে হয় সাহেদকে। কোনো কিস্তি পরিশোধ না করায় ঋণ হিসাবটি অনিয়মিত হওয়ার কারণে ব্যাংকের কাছে লিয়েন থাকা ওই এফডিআর থেকে এক কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়। আর বাকি ১ কোটি টাকা অনাদায়ী থেকে যায়, যা এখন সুদসহ ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা হয়েছে। সাহেদ ঘুষ বাবদ ৩৫ লাখ টাকা বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমেটেড নামের প্রতিষ্ঠানের হিসাব নম্বরে জমা করেন। যে প্রতিষ্ঠানটির এমডি রাশেদুল হক চিশতী। এর আগে গত ২২ জুলাই এনআরবি ব্যাংক থেকে হাসপাতালের নামে ঋণ বাবদ দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এদিকে সাতক্ষীরা প্রতনিধি জানান, অস্ত্র মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরা জেলা আদালতে হাজির করা হয়। ওই দিন বিচারকের নির্দেশে তাকে পাঠানো হয় জেল হাজতে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরা কারাগার থেকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।