ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পতন থামছে না পুঁজিবাজারের

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 9

ছবি: সংগৃহীত

কোনোভাবেই পতন থামছে না পুঁজিবাজারের। গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৯১ পয়েন্ট। এসময় বিনিয়োগকারীরা বাজার মূলধন হারিয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে সার্বিক সূচক কমেছে ৬০ পয়েন্টের বেশি।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। ফলে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। তবে বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। ভালো মৌলভিত্তির অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম এখনও অবমূল্যায়িত অবস্থায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তথ্য পর্যালোচনা করে বিনিয়োগ করতে পারলে লোকসানের সম্ভাবনা কম এবং মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৭৬টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯৩টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় তিনগুণের বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ২০৮ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৬৫২ কোটি টাকা বা দশমিক ১০ শতাংশ।

দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ৯১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৪ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহে সূচকটি কমেছে ৩০ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি কমে ৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ২ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম ওরিয়ন ইনফিউশন, দ্বিতীয় সায়হাম কটন, তৃতীয় অবস্থানে লাভেলো।

শতাংশের দিক থেকে দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, আগের দিনের চেয়ে দাম বেড়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা, দ্বিতীয় ওরিয়ন ইনফিউশন, তৃতীয় অবস্থানে আমরা টেকনোলজি।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক কমেছে ৬০ দশমিক চার চার পয়েন্ট। লেনদেন ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

পতন থামছে না পুঁজিবাজারের

আপডেট টাইম : ০৪:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

কোনোভাবেই পতন থামছে না পুঁজিবাজারের। গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৯১ পয়েন্ট। এসময় বিনিয়োগকারীরা বাজার মূলধন হারিয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে সার্বিক সূচক কমেছে ৬০ পয়েন্টের বেশি।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। ফলে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। তবে বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। ভালো মৌলভিত্তির অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম এখনও অবমূল্যায়িত অবস্থায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তথ্য পর্যালোচনা করে বিনিয়োগ করতে পারলে লোকসানের সম্ভাবনা কম এবং মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৭৬টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯৩টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় তিনগুণের বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ২০৮ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৬৫২ কোটি টাকা বা দশমিক ১০ শতাংশ।

দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ৯১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৪ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহে সূচকটি কমেছে ৩০ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি কমে ৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ২ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম ওরিয়ন ইনফিউশন, দ্বিতীয় সায়হাম কটন, তৃতীয় অবস্থানে লাভেলো।

শতাংশের দিক থেকে দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, আগের দিনের চেয়ে দাম বেড়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা, দ্বিতীয় ওরিয়ন ইনফিউশন, তৃতীয় অবস্থানে আমরা টেকনোলজি।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক কমেছে ৬০ দশমিক চার চার পয়েন্ট। লেনদেন ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার।

নিউজ লাইট ৭১