ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকেরা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 19

ছবি: সংগৃহীত

ভারতে রপ্তানি শুরু হলেও বরিশালে দেখা দিয়েছে ইলিশ সংকট। এতে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকেরা। প্রতিদিন গড়ে ১৪ টন ইলিশ রপ্তানির কথা থাকলেও চার দিনে মাত্র ১১ টন ইলিশ গেছে ভারতে। এই অবস্থায় এবারও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়েই দেখা দিয়েছে সংশয়। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে বরিশালের ৫টি প্রতিষ্ঠান। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ দিনে এখান থেকে ২৫০ টন মাছ রপ্তানির কথা রয়েছে।

তবে ইলিশ সংকটে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রপ্তানি সম্পন্ন করা নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে নগরীর পোর্টরোড, বেলতলা ও চন্দ্রমোহন মোকামে সরবরাহ কমের অজুহাতে বেড়েছে ইলিশের দাম।

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, স্থানীয় বাজারের চেয়ে কম দামে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। প্রতি কেজি ১০ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ২০০ টাকা দামে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হলেও আকারভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বেশি দামে স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে রপ্তানি করার কথা জানিয়েছেন তারা।

আরেক রপ্তানিকারক মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘মাছের দাম বেশি হলেও লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে আমাদের রপ্তানি করতেই হচ্ছে। বেশি দাম-কম দাম মিলিয়ে একটি গড় দামের কারণে টিকে আছি আমরা।’

মৎস্য বিভাগ বলছে, ইলিশ সংকটের কারণে গত তিন বছর বরিশাল থেকে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে আছে  সংশয়।  গত বছর বরিশাল থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ হয়েছে। এবার তার চেয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন বেশি আহরণের আশা মৎস্য বিভাগের।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকেরা

আপডেট টাইম : ১১:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে রপ্তানি শুরু হলেও বরিশালে দেখা দিয়েছে ইলিশ সংকট। এতে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকেরা। প্রতিদিন গড়ে ১৪ টন ইলিশ রপ্তানির কথা থাকলেও চার দিনে মাত্র ১১ টন ইলিশ গেছে ভারতে। এই অবস্থায় এবারও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়েই দেখা দিয়েছে সংশয়। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে বরিশালের ৫টি প্রতিষ্ঠান। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ দিনে এখান থেকে ২৫০ টন মাছ রপ্তানির কথা রয়েছে।

তবে ইলিশ সংকটে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রপ্তানি সম্পন্ন করা নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে নগরীর পোর্টরোড, বেলতলা ও চন্দ্রমোহন মোকামে সরবরাহ কমের অজুহাতে বেড়েছে ইলিশের দাম।

রপ্তানিকারকেরা বলছেন, স্থানীয় বাজারের চেয়ে কম দামে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। প্রতি কেজি ১০ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ২০০ টাকা দামে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হলেও আকারভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বেশি দামে স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে রপ্তানি করার কথা জানিয়েছেন তারা।

আরেক রপ্তানিকারক মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘মাছের দাম বেশি হলেও লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে আমাদের রপ্তানি করতেই হচ্ছে। বেশি দাম-কম দাম মিলিয়ে একটি গড় দামের কারণে টিকে আছি আমরা।’

মৎস্য বিভাগ বলছে, ইলিশ সংকটের কারণে গত তিন বছর বরিশাল থেকে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে আছে  সংশয়।  গত বছর বরিশাল থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ হয়েছে। এবার তার চেয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন বেশি আহরণের আশা মৎস্য বিভাগের।

নিউজ লাইট ৭১