ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছদ্মবেশে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশ করে : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
  • / 20

স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিসতিয়াগা ওচহোয়া ডি চিনচিক্রু রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জামায়াত-শিবির ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিসতিয়াগা ওচহোয়া ডি চিনচিক্রু রবিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা প্রাথমিকভাবে লো প্রোফাইল বজায় রেখে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ছদ্মবেশে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু পরে তারা বিপজ্জনকভাবে আন্দোলনের সামনের সারিতে চলে আসে।”

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাইমুল ইসলাম খান সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসীরা আসলে সেই স্থাপনাগুলোতে হামলা করেছে যা জনগণের কল্যাণে কাজ করার পর সরকার যে সাফল্য অর্জন করেছে তা তুলে ধরছে।

এই প্রসঙ্গে তিনি কোভিড হাসপাতাল, মেট্রো রেল, এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও ডেটা সেন্টারের কথা উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সকল উন্নয়নের প্রতীক, যা জনগণকে স্বাচ্ছন্দ্য ও সুবিধা দিয়েছিল, সেগুলো ধ্বংসের শিকার হয়েছে।”

সহিংসতায় তার দল আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ জন নিহত হয়েছে বলে এ সময় জানান তিনি।

সেনা মোতায়েনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধৈর্য দেখিয়েছেন।

দলমত নির্বিশেষে নিহত বা আহত সকলকে সাহায্য করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি তাদের সাহায্য করার সময় দলীয় পরিচয় বিবেচনা করিনি।”

শেখ হাসিনা জানান, সরকার মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা ও তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে।

স্পেনের রাষ্ট্রদূত শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে সেনা মোতায়েন এবং কারফিউ জারির প্রশংসা করে বলেন, “এখন ধীরে ধীরে সবকিছুর উন্নতি হচ্ছে।”

রাষ্ট্রদূত জানান, শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তিনি বোঝেন এবং এর প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, “আমি টেলিভিশনে সবকিছু দেখেছি কিন্তু ভাষার পার্থক্যের কারণে সেগুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি, তবে সংবাদপত্র থেকে আমি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং মারামারি থেকে ধ্বংসের বিষয় জানতে পেরেছি।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভাঙচুর হওয়া কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বরাদ্দ জনগণের কল্যাণে সরকারের আন্তরিকতা নিশ্চিত করে। অনেক দেশে এই ধরনের বাজেট সমর্থন বিদ্যমান নেই।

এ সময় অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন। বাসস।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছদ্মবেশে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশ করে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৪:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জামায়াত-শিবির ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিসতিয়াগা ওচহোয়া ডি চিনচিক্রু রবিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা প্রাথমিকভাবে লো প্রোফাইল বজায় রেখে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ছদ্মবেশে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু পরে তারা বিপজ্জনকভাবে আন্দোলনের সামনের সারিতে চলে আসে।”

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাইমুল ইসলাম খান সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসীরা আসলে সেই স্থাপনাগুলোতে হামলা করেছে যা জনগণের কল্যাণে কাজ করার পর সরকার যে সাফল্য অর্জন করেছে তা তুলে ধরছে।

এই প্রসঙ্গে তিনি কোভিড হাসপাতাল, মেট্রো রেল, এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও ডেটা সেন্টারের কথা উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সকল উন্নয়নের প্রতীক, যা জনগণকে স্বাচ্ছন্দ্য ও সুবিধা দিয়েছিল, সেগুলো ধ্বংসের শিকার হয়েছে।”

সহিংসতায় তার দল আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ জন নিহত হয়েছে বলে এ সময় জানান তিনি।

সেনা মোতায়েনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধৈর্য দেখিয়েছেন।

দলমত নির্বিশেষে নিহত বা আহত সকলকে সাহায্য করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি তাদের সাহায্য করার সময় দলীয় পরিচয় বিবেচনা করিনি।”

শেখ হাসিনা জানান, সরকার মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা ও তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে।

স্পেনের রাষ্ট্রদূত শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে সেনা মোতায়েন এবং কারফিউ জারির প্রশংসা করে বলেন, “এখন ধীরে ধীরে সবকিছুর উন্নতি হচ্ছে।”

রাষ্ট্রদূত জানান, শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তিনি বোঝেন এবং এর প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, “আমি টেলিভিশনে সবকিছু দেখেছি কিন্তু ভাষার পার্থক্যের কারণে সেগুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি, তবে সংবাদপত্র থেকে আমি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং মারামারি থেকে ধ্বংসের বিষয় জানতে পেরেছি।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভাঙচুর হওয়া কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বরাদ্দ জনগণের কল্যাণে সরকারের আন্তরিকতা নিশ্চিত করে। অনেক দেশে এই ধরনের বাজেট সমর্থন বিদ্যমান নেই।

এ সময় অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন। বাসস।

নিউজ লাইট ৭১