ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্দেশনা ছিল পুলিশ মারলে ১০ হাজার এবং ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:০১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
  • / 21

ছবি: সংগৃহীত

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, বগুড়ার যুবদল নেতা নুরে আলম সিদ্দিকি পিটন লন্ডন থেকে নির্দেশনা পেয়েছেন- পুলিশ মারলে ১০ হাজার এবং ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকা দেয়া হবে। এ ঘোষণার পর মাঠে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয় নুরে আলম সিদ্দিকির দুলাভাই মো. আব্দুল আজিজ ওরফে সুলতানকে। তাকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এর আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘোষণার (সহিংসতার জন্য পুরস্কার) মদদদাতা মো. আব্দুল আজিজ ওরফে সুলতানকে (৪৫) ঢাকার উত্তরখান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গ্রেপ্তারকৃত আজিজকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে হারুন অর রশীদ জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ ছাত্রদের মিছিলে টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের ঢুকিয়ে দেন। এরপর তাদের দিয়ে দেশব্যাপী হত্যা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞ চালান। এতে সহযোগিতা দেয় জামায়াত-শিবির ও বিএনপি ক্যাডার। টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূলদের দিয়ে রাজধানীর উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। তারা ভেবেছিল পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতে পারলে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হবে।

হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশের প্রতি এতো ক্ষোভ কেন? স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশ। ১৯৭১ সালে পুলিশ রক্ত দিয়েছে। যখন অগণতান্ত্রিক পন্থায় দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিনষ্ট করার জন্য বারবার চেষ্টা করে, তখন পুলিশ জীবন দিয়ে সেটা রক্ষা করে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বারবার যে হামলা আসে তার বিরুদ্ধে কাজ করে বলে পুলিশ তাদের টার্গেট। পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। নাশকতাকারীরা দেশকে পাকিস্তানি কায়দায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ সদস্যদের যারা হত্যা করেছে তাদের নাম, নম্বর পাওয়া গেছে। তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।

হারুন-উর-রশিদ বলেন, ঢাকা শহরে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য যারা দায়িত্ব নিয়েছিল, তাদের মধ্যে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নীরব, এসএম জাহাঙ্গীর, রফিকুল আলম মজনু, আমিরুল ইসলামসহ অসংখ্য বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী আমাদের কাছে আছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের মোবাইলে অনেক মেসেজ পেয়েছি। দেশের বাইরে থেকে তাদের অর্ডার করেছে, এসব মেসেজ আমরা পেয়েছি। মেসেজে বলা হয়েছে, আমরা নতুন কমিটি দিয়েছি, তোমরা যদি এটা না করো, তোমাদের কমিটি থেকে বাদ দেয়া হবে। গত ২৮ অক্টোবর যারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, পুলিশকে হত্যা করেছে, পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে তাদেরকে বেছে বেছে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে বলেও জানান ডিবিপ্রধান।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

নির্দেশনা ছিল পুলিশ মারলে ১০ হাজার এবং ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার

আপডেট টাইম : ০৭:০১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, বগুড়ার যুবদল নেতা নুরে আলম সিদ্দিকি পিটন লন্ডন থেকে নির্দেশনা পেয়েছেন- পুলিশ মারলে ১০ হাজার এবং ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকা দেয়া হবে। এ ঘোষণার পর মাঠে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয় নুরে আলম সিদ্দিকির দুলাভাই মো. আব্দুল আজিজ ওরফে সুলতানকে। তাকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এর আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘোষণার (সহিংসতার জন্য পুরস্কার) মদদদাতা মো. আব্দুল আজিজ ওরফে সুলতানকে (৪৫) ঢাকার উত্তরখান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গ্রেপ্তারকৃত আজিজকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে হারুন অর রশীদ জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ ছাত্রদের মিছিলে টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের ঢুকিয়ে দেন। এরপর তাদের দিয়ে দেশব্যাপী হত্যা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞ চালান। এতে সহযোগিতা দেয় জামায়াত-শিবির ও বিএনপি ক্যাডার। টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূলদের দিয়ে রাজধানীর উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। তারা ভেবেছিল পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতে পারলে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হবে।

হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশের প্রতি এতো ক্ষোভ কেন? স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশ। ১৯৭১ সালে পুলিশ রক্ত দিয়েছে। যখন অগণতান্ত্রিক পন্থায় দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিনষ্ট করার জন্য বারবার চেষ্টা করে, তখন পুলিশ জীবন দিয়ে সেটা রক্ষা করে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বারবার যে হামলা আসে তার বিরুদ্ধে কাজ করে বলে পুলিশ তাদের টার্গেট। পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। নাশকতাকারীরা দেশকে পাকিস্তানি কায়দায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ সদস্যদের যারা হত্যা করেছে তাদের নাম, নম্বর পাওয়া গেছে। তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।

হারুন-উর-রশিদ বলেন, ঢাকা শহরে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য যারা দায়িত্ব নিয়েছিল, তাদের মধ্যে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নীরব, এসএম জাহাঙ্গীর, রফিকুল আলম মজনু, আমিরুল ইসলামসহ অসংখ্য বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী আমাদের কাছে আছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের মোবাইলে অনেক মেসেজ পেয়েছি। দেশের বাইরে থেকে তাদের অর্ডার করেছে, এসব মেসেজ আমরা পেয়েছি। মেসেজে বলা হয়েছে, আমরা নতুন কমিটি দিয়েছি, তোমরা যদি এটা না করো, তোমাদের কমিটি থেকে বাদ দেয়া হবে। গত ২৮ অক্টোবর যারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, পুলিশকে হত্যা করেছে, পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে তাদেরকে বেছে বেছে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে বলেও জানান ডিবিপ্রধান।

নিউজ লাইট ৭১