ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাসেলস ভাইপারে মৃত্যুরোধে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ চেয়ে নোটিশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
  • / 25

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এ সাপের কামড়ে ইতোমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিশেষভাবে প্রত্যন্ত গ্রাম ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা এ সাপ নিয়ে চরমভাবে আতঙ্কিত। এমতাবস্থায় দেশের প্রতিটি হাসপাতাল-ক্লিনিক-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টিভেনমের পর্যাপ্ত সরবরাহ, দক্ষ চিকিৎসক ও দেশের অভ্যন্তরে পরিবেশ উপযোগী এজাতীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কারণে বিষয়টি নিয়ে দেশবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। অনেকে প্রচার করছেন যে সাপটি কামড় দিলে দ্রুত মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাসেলস ভাইপার সাপ মেরে ফেলার প্রচারণাও চালাচ্ছেন অনেকে। রাসেলস ভাইপার খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে। ফলে সহসা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এই সাপের আধিক্য মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করবে বলে ব্যাপক প্রচারণা রয়েছে। ফলে এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত ব্যাপক হারে প্রচারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, দেশব্যাপী পরিচালিত অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনসিডিসি) সাপে কামড়ানোদের ওপর জরিপ চালিয়েছে। ২০২৩ সালে তাদের প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর ৪ লাখ ৩ হাজার ৩১৭ জন মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয় এবং এতে ৭ হাজার ৫১১ জন মানুষ মারা যায়। মানুষ ছাড়া প্রাণীরাও সাপের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। প্রতি বছর প্রায় ১৯ হাজার গৃহপালিত পশু সর্পদংশনে আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে আড়াই হাজার গৃহপালিত পশু মারা যায়। ফলে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়।

তাই ওই নোটিশপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে সারাদেশের হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন সংরক্ষণ, ভ্যাকসিন প্রদানকারী চিকিৎসকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নত প্রশিক্ষণ, দেশের অভ্যন্তরে পরিবেশ উপযোগী সাপের বিষের প্রতিরোধক ভ্যাকসিন উৎপাদনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

রাসেলস ভাইপারে মৃত্যুরোধে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ চেয়ে নোটিশ

আপডেট টাইম : ০২:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

সারাদেশে রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এ সাপের কামড়ে ইতোমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিশেষভাবে প্রত্যন্ত গ্রাম ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা এ সাপ নিয়ে চরমভাবে আতঙ্কিত। এমতাবস্থায় দেশের প্রতিটি হাসপাতাল-ক্লিনিক-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টিভেনমের পর্যাপ্ত সরবরাহ, দক্ষ চিকিৎসক ও দেশের অভ্যন্তরে পরিবেশ উপযোগী এজাতীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কারণে বিষয়টি নিয়ে দেশবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। অনেকে প্রচার করছেন যে সাপটি কামড় দিলে দ্রুত মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাসেলস ভাইপার সাপ মেরে ফেলার প্রচারণাও চালাচ্ছেন অনেকে। রাসেলস ভাইপার খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে। ফলে সহসা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এই সাপের আধিক্য মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করবে বলে ব্যাপক প্রচারণা রয়েছে। ফলে এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত ব্যাপক হারে প্রচারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, দেশব্যাপী পরিচালিত অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনসিডিসি) সাপে কামড়ানোদের ওপর জরিপ চালিয়েছে। ২০২৩ সালে তাদের প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর ৪ লাখ ৩ হাজার ৩১৭ জন মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয় এবং এতে ৭ হাজার ৫১১ জন মানুষ মারা যায়। মানুষ ছাড়া প্রাণীরাও সাপের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। প্রতি বছর প্রায় ১৯ হাজার গৃহপালিত পশু সর্পদংশনে আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে আড়াই হাজার গৃহপালিত পশু মারা যায়। ফলে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়।

তাই ওই নোটিশপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে সারাদেশের হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন সংরক্ষণ, ভ্যাকসিন প্রদানকারী চিকিৎসকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নত প্রশিক্ষণ, দেশের অভ্যন্তরে পরিবেশ উপযোগী সাপের বিষের প্রতিরোধক ভ্যাকসিন উৎপাদনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১