ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদা চা কখন খাওয়া যাবে না

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 77

ফাইল ছবি

কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালে এক কাপ আদামিশ্রিত চা আপনার মনকে জাগিয়ে তুলতে পারে নতুন উদ্যমে। তাতে হতে পারে একটি চমৎকার দিনের শুরু। আমরা সবাই জানি, আদার রয়েছে প্রচুর ওষধি গুণ। ঠান্ডা, গলাব্যথায় আদা–চায়ের উপকারী দিকের কথা প্রায় সবারই জানা। তবে কিছু ওষুধ আছে, যেগুলোর সঙ্গে আদা সেবনে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে।

যেসব ওষুধ খেলে আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে-

যাঁরা রক্ত পাতলা করার ওষুধ যেমন ওয়ারফেরিন, অ্যাসপিরিন বা ক্লোপিডোগ্রেল সেবন করেন, আদা তাঁদের শরীরে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সঙ্গে, বিশেষ করে ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, যেমন অ্যামলোডিপিনের সঙ্গে আদা সেবন করলে রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে।

ব্যথানাশক যেমন ডাইক্লোফেনাক বা ন্যাপ্রোক্সেন–জাতীয় ওষুধের সঙ্গে আদা খেলেও রক্তপাতের আশঙ্কা বাড়ে।

যে সময় আদা খাওয়া যাবে না

গর্ভকালের শেষ দিকে বেশি আদা–চা খাওয়া ঠিক নয়।

দুগ্ধদানকারী মা পরিমিত বা রান্নায় খেতে পারবেন।

খালি পেটে না খাওয়া ভালো।

পাতলা পায়খানা হলে।

প্রতিদিন কতটুকু আদা খাবেন?

প্রতিদিন সর্বোচ্চ আধা গ্রাম থেকে ৩ গ্রাম সেবন করা যাবে।

গর্ভকালে দিনে ১ হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম আদা সেবনের ফলে গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

আদার জানা-অজানা উপকারী দিক-

বাতের ব্যথা কমায়।

মাইগ্রেনের ব্যথা হ্রাসে ভূমিকা আছে।

ঋতুচক্রের ব্যথায় উপকারী।

বমি বমি ভাব দূর করে।

রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করে।

কোনো জায়গায় প্রদাহের ফলে ফোলা হলে কমায়।

ওজন হ্রাস করে।

অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, যা কোষের অবাঞ্ছিত বৃদ্ধি রোধ করে।

রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।

যেসব সমস্যায় আদার কোনো ভূমিকা নেই

অপারেশনের পর ব্যথা হলে।

যাত্রাপথে বমি দূর করতে।

কেমোথেরাপির পর বমি কমাতে।

যেকোনো উপাদান, তা প্রাকৃতিক উপাদান হলেও পরিমিত পরিমাণে সেবন করা উচিত। না হলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

আদা চা কখন খাওয়া যাবে না

আপডেট টাইম : ০৮:২০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালে এক কাপ আদামিশ্রিত চা আপনার মনকে জাগিয়ে তুলতে পারে নতুন উদ্যমে। তাতে হতে পারে একটি চমৎকার দিনের শুরু। আমরা সবাই জানি, আদার রয়েছে প্রচুর ওষধি গুণ। ঠান্ডা, গলাব্যথায় আদা–চায়ের উপকারী দিকের কথা প্রায় সবারই জানা। তবে কিছু ওষুধ আছে, যেগুলোর সঙ্গে আদা সেবনে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে।

যেসব ওষুধ খেলে আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে-

যাঁরা রক্ত পাতলা করার ওষুধ যেমন ওয়ারফেরিন, অ্যাসপিরিন বা ক্লোপিডোগ্রেল সেবন করেন, আদা তাঁদের শরীরে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সঙ্গে, বিশেষ করে ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, যেমন অ্যামলোডিপিনের সঙ্গে আদা সেবন করলে রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে।

ব্যথানাশক যেমন ডাইক্লোফেনাক বা ন্যাপ্রোক্সেন–জাতীয় ওষুধের সঙ্গে আদা খেলেও রক্তপাতের আশঙ্কা বাড়ে।

যে সময় আদা খাওয়া যাবে না

গর্ভকালের শেষ দিকে বেশি আদা–চা খাওয়া ঠিক নয়।

দুগ্ধদানকারী মা পরিমিত বা রান্নায় খেতে পারবেন।

খালি পেটে না খাওয়া ভালো।

পাতলা পায়খানা হলে।

প্রতিদিন কতটুকু আদা খাবেন?

প্রতিদিন সর্বোচ্চ আধা গ্রাম থেকে ৩ গ্রাম সেবন করা যাবে।

গর্ভকালে দিনে ১ হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম আদা সেবনের ফলে গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

আদার জানা-অজানা উপকারী দিক-

বাতের ব্যথা কমায়।

মাইগ্রেনের ব্যথা হ্রাসে ভূমিকা আছে।

ঋতুচক্রের ব্যথায় উপকারী।

বমি বমি ভাব দূর করে।

রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করে।

কোনো জায়গায় প্রদাহের ফলে ফোলা হলে কমায়।

ওজন হ্রাস করে।

অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, যা কোষের অবাঞ্ছিত বৃদ্ধি রোধ করে।

রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।

যেসব সমস্যায় আদার কোনো ভূমিকা নেই

অপারেশনের পর ব্যথা হলে।

যাত্রাপথে বমি দূর করতে।

কেমোথেরাপির পর বমি কমাতে।

যেকোনো উপাদান, তা প্রাকৃতিক উপাদান হলেও পরিমিত পরিমাণে সেবন করা উচিত। না হলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

নিউজ লাইট ৭১