বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত: প্রণয় ভার্মা
- আপডেট টাইম : ১২:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
- / 30
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, ৬ ডিসেম্বর ভারত–বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা হয়। মৈত্রী দিবস সমতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং অটুট সংহতির মূলে থাকা অংশীদারিত্বকে নির্দেশ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি ভারতের অবিচল সমর্থনের প্রতীক এটি। মৈত্রী দিবসের আয়োজন ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর ও চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ইতিহাসে এই দিনটি অনন্য। এটি অংশীদারত্বের সূচনা যা এখন বহুমুখী হিসেবে দেখা হয় এবং সম্পর্কটি কৌশলগত অংশীদারদের ছাড়িয়ে যায়। দুই দেশ কৌশলগত অংশীদারের চেয়েও বেশি কিছু। এটি আত্মত্যাগকারীদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর দিন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়ে এটি আজ একটি বহুমুখী সম্পর্ক, যা আমাদের সম্পর্কে নতুন গতি যোগ করছে। দুই দেশ সব ক্ষেত্রে নতুন সংযোগ গড়ে তুলছে। বৃহত্তর আশা এবং বৃহত্তর আশাবাদের সঙ্গে সুযোগটি সত্যিই অন্তহীন।
তিনি বলেন, দুই দেশের ইতিহাস ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে তরুণদের আকৃষ্ট করতে তারা ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেন। সেই সফরের সময়ে প্রতিবছরের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মৈত্রী দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারতের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে ‘জলের গান’।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ১০ দিন আগে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।
নিউজ লাইট ৭১