ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কথিত ‘সিনিয়র সহকারী সচিব’ গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
  • / 57

প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রফিকুল হক মিঞা ।

সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. রফিকুল হক মিঞা (২৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার ক‌রেছে পু‌লিশ। বৃহস্প‌তিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে মিরপুর মডেল থানার ২ নং সেকশনের পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনারের (মিরপুর জোন) অফিসে থেকে তাকে ‌গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রফিক মিরপুর মধ্য পীরেরবাগ এলাকার মো. শামছুল হক মিঞার ছেলে।

মিরপুর ম‌ডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসীন ব‌লেন, গ্রেপ্তার রফিক একজন প্রতারক। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। কিন্তু নিজেকে পরিচয় দেন সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে। ৩৫ তম বিসিএস পাশ করে তিনি বর্তমানে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে উপ পরিচালক পদে আছেন বলেও দাবি করেন। এই পরিচয়ে তিনি ভিজিটিং কার্ডও ছাপান। থানায় কোন প্রয়োজন হলে তার ভিজিটিং কার্ড দেখালে ‘কাজ হয়ে যাবে’ বলে সবাইকে বলেন।

তার এমন কথা বিশ্বাস করেই বৃহস্প‌তিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে সেই ভিজিটিং কার্ড নিয়ে মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মাসুক মিয়ার কাছে যান আনু মিয়া। কার্ড দেখে রফিকের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হলে তাকে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে অতিরিক্ত উপ কমিশনারের অফিসে ডাকা হয়। আসার পর তার পরিচয়, কর্মস্থলসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অসংলগ্ন কথা বলা শুরু করেন।

পরে তার কথিত কর্মস্থলে যোগাযোগ করা হলে তারা এই নামে কেউ নেই বলে জানান। এক পর্যায়ে রফিক মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

কথিত ‘সিনিয়র সহকারী সচিব’ গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০২:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. রফিকুল হক মিঞা (২৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার ক‌রেছে পু‌লিশ। বৃহস্প‌তিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে মিরপুর মডেল থানার ২ নং সেকশনের পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনারের (মিরপুর জোন) অফিসে থেকে তাকে ‌গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রফিক মিরপুর মধ্য পীরেরবাগ এলাকার মো. শামছুল হক মিঞার ছেলে।

মিরপুর ম‌ডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসীন ব‌লেন, গ্রেপ্তার রফিক একজন প্রতারক। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। কিন্তু নিজেকে পরিচয় দেন সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে। ৩৫ তম বিসিএস পাশ করে তিনি বর্তমানে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে উপ পরিচালক পদে আছেন বলেও দাবি করেন। এই পরিচয়ে তিনি ভিজিটিং কার্ডও ছাপান। থানায় কোন প্রয়োজন হলে তার ভিজিটিং কার্ড দেখালে ‘কাজ হয়ে যাবে’ বলে সবাইকে বলেন।

তার এমন কথা বিশ্বাস করেই বৃহস্প‌তিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে সেই ভিজিটিং কার্ড নিয়ে মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মাসুক মিয়ার কাছে যান আনু মিয়া। কার্ড দেখে রফিকের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হলে তাকে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে অতিরিক্ত উপ কমিশনারের অফিসে ডাকা হয়। আসার পর তার পরিচয়, কর্মস্থলসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অসংলগ্ন কথা বলা শুরু করেন।

পরে তার কথিত কর্মস্থলে যোগাযোগ করা হলে তারা এই নামে কেউ নেই বলে জানান। এক পর্যায়ে রফিক মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।

নিউজ লাইট ৭১