ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রথম আলো মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেও ক্ষমা চায়নি: তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩
  • / 23

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি, সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার পরেও ক্ষমা চায়নি প্রথম আলো। অথচ তারা আন্তর্জাতিক মহলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা বলছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রতিবেদন করায় প্রতিবেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে লেখার কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টুও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম আলো এখন পর্যন্ত ক্ষমা চায়নি। ভুল স্বীকার করে পত্রিকায় কোন বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। বরং সংশ্লিষ্ট মিডিয়া হাউজ থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের টেলিফোন করা হয়েছে, দেন দরবার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ে লেখার কারণে এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তিনি জানান, গ্রেপ্তার হয়েছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা ও শিশুকে এক্সপ্লোয়েটে অপরাধে। এখন মিথ্যা অপপ্রচারের কারণে কেউ মামলা করে কি না তা দেখার বিষয়। সমালোচনাকে সরকার স্বাগত জানায়। কাজ করলে সমালোচনা হবেই।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দেশ ও দেশের বাইরে থেকে কেউ কেউ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখতে পায় না বরং এটিকে নিয়ে কটাক্ষ করে। দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত ঘটনা হলো আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতিকে আড়াল করা হয়। কোন কোন সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাই, কোনো একটি নেতিবাচক সংবাদ হলে সেটিকে যেভাবে ফলাও করে প্রচার করা হয়, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসা কিংবা বিভিন্ন সূচকে যখন আমরা এগিয়ে যাই, সেটি সেভাবে প্রচার করা হয় না। যেটি সমীচীন নয়।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘অনেক সময় খারাপ সংবাদকে গুরুত্ব দিয়ে ছাপানো হয়। ভালো সংবাদকে পরিবেশন করা হয় না। ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। সেই দিন মহান জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে একটি শিশুর হাতে দশ টাকা দিয়ে যেই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তাকে দিয়ে যে বক্তব্য দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, সে সেই বক্তব্য দেয়নি।’

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, একজন দিনমজুরের বক্তব্য দিয়ে ছাপানো হয়েছে, ‘স্বাধীনতা দিয়ে কী হবে, যদি খাইতে না পারি’। এভাবে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। একই সাথে একটি শিশুর ছবি ব্যবহার করে তাকে নিগ্রহ করা হয়েছে। দিনমজুরের বক্তব্য, ছবি শিশুর। তারা অনলাইনে সেটি প্রকাশও করেছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

 

facebook sharing button
twitter sharing button
messenger sharing button
sharethis sharing button

 

Tag :

শেয়ার করুন

প্রথম আলো মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেও ক্ষমা চায়নি: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার পরেও ক্ষমা চায়নি প্রথম আলো। অথচ তারা আন্তর্জাতিক মহলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা বলছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রতিবেদন করায় প্রতিবেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে লেখার কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টুও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম আলো এখন পর্যন্ত ক্ষমা চায়নি। ভুল স্বীকার করে পত্রিকায় কোন বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। বরং সংশ্লিষ্ট মিডিয়া হাউজ থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের টেলিফোন করা হয়েছে, দেন দরবার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ে লেখার কারণে এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তিনি জানান, গ্রেপ্তার হয়েছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা ও শিশুকে এক্সপ্লোয়েটে অপরাধে। এখন মিথ্যা অপপ্রচারের কারণে কেউ মামলা করে কি না তা দেখার বিষয়। সমালোচনাকে সরকার স্বাগত জানায়। কাজ করলে সমালোচনা হবেই।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দেশ ও দেশের বাইরে থেকে কেউ কেউ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখতে পায় না বরং এটিকে নিয়ে কটাক্ষ করে। দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত ঘটনা হলো আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতিকে আড়াল করা হয়। কোন কোন সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাই, কোনো একটি নেতিবাচক সংবাদ হলে সেটিকে যেভাবে ফলাও করে প্রচার করা হয়, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসা কিংবা বিভিন্ন সূচকে যখন আমরা এগিয়ে যাই, সেটি সেভাবে প্রচার করা হয় না। যেটি সমীচীন নয়।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘অনেক সময় খারাপ সংবাদকে গুরুত্ব দিয়ে ছাপানো হয়। ভালো সংবাদকে পরিবেশন করা হয় না। ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। সেই দিন মহান জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে একটি শিশুর হাতে দশ টাকা দিয়ে যেই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তাকে দিয়ে যে বক্তব্য দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, সে সেই বক্তব্য দেয়নি।’

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, একজন দিনমজুরের বক্তব্য দিয়ে ছাপানো হয়েছে, ‘স্বাধীনতা দিয়ে কী হবে, যদি খাইতে না পারি’। এভাবে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। একই সাথে একটি শিশুর ছবি ব্যবহার করে তাকে নিগ্রহ করা হয়েছে। দিনমজুরের বক্তব্য, ছবি শিশুর। তারা অনলাইনে সেটি প্রকাশও করেছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

 

facebook sharing button
twitter sharing button
messenger sharing button
sharethis sharing button