শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা মুখ্য
- আপডেট টাইম : ০৯:২২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / 15
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা মুখ্য। পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করছে বলেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪৮ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আহ্বান করেছিলেন বাংলাদেশের পুলিশকে জনগণের পুলিশ হওয়ার জন্য। আজ পুলিশ সে জায়গায়টিতে এসেছে। জনগণের আস্থার জায়গা, বিশ্বাসের জায়গাটাতে পুলিশ আসছে। পুলিশ আজ জনগণের বন্ধু।
বঙ্গবন্ধু ডিএমপি তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার প্রচেষ্টাতেই ডিএমপির যাত্রা শুরু হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ ডিএমপি ৪৮ বছরে পদার্পন করেছে। ৫০টি থানাসহ ডিএমপিতে আরও ইউনিট রয়েছে, যারা সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
যখন আমরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম জঙ্গি উত্থানের কারণে। হোমগ্রোথ টেরোরিস্ট এবং আন্তর্জাতিক টেরোরিস্টের যোগসাজশে যে জঙ্গি প্রচেষ্টা হয়েছিলো। তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডিএএমপিতে সিটিটিটিসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সিটিটিসি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জঙ্গি দমন করতে পেরেছিলো।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৪-১৫ অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করার দৃশ্য আপনারা দেখেছিলেন। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দৃশ্য দেখেছেন। তখন পুলিশ কাজ করছে, অনেক পুলিশ সদস্য শাহাদাত বরণ করেছে। প্রত্যেকটা আন্দোলন প্রত্যেকটা সংকটে পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বীরত্বের সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলেই আজ বাংলাদেশের এই দু্র্বার অগ্রগতি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি, এর পেছনের শক্তিটা হলো শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারছি বলেই এগিয়ে যাচ্ছি। পুলিশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
ঢাকায় ২ কোটি মানুষের বাস, এখানে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা সহয কথা নয়। কিন্তু ডিএমপি ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বর্তমানে ৫০টি থানায় ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য ডিএমপিতে কাজ করছে। নগরবাসীর সঙ্গে ডিএমপির সৌহার্দ বৃদ্ধি করে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখাই হবে মূল লক্ষ্য। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আগুন সন্ত্রাস, হলি আর্টিসানে জঙ্গি আক্রমণ দমনে ডিএমপির ভূমিকা বাংলাদেশের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানের দক্ষতা অর্জনে ডিএমপি ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বর্তমানে ডিএমপির সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভবিষ্যতে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালালে তাহলে জনগণের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর আইনআনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম মেগাসিটি, বৈচিত্র্যময় মহানগরী ঢাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখা, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও বিনিয়োগবান্ধব স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে টিম ডিএমপি বাংলাদেশ পুলিশের মুখ্যছবি হিসেবে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জঙ্গি, সন্ত্রাস নাশকতা দমন স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা ও জনমনে পুলিশিসেবা নিশ্চিত করা। সমসাময়িক অপরাধীদের ধরন ও গতি প্রকৃতির ধরন বিবেচনা করে বিশেষত সাইবার অপরাধ দমনে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে যুগ উপযোগী পুলিশী সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
নিউজ লাইট ৭১