ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির লালকেল্লাসহ বেশ কিছু এলাকা।

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 113

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির লালকেল্লাসহ বেশ কিছু এলাকা।

এর ফলে ১৭টি মেট্রো স্টেশনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদেও। প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেঙ্গালুরুতে আটক হয়েছেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ১৪৪ ধারা চলছে দিল্লির কয়েকটি জায়গায়। তার মধ্যে লালকেল্লা চত্বরও রয়েছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই এ দিন সকাল থেকে ভিড় জমাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। আগে থেকেই সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিক্ষোভকারীরা লালকেল্লার সামনে জমায়েত হতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এ দিনের এই বিক্ষোভেই শামিল হয়েছিলেন স্বরাজ ইন্ডিয়া-র সর্বভারতীয় সভাপতি যোগেন্দ্র যাদব। পুলিশ তাঁকেও আটক করে বলে জানা গেছে। দিল্লির মান্ডি হাউস চত্বরেও পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দিল্লিতে এ দিন ১৭টি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, লাল কিল্লা, জামা মসজিদ, চাঁদনি চক, বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, জাসোলা বিহার, শাহিন বাগ এবং মুনিরকা।

রাজধানীর বেশি কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে জিও, এয়ারটেল ও ভোডাফোন। দিল্লির সীমানা লাগোয়া এনএইচ ৪৮, এমজি রোড এবং ওল্ড দিল্লি-গুরুগ্রাম রোড বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ফলে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে।

দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক এম এস রানধওয়া বিক্ষোবকারীদের উদ্দেশে বলেন, “নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় প্রতিবাদ করুন। পুলিশকে সহযোগিতা করুন।”

অন্য দিকে, সিএএ-র প্রতিবাদে উত্তাল বেঙ্গালুরুও। এই আইনের প্রতিবাদে ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন। টাউন হলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তিনি।

১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেখানে। বড়সড় জমায়েতও নিষিদ্ধ। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই টাউন হলের সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। সেখান থেকেই রামচন্দ্র গুহ-সহ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।

রামচন্দ্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সাংবাদমাধ্যমকে সংবিধান নিয়ে বলার সময় আমাকে আটক করে পুলিশ। আমার হাতে গাঁধীজির একটা প্ল্যাকার্ড ছিল।’

‘তাঁর প্রশ্ন দেশে কি স্বৈরতন্ত্র চলছে? পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ করছিলাম। কোনও অশান্তি হয়নি। কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনেই পুলিশ এমন কাজ করছে।’

Tag :

শেয়ার করুন

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির লালকেল্লাসহ বেশ কিছু এলাকা।

আপডেট টাইম : ০৬:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির লালকেল্লাসহ বেশ কিছু এলাকা।

এর ফলে ১৭টি মেট্রো স্টেশনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদেও। প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেঙ্গালুরুতে আটক হয়েছেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ১৪৪ ধারা চলছে দিল্লির কয়েকটি জায়গায়। তার মধ্যে লালকেল্লা চত্বরও রয়েছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই এ দিন সকাল থেকে ভিড় জমাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। আগে থেকেই সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিক্ষোভকারীরা লালকেল্লার সামনে জমায়েত হতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এ দিনের এই বিক্ষোভেই শামিল হয়েছিলেন স্বরাজ ইন্ডিয়া-র সর্বভারতীয় সভাপতি যোগেন্দ্র যাদব। পুলিশ তাঁকেও আটক করে বলে জানা গেছে। দিল্লির মান্ডি হাউস চত্বরেও পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দিল্লিতে এ দিন ১৭টি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, লাল কিল্লা, জামা মসজিদ, চাঁদনি চক, বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, জাসোলা বিহার, শাহিন বাগ এবং মুনিরকা।

রাজধানীর বেশি কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে জিও, এয়ারটেল ও ভোডাফোন। দিল্লির সীমানা লাগোয়া এনএইচ ৪৮, এমজি রোড এবং ওল্ড দিল্লি-গুরুগ্রাম রোড বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ফলে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে।

দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক এম এস রানধওয়া বিক্ষোবকারীদের উদ্দেশে বলেন, “নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় প্রতিবাদ করুন। পুলিশকে সহযোগিতা করুন।”

অন্য দিকে, সিএএ-র প্রতিবাদে উত্তাল বেঙ্গালুরুও। এই আইনের প্রতিবাদে ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন। টাউন হলের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তিনি।

১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেখানে। বড়সড় জমায়েতও নিষিদ্ধ। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই টাউন হলের সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। সেখান থেকেই রামচন্দ্র গুহ-সহ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।

রামচন্দ্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সাংবাদমাধ্যমকে সংবিধান নিয়ে বলার সময় আমাকে আটক করে পুলিশ। আমার হাতে গাঁধীজির একটা প্ল্যাকার্ড ছিল।’

‘তাঁর প্রশ্ন দেশে কি স্বৈরতন্ত্র চলছে? পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ করছিলাম। কোনও অশান্তি হয়নি। কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনেই পুলিশ এমন কাজ করছে।’