ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় স্ত্রীর যৌতুক মামলায় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক জেলে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 104

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর যৌতুক মামলায় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) স্বামী মো. সালাহউদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার (১৫ ডিসেস্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে হাজির হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার ছাদাত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সালাউদ্দিন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার পরির্দশক (তদন্ত) ছিলেন।

সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় আরো দুই টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। তার প্রথম স্ত্রীও মামলা করেছেন তার বিরুদ্ধে।

সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী তাহমীনা আক্তার পান্না গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক মামলা করেন।

এই মামলায় বিচারক সমন জারি করে সালাউদ্দিনকে ১৫ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। সমন অনুসারে রোববার সালাউদ্দিন আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম মেড্ডা এলাকার মৃত শরাফ উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তার পান্নার সঙ্গে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক চট্টগ্রামের হাটহাজারী উত্তর মাদ্রাসা এলাকার সামসুল আলমের ছেলে সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়।

বিয়ের সময ১৫ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। বিয়ের পর তাহমিনা একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। তার বয়স তিন বছর। গত তিন-চার মাস আগে তাহমিনার কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন স্বামী সালাউদ্দিন।

গত ১৫ নভেম্বর সালাউদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সামনে পুলিশের চাকুরিতে পদোন্নতির কথা বলে আবার ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের ২০ লাখ টাকা না দিলে অন্যত্র বিয়ে করবে বলে তাহমিনাকে ভয় দেখান সালাউদ্দিন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাহমিনাকে নাকে মুখে চর-থাপ্পর, কিল, ঘুষিসহ এলোপাথারি মারধর করেন সালাউদ্দিন।

পরে স্ত্রী ও সন্তানকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। ঘটনার পরপর বিষয়টি কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে জানিয়েও কোনো বিচার পাননি তাহমিনা।

গত ২ ডিসেম্বর সালাউদ্দিনকে কোতোয়ালি থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এজন্য বিচার পাওয়ার আশায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন বলে এজহারে উল্লেখ করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন স্ত্রী তাহমিনা। রোববার আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান তিনি।

Tag :

শেয়ার করুন

দ্বিতীয় স্ত্রীর যৌতুক মামলায় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক জেলে

আপডেট টাইম : ১১:৪৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর যৌতুক মামলায় সাবেক পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) স্বামী মো. সালাহউদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার (১৫ ডিসেস্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে হাজির হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার ছাদাত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সালাউদ্দিন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার পরির্দশক (তদন্ত) ছিলেন।

সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় আরো দুই টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। তার প্রথম স্ত্রীও মামলা করেছেন তার বিরুদ্ধে।

সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী তাহমীনা আক্তার পান্না গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক মামলা করেন।

এই মামলায় বিচারক সমন জারি করে সালাউদ্দিনকে ১৫ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। সমন অনুসারে রোববার সালাউদ্দিন আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম মেড্ডা এলাকার মৃত শরাফ উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তার পান্নার সঙ্গে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক চট্টগ্রামের হাটহাজারী উত্তর মাদ্রাসা এলাকার সামসুল আলমের ছেলে সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়।

বিয়ের সময ১৫ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। বিয়ের পর তাহমিনা একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। তার বয়স তিন বছর। গত তিন-চার মাস আগে তাহমিনার কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন স্বামী সালাউদ্দিন।

গত ১৫ নভেম্বর সালাউদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সামনে পুলিশের চাকুরিতে পদোন্নতির কথা বলে আবার ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের ২০ লাখ টাকা না দিলে অন্যত্র বিয়ে করবে বলে তাহমিনাকে ভয় দেখান সালাউদ্দিন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাহমিনাকে নাকে মুখে চর-থাপ্পর, কিল, ঘুষিসহ এলোপাথারি মারধর করেন সালাউদ্দিন।

পরে স্ত্রী ও সন্তানকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। ঘটনার পরপর বিষয়টি কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে জানিয়েও কোনো বিচার পাননি তাহমিনা।

গত ২ ডিসেম্বর সালাউদ্দিনকে কোতোয়ালি থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এজন্য বিচার পাওয়ার আশায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন বলে এজহারে উল্লেখ করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন স্ত্রী তাহমিনা। রোববার আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান তিনি।