ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 26

নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপির নির্বাচন ভীতির কারণ তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

নতুন নির্বাচন কমিশন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রস্তাবিত নাম বাদ পড়লেও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ায় আমরা সস্তুষ্ট। গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি, নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের সম্মানিত সদস্যরা তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন। দেশের মানুষ যাতে ভোটের মাধ্যমে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করবেন। আমাদের প্রত্যাশা, তারা অতীতে যে যোগ্যতা ও দক্ষতা দেখিয়েছেন, ভবিষ্যতেও সেভাবে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করবেন।

এসময় শুধু রাজনৈতিক ফায়দার জন্য এই কমিশনকে নিয়ে কোনো প্রকার অযৌক্তিক ও বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত না হয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানান সেতুমন্ত্রী।

নতুন কমিশনের অধীনে সব নির্বাচন যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য রাজনৈতিক দলসমূহকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানান তিনি।

ইসি নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজ সাধুবাদ জানালেও বিএনপি নেতারা চিরাচরিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নেতিবাচক ও বিভ্রান্তকর বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই, তারা এটি মানেন না।

বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনিহার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপির প্রতি দেশের জনগণের কোনো প্রকার আগ্রহ নেই এবং তারা সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন ও হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের ফলেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। তাদের লক্ষ্য নির্বাচন নয়, হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

বিএনপি বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত

আপডেট টাইম : ০৬:১৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপির নির্বাচন ভীতির কারণ তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

নতুন নির্বাচন কমিশন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রস্তাবিত নাম বাদ পড়লেও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ায় আমরা সস্তুষ্ট। গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি, নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের সম্মানিত সদস্যরা তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন। দেশের মানুষ যাতে ভোটের মাধ্যমে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করবেন। আমাদের প্রত্যাশা, তারা অতীতে যে যোগ্যতা ও দক্ষতা দেখিয়েছেন, ভবিষ্যতেও সেভাবে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করবেন।

এসময় শুধু রাজনৈতিক ফায়দার জন্য এই কমিশনকে নিয়ে কোনো প্রকার অযৌক্তিক ও বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত না হয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানান সেতুমন্ত্রী।

নতুন কমিশনের অধীনে সব নির্বাচন যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য রাজনৈতিক দলসমূহকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানান তিনি।

ইসি নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজ সাধুবাদ জানালেও বিএনপি নেতারা চিরাচরিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নেতিবাচক ও বিভ্রান্তকর বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই, তারা এটি মানেন না।

বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনিহার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপির প্রতি দেশের জনগণের কোনো প্রকার আগ্রহ নেই এবং তারা সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন ও হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের ফলেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। তাদের লক্ষ্য নির্বাচন নয়, হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা।

নিউজ লাইট ৭১