বর্ডারে সেন্সর বসানো হচ্ছে
- আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / 32
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, এক এলাকায় বাধা দিলে মাদক প্রবেশে উল্টো আরেকটা পথ সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ডারে সেন্সর বসানো হচ্ছে। আমরা আরও নজরদারি বাড়াচ্ছি। মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোনো ড্রাগ প্রডিউসিং (মাদক উৎপাদন) কান্ট্রি নয়, তারপরও পাশের দেশ থেকে মাদক প্রবেশ করছে। পাশের যেসব দেশ থেকে মাদক আসে সেসব দেশের সঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়েও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ইয়াবা ও আইসের মতো ভয়ংকর মাদক প্রবেশ করছে। মাদক রোধে শুধু কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশ সবাই সতর্ক রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কোস্টগার্ডে জনবল সংকট ছিল। কোস্টগার্ডের আইনে রয়েছে এখানকার সবাই নৌবাহিনী থেকে নিয়োগ হবে, সেজন্য একটু সংকট রয়েছে। তাই আমরা খুব শিগগিরই আইনের সংশোধন করছি। যেন নিজস্ব জনবল নিয়োগের মাধ্যমে কোস্টগার্ড বিজিবির মতো বাহিনীতে পরিণত হয়। পটুয়াখালীতে কোস্টগার্ডের একটি ট্রেনিং একাডেমি স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে জনবলকে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কোস্টগার্ড একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। যখন যা প্রয়োজন তিনি ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, যার মাধ্যমে বাহিনীটির স্লোগান ‘গার্ডিয়ান অ্যাট সি’ সফল হতে যাচ্ছে।
১৯টি জেলা উপকূলীয় ও ৪৭ হাজার কিলোমিলার উপকূলীয় এলাকা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এত বিশাল এলাকার রক্ষাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা একটা দুরূহ কাজ। কোস্টগার্ড তৈরির আগে বা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দায়িত্বগ্রহণের আগে এগুলো ছিল অরক্ষিত। কিন্তু বর্তমানে মৎস্য-বনজ সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি মানবপাচার, মাদকের লেনদেন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে কোস্টগার্ড।
তিনি বলেন, আমাদের উপকূলে প্রায়সই পাশের দেশের জেলেরা এসে শিকার করে নিয়ে যেত। এখন সেই দৃশ্য পাল্টে গেছে, ধীরে ধীরে কোস্টগার্ড ‘গার্ডিয়ান অ্যাট সি’তে পরিণত হচ্ছে।
নিউজ লাইট ৭১