ঢাকা ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিককে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের মামলায় কারাগারে ২

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২
  • / 29

খোরশেদুল আলম মাসুদ

সাংবাদিক এমদাদুল হক খানকে রাজধানীর পেয়ারাবাগে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের মামলায় খোরশেদুল আলম মাসুদ ও তার সহযোগী ইয়াসিন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রহমত উল্লাহ রনী দুই আসামিকে এর আগে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আগামীকাল রোববার (৩০ জানুয়ারি) জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে খোরশেদুল আলম মাসুদ ও ইয়াসিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে খোরশেদুল আলম তার সহযোগীদের নিয়ে পেয়ারাবাগে এমদাদুল হকের ভাড়া বাসায় যান। এরপর তাকে মারধর ও ভবনের নিচতলায় রাখা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এমদাদুল হক ওই রাতেই খোরশেদুল আলম ও অজ্ঞাত দুজনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।

মামলায় জানা যায়, এমদাদুল সম্প্রতি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। এমদাদুল যে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন, সেটি খোরশেদুলের স্ত্রীর। বুধবার রাত ১১টার দিকে খোরশেদুল ও অজ্ঞাত দুই–তিনজন এমদাদুলের ফ্ল্যাটের কলিংবেল বাজান। এমদাদুলের স্ত্রীর দরজা খুলে দিলে খোরশেদুল তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন এবং বাসার ভেতরে ঢোকেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমদাদুলকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন খোরশেদুল। এ সময় এমদাদুলকে বাঁচাতে গেলে তার স্ত্রীকেও মারধর করেন এবং তার গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নেন খোরশেদুল ও তার সহযোগীরা। পরে তারা বাড়ির গ্যারেজে থাকা এমদাদুলের মোটরসাইকল ভাঙচুর করেন।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

সাংবাদিককে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের মামলায় কারাগারে ২

আপডেট টাইম : ০৩:১৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২

সাংবাদিক এমদাদুল হক খানকে রাজধানীর পেয়ারাবাগে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের মামলায় খোরশেদুল আলম মাসুদ ও তার সহযোগী ইয়াসিন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রহমত উল্লাহ রনী দুই আসামিকে এর আগে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আগামীকাল রোববার (৩০ জানুয়ারি) জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে খোরশেদুল আলম মাসুদ ও ইয়াসিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে খোরশেদুল আলম তার সহযোগীদের নিয়ে পেয়ারাবাগে এমদাদুল হকের ভাড়া বাসায় যান। এরপর তাকে মারধর ও ভবনের নিচতলায় রাখা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এমদাদুল হক ওই রাতেই খোরশেদুল আলম ও অজ্ঞাত দুজনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।

মামলায় জানা যায়, এমদাদুল সম্প্রতি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। এমদাদুল যে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন, সেটি খোরশেদুলের স্ত্রীর। বুধবার রাত ১১টার দিকে খোরশেদুল ও অজ্ঞাত দুই–তিনজন এমদাদুলের ফ্ল্যাটের কলিংবেল বাজান। এমদাদুলের স্ত্রীর দরজা খুলে দিলে খোরশেদুল তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন এবং বাসার ভেতরে ঢোকেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমদাদুলকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন খোরশেদুল। এ সময় এমদাদুলকে বাঁচাতে গেলে তার স্ত্রীকেও মারধর করেন এবং তার গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নেন খোরশেদুল ও তার সহযোগীরা। পরে তারা বাড়ির গ্যারেজে থাকা এমদাদুলের মোটরসাইকল ভাঙচুর করেন।

নিউজ লাইট ৭১