পাপুলের ৪ বছর কারাদণ্ড
- আপডেট টাইম : ০৬:০৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / 121
অর্থ ও মানবপাচারের মামলায় গেলো বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুয়েতের আদালত।
এমপি পাপুলের এ সাজাকে কুয়েত সরকার ও বিচার বিভাগের নিজস্ব ব্যাপার বলে জানিয়েছে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস।
সাজা নিয়ে কিছুই করার নেই বলে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে টেলিফোনে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আশিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, “তাদের নিজস্ব বিচার বিভাগের মাধ্যমে এ সাজা দেয়া হয়েছে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।”
বৃহস্পতিবার কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওসমান এমপি পাপুলকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাপুলকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ৫৩ কোটি ২১ লাখ টাকা) জরিমানাও করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও লক্ষ্মীপুর সদরের আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুল প্রায় আট মাস ধরে কুয়েতে আটক আছেন।
অর্থপাচার, মানবপাচার ও শ্রমিক শোষণের অভিযোগে গত ৬ জুন কুয়েত সিটির মুশরিফ এলাকার বাসা থেকে পাপুলকে গ্রেপ্তার করে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগে মামলা করা হয়।
পাপুলের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের মামলার রায় হলেও এখনও মানব ও অর্থপাচারের দুটি মামলার রায় অপেক্ষমাণ রয়েছে।
এদিকে, কুয়েতের আদালতে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বাংলাদেশের সংসদ সদস্য পদ হারাতে হবে পাপুলকে।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য পেলে তবেই তার সদস্যপদ খারিজের উদ্যোগ নেবে সংসদ সচিবালয়।
আর পাপুলের সদস্য পদ নিয়ে কোনো বিতর্ক দেখা দিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো আইনপ্রণেতা নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হল সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবে না এবং মুক্তি পাওয়ার পর পাঁচ বছর পর্যন্ত তিনি আর সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হন না।
নিউজ লাইট ৭১