ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক থেকে রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
  • / 96

নিউজ লাইট ৭১ঃ দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলো থেকে সব রকম ট্যাক্স, ভ্যাট, অন্যান্য রাজস্ব আদায়সহ পাঁচ দফা নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসিসহ সংশ্নিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

রোববার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এই রায় দেন। এর ফলে অনলাইনভিত্তিক এ খাত থেকে বাংলাদেশ বিপুল রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন রিটকারীর আইনজীবীরা।

গুগল, ফেসবুকসহ এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করে রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, জনস্বার্থে করা রিট পিটিশনের আদেশের পর দীর্ঘ আড়াই বছর পেরুলেও সরকারি দপ্তরগুলো তেমন কোনো সাফল্যজনক রাজস্ব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এই রায় বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের রাজস্ব আদায়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করা সম্ভব। কারণ প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা এই কোম্পানিগুলোকে দেশ থেকে পরিশোধ করা হয়। পরে রায়ে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

রায়ের অপর চার নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশ থেকে গত পাঁচ বছরে পরিশোধিত অর্থের বিপরীতে আনুপাতিক হারে বকেয়া রাজস্ব আদায় করতে হবে। রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রতি ছয় মাস পর পর হলফনামা আকারে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে, এই রায় একটি চলমান আদেশ বা কন্টিনিউয়াস ম্যানডেমাস হিসেবে বলবৎ থাকবে এবং এ রায় বাস্তবায়নে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে দেশের যে কোনো নাগরিক যে কোনো সময় আদালতে আবেদন করে প্রতিকার চাইতে পারবেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মো. মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক ও ব্যারিস্টার সাজ্জাদুল ইসলাম।

ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব সাংবাদিকদের জানান, গুগল, ফেসবুক এবং অন্যান্য ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানির বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার বিষয় এবং বাংলাদেশের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনের লক্ষে জনস্বার্থে দায়ের করা রিট পিটিশন এর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিবাদীদের প্রতি পাঁচটি নির্দেশনা জারি করেছেন।

২০১৮ সালে একটি পত্রিকার প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার মো. সাজ্জাদুল ইসলামসহ ছয় জন আইনজীবী। তারা জনস্বার্থে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন।

Tag :

শেয়ার করুন

গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক থেকে রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ

আপডেট টাইম : ০৬:৪০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০

নিউজ লাইট ৭১ঃ দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলো থেকে সব রকম ট্যাক্স, ভ্যাট, অন্যান্য রাজস্ব আদায়সহ পাঁচ দফা নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসিসহ সংশ্নিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

রোববার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এই রায় দেন। এর ফলে অনলাইনভিত্তিক এ খাত থেকে বাংলাদেশ বিপুল রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন রিটকারীর আইনজীবীরা।

গুগল, ফেসবুকসহ এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করে রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, জনস্বার্থে করা রিট পিটিশনের আদেশের পর দীর্ঘ আড়াই বছর পেরুলেও সরকারি দপ্তরগুলো তেমন কোনো সাফল্যজনক রাজস্ব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এই রায় বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের রাজস্ব আদায়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করা সম্ভব। কারণ প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা এই কোম্পানিগুলোকে দেশ থেকে পরিশোধ করা হয়। পরে রায়ে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

রায়ের অপর চার নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশ থেকে গত পাঁচ বছরে পরিশোধিত অর্থের বিপরীতে আনুপাতিক হারে বকেয়া রাজস্ব আদায় করতে হবে। রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রতি ছয় মাস পর পর হলফনামা আকারে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে, এই রায় একটি চলমান আদেশ বা কন্টিনিউয়াস ম্যানডেমাস হিসেবে বলবৎ থাকবে এবং এ রায় বাস্তবায়নে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে দেশের যে কোনো নাগরিক যে কোনো সময় আদালতে আবেদন করে প্রতিকার চাইতে পারবেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মো. মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক ও ব্যারিস্টার সাজ্জাদুল ইসলাম।

ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব সাংবাদিকদের জানান, গুগল, ফেসবুক এবং অন্যান্য ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানির বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার বিষয় এবং বাংলাদেশের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনের লক্ষে জনস্বার্থে দায়ের করা রিট পিটিশন এর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিবাদীদের প্রতি পাঁচটি নির্দেশনা জারি করেছেন।

২০১৮ সালে একটি পত্রিকার প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার মো. সাজ্জাদুল ইসলামসহ ছয় জন আইনজীবী। তারা জনস্বার্থে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন।