৭১: ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার জামিন আবেদনের রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

বুধবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় দেন।

এনু ও রুপন ভূঁইয়ার আলাদা দুই মামলার জামিনের বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর মঙ্গলবার শুনানি শেষ হয়েছে। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

এনু-রুপনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এদিকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাদের কেন জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

গত ১৫ জুন আলাদা মামলায় এ দুই ভাইয়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর তারা হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ভাই এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে টাকা ও গহনা জব্দ করার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র‌্যাব।

এরপর দুদক তাদের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধান শেষে গত বছর ২৩ অক্টোবর ৩৫ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

এর মধ্যে এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এনু ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

অপরদিকে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

সেই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রুপন অসৎ উদ্দেশে অবৈধ পন্থায় নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।