ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠান্ডা না গরম, কোন দুধ বেশি উপকারী?

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
  • / 107

৭১: শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাবারের তালিকায় দুধ অন্যতম। বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকায় এ খাবারটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। দুধ কেউ গরম খেতে ভালোবাসেন, কারও বা ঠান্ডা দুধ পছন্দ। দুধ ঠান্ডা বা গরম যেভাবেই খান না কেন তাতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-

১. দোকানে যেসব প্যাকেটজাত দুধ পাওয়া তা পাস্তরিত করার জন্য নানা রাসায়নিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। এই দুধ গরম করেই খেতে হয়। তবে টেট্রা প্যাকের দুধ ঠান্ডা অবস্থাতেও খাওয়া যেতে পারে। কারণ এই দুধ অতটা রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে না যাওয়ার কারণে এর মধ্যে পুষ্টিগুণ বেশি মাত্রায় বজায় থাকে। তবে ঠান্ডা দুধ শুধুমাত্র সকালেই খাওয়া যেতে পারে। রাতে ঠান্ডা দুধ খেলে তা হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।

২. ঠান্ডা দুধ খাওয়ার আরেকটি ভালো দিক হলো এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। ফলে বেশি ক্যালরি ক্ষয় হয়। তবে শীতকাল এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা দুধ না খাওয়াই ভালো। এই সময় ঠান্ডা দুধ খেলে সর্দি-কাশি হতে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে অবশ্য ঠান্ডা নয়, গরম দুধ খাওয়া উচিত।

৩. ঠান্ডা দুধ স্থূলতা কমাতে সহায়ক। আর ভালো ঘুম বা হজমশক্তি বাড়াতে গরম দুধের প্রয়োজন। কার জন্য কোনটা উপকারী সেটা বুঝেই দুধ ঠান্ডা বা গরম খাওয়া উচিত। দুধ থেকে তৈরি খাবার যাদের হজম হয় না, তাদের ঠান্ডা দুধ এড়ানো দরকার। ঠান্ডা দুধ তুলনামুলকভাবে ভারী, হজম করা কষ্ট। আর গরম দুধে ল্যাক্টোজের পরিমাণ কম থাকায় এটি সহজে হজম হয়।

Tag :

শেয়ার করুন

ঠান্ডা না গরম, কোন দুধ বেশি উপকারী?

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

৭১: শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাবারের তালিকায় দুধ অন্যতম। বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকায় এ খাবারটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। দুধ কেউ গরম খেতে ভালোবাসেন, কারও বা ঠান্ডা দুধ পছন্দ। দুধ ঠান্ডা বা গরম যেভাবেই খান না কেন তাতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-

১. দোকানে যেসব প্যাকেটজাত দুধ পাওয়া তা পাস্তরিত করার জন্য নানা রাসায়নিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। এই দুধ গরম করেই খেতে হয়। তবে টেট্রা প্যাকের দুধ ঠান্ডা অবস্থাতেও খাওয়া যেতে পারে। কারণ এই দুধ অতটা রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে না যাওয়ার কারণে এর মধ্যে পুষ্টিগুণ বেশি মাত্রায় বজায় থাকে। তবে ঠান্ডা দুধ শুধুমাত্র সকালেই খাওয়া যেতে পারে। রাতে ঠান্ডা দুধ খেলে তা হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।

২. ঠান্ডা দুধ খাওয়ার আরেকটি ভালো দিক হলো এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। ফলে বেশি ক্যালরি ক্ষয় হয়। তবে শীতকাল এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা দুধ না খাওয়াই ভালো। এই সময় ঠান্ডা দুধ খেলে সর্দি-কাশি হতে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে অবশ্য ঠান্ডা নয়, গরম দুধ খাওয়া উচিত।

৩. ঠান্ডা দুধ স্থূলতা কমাতে সহায়ক। আর ভালো ঘুম বা হজমশক্তি বাড়াতে গরম দুধের প্রয়োজন। কার জন্য কোনটা উপকারী সেটা বুঝেই দুধ ঠান্ডা বা গরম খাওয়া উচিত। দুধ থেকে তৈরি খাবার যাদের হজম হয় না, তাদের ঠান্ডা দুধ এড়ানো দরকার। ঠান্ডা দুধ তুলনামুলকভাবে ভারী, হজম করা কষ্ট। আর গরম দুধে ল্যাক্টোজের পরিমাণ কম থাকায় এটি সহজে হজম হয়।