প্রধানমন্ত্রী ভারত যাচ্ছেন বৃহস্পতিবার, সমঝোতা হতে পারে ৮ বিষয়ে
- আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯
- / 109
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দু’দেশের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি ৮টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যোগাযোগ, সংস্কৃতি, কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে সমঝোতা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর চারদিনের সফর শুরু হবে। সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী রোববার বিকালে দেশের উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস এ তথ্য জানিয়েছে।
হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ৫ অক্টোবর বৈঠকের পর মূলত যোগাযোগ, সংস্কৃতি, কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে এ পর্যন্ত ৭ থেকে ৮টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয় নিশ্চিত হয়েছে। তবে এ সংখ্যা ১০টিতেও উন্নীত হতে পারে।
হাইকমিশনার বলেন, তিস্তা ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সব বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে আমরা কোনো ধারণা পোষণ করতে পারছি না।
ভারতের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেন (এনআরসি) বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
হাইকমিশনার জানান, এনআরসি প্রশ্নে বাংলাদেশকে উদ্বিগ্ন না হতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, এটি তাদের ইস্যু, তাদেরই এটি হ্যান্ডেল করতে দিন। এনআরসি নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।
হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম (ডাবিøউইএফ)-এর ভারতীয় শাখা ইন্ডিয়ান ইকোনোমিক ফোরাম-২০১৯-এ যোগ দিতে ৩ অক্টোবর সকালে ৪ দিনের সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছাবেন।
ওই ফোরামে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতসহ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি তুলে ধরবেন।
এর পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বিগত কয়েক বছরে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার সরকারের ব্যাপক সাফল্যের কথাও উল্লেখ করবেন।
তিনি ভারতের বড় বড় বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাবেন।এ ছাড়া তিনি ভারতের তিনটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ নেতাদের সঙ্গে শুক্রবার যৌথভাবে বৈঠক ও মতবিনিময় করবেন।
ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে আয়োজিত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। বিকালে শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের হাইকমিশন আয়োজিত সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগ দেবেন।
এ ছাড়া সফররত সিঙ্গাপুরের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হেং সুয়ে কেট শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মভিত্তিক ফিচার ফিল্ম তৈরির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতের প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল রোববার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজিত বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র মুজিববর্ষ ২০২০-২১ শেষ হওয়ার আগে মুক্তি পাবে।