ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী আইনজীবীকে ধর্ষণ, ডাক্তার আটক

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
  • / 102

৭১: রাজশাহীতে ১৭ মাস ধরে একজন নারী আইনজীবীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ওই ডাক্তারকে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী ওই নারীকেও থানায় আনা হয়।

এই চিকিৎসকের নাম সাখাওয়াত হোসেন রানা (৪০)। ডা. রানার স্ত্রী-সন্তান আছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ।   

তবে ওই নারী অবিবাহিত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। আর চিকিৎসক রানার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়।

রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় তিনি ভাড়া থাকেন। ওই নারী তার বান্ধবীর সঙ্গে ভাড়া থাকেন নগরীর কোর্ট এলাকায়। তিনি রাজশাহী জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেন।

ওই নারীর দাবি, প্রায় দেড় বছর আগে ডা. রানার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিছুদিনের মধ্যেই ডা. রানা তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর একদিন কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। তারপর সেই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল।

ওই নারীর বরাত দিয়ে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে ডা. রানা ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এসময় ওই নারীর বান্ধবী পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন।

এছাড়া তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। তখন এলাকাবাসী ওই চিকিৎসককে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী ওই নারীকেও থানায় আনা হয়।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, কিছু ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চিকিৎসক দাবি করছেন, জোর করে নয়, প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

তবে এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা হবে। ওই নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

Tag :

শেয়ার করুন

নারী আইনজীবীকে ধর্ষণ, ডাক্তার আটক

আপডেট টাইম : ০৩:২৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০

৭১: রাজশাহীতে ১৭ মাস ধরে একজন নারী আইনজীবীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ওই ডাক্তারকে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী ওই নারীকেও থানায় আনা হয়।

এই চিকিৎসকের নাম সাখাওয়াত হোসেন রানা (৪০)। ডা. রানার স্ত্রী-সন্তান আছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ।   

তবে ওই নারী অবিবাহিত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। আর চিকিৎসক রানার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়।

রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় তিনি ভাড়া থাকেন। ওই নারী তার বান্ধবীর সঙ্গে ভাড়া থাকেন নগরীর কোর্ট এলাকায়। তিনি রাজশাহী জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেন।

ওই নারীর দাবি, প্রায় দেড় বছর আগে ডা. রানার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিছুদিনের মধ্যেই ডা. রানা তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর একদিন কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। তারপর সেই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল।

ওই নারীর বরাত দিয়ে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে ডা. রানা ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এসময় ওই নারীর বান্ধবী পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন।

এছাড়া তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। তখন এলাকাবাসী ওই চিকিৎসককে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী ওই নারীকেও থানায় আনা হয়।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, কিছু ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চিকিৎসক দাবি করছেন, জোর করে নয়, প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

তবে এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা হবে। ওই নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।