হিলি স্থলবন্দরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি
- আপডেট টাইম : ০১:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
- / 91
৭১: বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে দেশের ২য় বৃহত্তম দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর টানা আড়াই মাস যাবত আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গত অর্থ বছরে লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় ১শ’ কোটি টাকা রাজস্ব আয় কম হয়েছে। এর আগের অর্থ বছরেও লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩৬ কোটিরও অধিক টাকা কম রাজস্ব অর্জিত হয়েছিল।
হিলি স্থলবন্দর সুত্রে জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ( এনবিআর) কর্তৃপক্ষ হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণের লক্ষমাত্রা ২শ’ ৭১ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করলেও করোনার থাবায় ভারতের সঙ্গে গত ২৬ মার্চ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত দীর্ঘ আড়াই মাস আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ থাকে। এবং গত ৮ জুন থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য চালু করা হয়।
পূর্বে সাভাবিক অবস্থায় এ পথে ভারত থেকে প্রতিদিন যেখানে ৩ থেকে সাড়ে ৩ শতাধিক আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্য বোঝাই ট্রাক দেশে প্রবেশ করত। সেখানে বর্তমানে প্রতিদিন ৪০ টি ট্রাক প্রবেশের মধ্য দিয়ে বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়ার পর পর্যায়ক্রমে তা বাড়িয়ে প্রায় শতাধিক ট্রাক প্রবেশ করে। ফলে লক্ষমাত্রার চেয়ে ৮২ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা রাজস্ব ঘাটতি দেখা দেয়। তবে অর্থ বছরের শেষের জুন মাসে নির্ধারিত সাড়ে ২২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রার বিপরীতে মাত্র ১৯ কার্যদিবসেই ৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। যা জুন মাসের লক্ষমাত্রার চেয়ে সাড়ে ১২ কোটি টাকা বেশি।
এরআগে গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এই বন্দরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ মাত্রা ২শ’ ৬৯ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হলেও এর বিপরীতে অর্জিত হয়েছিল ২শ’ ৩৩ কোটি ১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। ফলে ৩৬ কোটি ২৯ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা রাজস্ব ঘাটতি হয়েছিল।
এব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, করোনা মহামারি শুধু আমাদের দেশে নয় এটা সারা বিশ্বের সমস্যা আর একারণে আমাদের রাজস্বের লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। করোনা ভাইরাসের কারণে যদি আড়াই মাস বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ না থাকতো তাহলে আমাদের লক্ষ মাত্রা অবশ্যই অর্জিত হত।