ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১০ নির্দেশনা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৪:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০
  • / 159
নিউজ লাইট ৭১: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১০ নির্দেশনা সম্বলিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সোমবার (১৬ মার্চ) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।

এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় জাতীয়, বিভাগীয়, সিটি কর্পোরেশন এলাকায়,  পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে যে কমিটি গঠিত হয়েছে, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ১০টি কার্যক্রম গ্রহণ করার আহবান জানানো হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১০ নির্দেশনা
১. হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিবর্গ ১৪ (চৌদ্দ) দিন ঘরের বাইরে বের হবেন না এবং নিজ বাড়ির নির্ধারিত একটি কক্ষে অবস্থান করবেন।
২. পরিবারের অন্যান্য সদস্য দেশে ফেরত সদস্যের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করবেন।
৩. গঠিত কমিটিসমূহ সম্প্রতি বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বাড়ি চিহ্নিত করবেন এবং তাদের গৃহে সার্বক্ষণিক অবস্থানের বিষয়ে তদারকি করবেন।
৪. গঠিত কমিটিসমূহ হোম কোয়ারেইন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ (যেমন: পৌর মেয়র, পৌর কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বার, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সহকারী, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, পরিবার কল্যাণ সহকারী, পরিবারকল্যাণ পরিদশির্কা, গ্রাম পুলিশ, স্থানীয় সাংবাদিক) বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পৃক্ত করতে হবে।
৫. কোয়ারেন্টাইনকৃত ব্যক্তির আত্মীয়-সজন, বন্ধু-বান্ধব উক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে পারবেন না।
৬. যদি কোয়ারেন্টাইনকৃত ব্যক্তি উপর্যুক্ত নিয়ম ভঙ্গ করেন, তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহায়তা গ্রহণ করবেন।
৭. প্রয়োজনে ৩নং ক্রমিকে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন।
৮. হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা অসুস্থ হলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং প্রয়োজনে স্থানীয় সিভিল সার্জন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করবেন। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৯. কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা যদি নিয়ম ভঙ্গ করেন তাহলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উক্ত আইনে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
১০. প্রতিদিন এ বিষয়ে জেলাভিত্তিক একটি প্রতিবেদন তৈরিপূর্বক সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ই-মেইল [email protected] ও মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ই-মেইল [email protected] এ প্রেরণ করবেন।
Tag :

শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১০ নির্দেশনা

আপডেট টাইম : ০৮:২৪:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০
নিউজ লাইট ৭১: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১০ নির্দেশনা সম্বলিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সোমবার (১৬ মার্চ) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।

এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় জাতীয়, বিভাগীয়, সিটি কর্পোরেশন এলাকায়,  পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে যে কমিটি গঠিত হয়েছে, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ১০টি কার্যক্রম গ্রহণ করার আহবান জানানো হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১০ নির্দেশনা
১. হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিবর্গ ১৪ (চৌদ্দ) দিন ঘরের বাইরে বের হবেন না এবং নিজ বাড়ির নির্ধারিত একটি কক্ষে অবস্থান করবেন।
২. পরিবারের অন্যান্য সদস্য দেশে ফেরত সদস্যের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করবেন।
৩. গঠিত কমিটিসমূহ সম্প্রতি বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বাড়ি চিহ্নিত করবেন এবং তাদের গৃহে সার্বক্ষণিক অবস্থানের বিষয়ে তদারকি করবেন।
৪. গঠিত কমিটিসমূহ হোম কোয়ারেইন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ (যেমন: পৌর মেয়র, পৌর কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বার, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সহকারী, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, পরিবার কল্যাণ সহকারী, পরিবারকল্যাণ পরিদশির্কা, গ্রাম পুলিশ, স্থানীয় সাংবাদিক) বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পৃক্ত করতে হবে।
৫. কোয়ারেন্টাইনকৃত ব্যক্তির আত্মীয়-সজন, বন্ধু-বান্ধব উক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে পারবেন না।
৬. যদি কোয়ারেন্টাইনকৃত ব্যক্তি উপর্যুক্ত নিয়ম ভঙ্গ করেন, তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহায়তা গ্রহণ করবেন।
৭. প্রয়োজনে ৩নং ক্রমিকে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন।
৮. হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা অসুস্থ হলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং প্রয়োজনে স্থানীয় সিভিল সার্জন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করবেন। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৯. কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা যদি নিয়ম ভঙ্গ করেন তাহলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উক্ত আইনে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
১০. প্রতিদিন এ বিষয়ে জেলাভিত্তিক একটি প্রতিবেদন তৈরিপূর্বক সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ই-মেইল [email protected] ও মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ই-মেইল [email protected] এ প্রেরণ করবেন।