ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরও একাধিক ‘পৃথিবীর’ সন্ধান পেল নাসা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:১৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯
  • / 122

প্রতীকী ছবি। এএফপি

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানীরা কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন। তবু ওই সব প্রশ্নের সমাধানে তাঁরা একবিন্দু্‌ও এগোতে পারেননি। এমন একটি প্রশ্ন, পৃথিবীই কি একমাত্র প্রাণের উৎস?

তবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) বিজ্ঞানীরা এবার এমন তিনটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যা তাঁদের ওই প্রশ্নের সমাধানে সহায়তা করতে পারে। এই মহাজগতে পৃথিবী ছাড়া আর কোনো গ্রহে প্রাণের স্পন্দন আছে কি না, সেই রহস্যের ওপর আলো ফেলতে পারে ওই তিন গ্রহ।

নাসার খুঁজে পাওয়া এই তিনটি নতুন গ্রহের মধ্যে একটি নতুন ধরনের বিশ্ব ব্যবস্থা আছে, যেটা আমাদের সৌরজগতে আগে কখনো দেখা যায়নি।
গবেষকেরা বলছেন, এই রহস্যময় গ্রহগুলো হতে পারে ‘হারিয়ে যাওয়া সেই সূত্র’ যেটা ‘এলিয়েন (ভিনগ্রহবাসী)’ খুঁজে পেতে বিজ্ঞানীদের জন্য বিশাল এক উপহার হতে পারে।

নতুন এই তিন গ্রহ একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করছে। নক্ষত্রটি আমাদের সূর্য থেকে মাত্র ৭৩ আলোকবর্ষ দূরে। এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া এই ধরনের গ্রহগুলোর মধ্যে এরাই সবচেয়ে কাছে ও ছোট।

গবেষকেরা এই গ্রহগুলো আবিষ্কার করেছেন নাসার এক্সোপ্লানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টিইএসএস) প্রকল্পের মাধ্যমে। এই প্রকল্প ২০১৮ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়। এর উদ্দেশ্য এমন সব নক্ষত্র ও গ্রহ খুঁজে বের করা, যেখানে জীবনের বিবর্তন হয়েছে।

নতুন তিন গ্রহের মধ্যে একটি পাথুরে গ্রহ আছে, যা আমাদের পৃথিবী থেকে কিছুটা বড়। বাকি দুটো গ্রহ গ্যাসের তৈরি, যারা আরেকটু বড়। আর এই বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রহগুলোকে করেছে ‘হারিয়ে যাওয়া সূত্র’। কারণ পাথুরে গ্রহটি অনেকটা পৃথিবী বা মঙ্গলের মতো দেখতে। গ্যাসীয় গ্রহগুলো দেখতে বৃহস্পতি বা শনির মতো।

গ্রহগুলোর অনুসন্ধানী দলের প্রধান ম্যাক্সিমিলিয়ান গুন্থার বলেন, গ্যাস আর পাথুরে গ্রহ কীভাবে এই জায়গাতে সৃষ্টি হয়েছে তা বুঝতে এই নতুন গ্রহগুলো সাহায্য করতে পারে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর মতো দেখতে ওই গ্রহে এমন তাপমাত্রা থাকতে পারে, যা প্রাণের বিকাশে সহায়তা করতে পারে। তবে এর বায়ুমণ্ডল খুব হালকা বলে ধারণা করা হচ্ছে, একই সঙ্গে এর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেশ উষ্ম।

Tag :

শেয়ার করুন

আরও একাধিক ‘পৃথিবীর’ সন্ধান পেল নাসা

আপডেট টাইম : ১১:১৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানীরা কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন। তবু ওই সব প্রশ্নের সমাধানে তাঁরা একবিন্দু্‌ও এগোতে পারেননি। এমন একটি প্রশ্ন, পৃথিবীই কি একমাত্র প্রাণের উৎস?

তবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) বিজ্ঞানীরা এবার এমন তিনটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যা তাঁদের ওই প্রশ্নের সমাধানে সহায়তা করতে পারে। এই মহাজগতে পৃথিবী ছাড়া আর কোনো গ্রহে প্রাণের স্পন্দন আছে কি না, সেই রহস্যের ওপর আলো ফেলতে পারে ওই তিন গ্রহ।

নাসার খুঁজে পাওয়া এই তিনটি নতুন গ্রহের মধ্যে একটি নতুন ধরনের বিশ্ব ব্যবস্থা আছে, যেটা আমাদের সৌরজগতে আগে কখনো দেখা যায়নি।
গবেষকেরা বলছেন, এই রহস্যময় গ্রহগুলো হতে পারে ‘হারিয়ে যাওয়া সেই সূত্র’ যেটা ‘এলিয়েন (ভিনগ্রহবাসী)’ খুঁজে পেতে বিজ্ঞানীদের জন্য বিশাল এক উপহার হতে পারে।

নতুন এই তিন গ্রহ একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করছে। নক্ষত্রটি আমাদের সূর্য থেকে মাত্র ৭৩ আলোকবর্ষ দূরে। এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া এই ধরনের গ্রহগুলোর মধ্যে এরাই সবচেয়ে কাছে ও ছোট।

গবেষকেরা এই গ্রহগুলো আবিষ্কার করেছেন নাসার এক্সোপ্লানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টিইএসএস) প্রকল্পের মাধ্যমে। এই প্রকল্প ২০১৮ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়। এর উদ্দেশ্য এমন সব নক্ষত্র ও গ্রহ খুঁজে বের করা, যেখানে জীবনের বিবর্তন হয়েছে।

নতুন তিন গ্রহের মধ্যে একটি পাথুরে গ্রহ আছে, যা আমাদের পৃথিবী থেকে কিছুটা বড়। বাকি দুটো গ্রহ গ্যাসের তৈরি, যারা আরেকটু বড়। আর এই বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রহগুলোকে করেছে ‘হারিয়ে যাওয়া সূত্র’। কারণ পাথুরে গ্রহটি অনেকটা পৃথিবী বা মঙ্গলের মতো দেখতে। গ্যাসীয় গ্রহগুলো দেখতে বৃহস্পতি বা শনির মতো।

গ্রহগুলোর অনুসন্ধানী দলের প্রধান ম্যাক্সিমিলিয়ান গুন্থার বলেন, গ্যাস আর পাথুরে গ্রহ কীভাবে এই জায়গাতে সৃষ্টি হয়েছে তা বুঝতে এই নতুন গ্রহগুলো সাহায্য করতে পারে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর মতো দেখতে ওই গ্রহে এমন তাপমাত্রা থাকতে পারে, যা প্রাণের বিকাশে সহায়তা করতে পারে। তবে এর বায়ুমণ্ডল খুব হালকা বলে ধারণা করা হচ্ছে, একই সঙ্গে এর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেশ উষ্ম।