ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানের সমস্যা থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 346

নিউজ লাইট ৭১: কান দিয়ে অনেকেরই পানি-পুঁজ পড়ে থাকে কিংবা কানপাকা রোগ হয়ে থাকে। কানে তুলনামূলক কম শোনা, মাথা ঘোরানো, কানে শোঁ শোঁ শব্দ ইত্যাদি কারণে পোহাতে হয় নানা রকম দুর্ভোগ।

দারিদ্র্য, অপুষ্টি, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্য-শিক্ষার অভাবসহ বিভিন্ন কারণকে এ জন্য দায়ী করা হয়। এই রোগ যে কোনো বয়সে এবং নারী-পুরুষ সবাই আক্রান্ত হতে পারে।

তবে শহরবাসীর তুলনায় গ্রামের মানুষের এ রোগ বেশি হয়।কানপাকা রোগটি মূলত দুই ধরনের- সেফ টাইপ বা টিউবোটিমপেনিক টাইপ। সাধারণত এটাতে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায় না। এ ছাড়া আনসেফ টাইপ বা এটিকোএন্ট্রাল টাইপ।

এ ধরনের কানপাকা রোগ থেকে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন- ব্রেইনঅ্যাবসেস, ম্যানিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস ইত্যাদি।

কানের সমস্যা থেকে বাঁচতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। অযথা কান খোঁচাবেন না, ম্যাচের কাঠি, মুরগির পাখনা, ক্লিপ, নখ ইত্যাদি দিয়ে কান চুলকাবেন না। রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে কান পরিষ্কার করানোর জন্য বসে পড়বেন না।

গোসলের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, যাতে কোনোভাবেই কানে পানি প্রবেশ করতে না পারে। প্রয়োজনে ইয়ারপ্লাগ দিয়ে গোসল করবেন। পুকুরে বা নদীতে ডুব দিয়ে গোসল করবেন না। ফ্রিজের পানি, আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় ইত্যাদি পরিহার করে চলবেন।

সর্দি, কাশি, ঠান্ডা, জ্বর, নাক বন্ধ, গলাব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলবেন। কোনো সমস্যা হলে শুরুতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, ভালো থাকুন।

লেখক: অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি বিভাগ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

Tag :

শেয়ার করুন

কানের সমস্যা থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি

আপডেট টাইম : ০৮:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: কান দিয়ে অনেকেরই পানি-পুঁজ পড়ে থাকে কিংবা কানপাকা রোগ হয়ে থাকে। কানে তুলনামূলক কম শোনা, মাথা ঘোরানো, কানে শোঁ শোঁ শব্দ ইত্যাদি কারণে পোহাতে হয় নানা রকম দুর্ভোগ।

দারিদ্র্য, অপুষ্টি, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্য-শিক্ষার অভাবসহ বিভিন্ন কারণকে এ জন্য দায়ী করা হয়। এই রোগ যে কোনো বয়সে এবং নারী-পুরুষ সবাই আক্রান্ত হতে পারে।

তবে শহরবাসীর তুলনায় গ্রামের মানুষের এ রোগ বেশি হয়।কানপাকা রোগটি মূলত দুই ধরনের- সেফ টাইপ বা টিউবোটিমপেনিক টাইপ। সাধারণত এটাতে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায় না। এ ছাড়া আনসেফ টাইপ বা এটিকোএন্ট্রাল টাইপ।

এ ধরনের কানপাকা রোগ থেকে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন- ব্রেইনঅ্যাবসেস, ম্যানিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস ইত্যাদি।

কানের সমস্যা থেকে বাঁচতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি। অযথা কান খোঁচাবেন না, ম্যাচের কাঠি, মুরগির পাখনা, ক্লিপ, নখ ইত্যাদি দিয়ে কান চুলকাবেন না। রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে কান পরিষ্কার করানোর জন্য বসে পড়বেন না।

গোসলের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, যাতে কোনোভাবেই কানে পানি প্রবেশ করতে না পারে। প্রয়োজনে ইয়ারপ্লাগ দিয়ে গোসল করবেন। পুকুরে বা নদীতে ডুব দিয়ে গোসল করবেন না। ফ্রিজের পানি, আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় ইত্যাদি পরিহার করে চলবেন।

সর্দি, কাশি, ঠান্ডা, জ্বর, নাক বন্ধ, গলাব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলবেন। কোনো সমস্যা হলে শুরুতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, ভালো থাকুন।

লেখক: অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি বিভাগ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল