সব ধর্মের মানুষ সমান
- আপডেট টাইম : ০৭:০২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / 24
সংখ্যালঘু বলে নিজেদের ছোট করবেন না, সব ধর্মের মানুষ সমান বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আমরা আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদে বলা আছে। কিন্তু জিয়াউর রহমান ওই অনুচ্ছেদ বাতিল করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করে ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তি ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র আবার প্রতিষ্ঠা করেছে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার এভাবেই চলতে চাই। যে যার যার ধর্ম যথাযথভাবে পালন করবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্মার্ট সরকার, স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সোসাইটি নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আরও এগিয়ে যাবে। কারণ তার সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইতোমধ্যেই এ দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে সব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে।
প্রধানমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, দেশটি সবার, কারণ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাশে দাঁড়িয়ে যখন যুদ্ধ করেছেন, তখন কে হিন্দু-বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম— এটা হয়নি। ওই ঘাতকের বুলেট যখন এসেছে, তখন কিন্তু সব রক্ত মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। সব রক্তের রঙ কিন্তু লাল। ওই রক্ত কার তা কিন্তু ভাগ করতে পারেনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও বক্তব্য রাখেন।-বাসস
নিউজ লাইট ৭১