ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্র শিবির বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ সশস্ত্র গ্রুপ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 1

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার করা তালিকায় আল কায়দা ও তালেবানের পাশাপাশি সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে নাম উঠে এসেছে বাংলাদেশের ছাত্রশিবিরের। ওই তালিকায় তালেবানের পরই তিন নম্বরের অবস্থান করছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনটি।

আন্তর্জাতিক তথ্য ও মতামত সরবরাহকারী ওপেন সোর্স সংস্থা হিসেবে পরিচিত আইএইচএস সম্প্রতি ‘আইএইচএস জেনস ২০১৩ গ্লোবাল টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসারজেন্সি অ্যাটাক ইনডেক্স’ নামে বিশ্বব্যাপী দশটি সক্রিয় সশস্ত্র গ্রুপের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।

সরকারি নয়; কিন্তু সশস্ত্র- এমন গ্রুপগুলোর তালিকা এটি। তালিকাভুক্ত প্রতিটি গ্রুপই সুপরিচিত জঙ্গি বা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন।

আরব ও এশিয়ার কয়েকটি দেশে তাদের আইনবহির্ভূত অপতৎপরতায় প্রতি বছরই বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তালিকায় একমাত্র ব্যতিক্রমী গ্রুপ ছাত্রশিবির। এটি একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন। ছাত্র সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলা হলেও ছাত্রশিবির তাদের ভয়াবহ নৃশংসতা ও সশস্ত্র তৎপরতার কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নানা সময়ে সমালোচিত হয়েছে। বিশেষত গত বছর মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে তাদের ব্যাপক সহিংসতা পুরো দেশকে রক্তাক্ত করে।

এ তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির। শীর্ষে রয়েছে থাইল্যান্ডের বারিসান রেভ্যুলুসি ন্যাসিওনাল, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠন তালেবান। এর পর যথাক্রমে রয়েছে ভারতের সিপিআই (মাওবাদী), আল কায়দার ইরাকি শাখা, হরকাত আল শাবাব আল মুজাহিদীন (আল শাবাব), নিউ পিপলস আর্মি (ফিলিপাইনস), জাবাত আল নুসরা (সিরিয়া) ও ইউনিফায়েড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী)। আইএইচএসের ওয়েবসাইটে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে।

আইএইচএস তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গত পাঁচ বছরে বিশ্বব্যাপী বেসরকারি সশস্ত্র গ্রুপগুলোর হামলা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

তালিকাটিতে মূলত গুরুত্ব পেয়েছে আরব বসন্ত বা বিপ্লবের দেশগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর এ ধরনের সংগঠনের কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র ছিল মূলত মধ্যপ্রাচ্য। এ ছাড়া পাশ্ববর্তী আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় সহিংসতার স্ফুরণ লক্ষণীয় ছিল।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

ছাত্র শিবির বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ সশস্ত্র গ্রুপ

আপডেট টাইম : ০৮:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার করা তালিকায় আল কায়দা ও তালেবানের পাশাপাশি সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে নাম উঠে এসেছে বাংলাদেশের ছাত্রশিবিরের। ওই তালিকায় তালেবানের পরই তিন নম্বরের অবস্থান করছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনটি।

আন্তর্জাতিক তথ্য ও মতামত সরবরাহকারী ওপেন সোর্স সংস্থা হিসেবে পরিচিত আইএইচএস সম্প্রতি ‘আইএইচএস জেনস ২০১৩ গ্লোবাল টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসারজেন্সি অ্যাটাক ইনডেক্স’ নামে বিশ্বব্যাপী দশটি সক্রিয় সশস্ত্র গ্রুপের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।

সরকারি নয়; কিন্তু সশস্ত্র- এমন গ্রুপগুলোর তালিকা এটি। তালিকাভুক্ত প্রতিটি গ্রুপই সুপরিচিত জঙ্গি বা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন।

আরব ও এশিয়ার কয়েকটি দেশে তাদের আইনবহির্ভূত অপতৎপরতায় প্রতি বছরই বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তালিকায় একমাত্র ব্যতিক্রমী গ্রুপ ছাত্রশিবির। এটি একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন। ছাত্র সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলা হলেও ছাত্রশিবির তাদের ভয়াবহ নৃশংসতা ও সশস্ত্র তৎপরতার কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নানা সময়ে সমালোচিত হয়েছে। বিশেষত গত বছর মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে তাদের ব্যাপক সহিংসতা পুরো দেশকে রক্তাক্ত করে।

এ তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির। শীর্ষে রয়েছে থাইল্যান্ডের বারিসান রেভ্যুলুসি ন্যাসিওনাল, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠন তালেবান। এর পর যথাক্রমে রয়েছে ভারতের সিপিআই (মাওবাদী), আল কায়দার ইরাকি শাখা, হরকাত আল শাবাব আল মুজাহিদীন (আল শাবাব), নিউ পিপলস আর্মি (ফিলিপাইনস), জাবাত আল নুসরা (সিরিয়া) ও ইউনিফায়েড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী)। আইএইচএসের ওয়েবসাইটে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে।

আইএইচএস তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গত পাঁচ বছরে বিশ্বব্যাপী বেসরকারি সশস্ত্র গ্রুপগুলোর হামলা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

তালিকাটিতে মূলত গুরুত্ব পেয়েছে আরব বসন্ত বা বিপ্লবের দেশগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর এ ধরনের সংগঠনের কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র ছিল মূলত মধ্যপ্রাচ্য। এ ছাড়া পাশ্ববর্তী আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় সহিংসতার স্ফুরণ লক্ষণীয় ছিল।

নিউজ লাইট ৭১