ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোমাঞ্চ শেষে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০
  • / 95

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে সুপার ওভারের রোমাঞ্চ শেষে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা ৪৩তম সুপার ওভারের ম্যাচ।

আর দ্বিতীয় সুপার ওভার দেখল বিপিএল। এর আগে চলতি বছরেই ষষ্ঠ আসরে চট্টগ্রামের মাঠে চিটাগং ভাইকিংস ও খুলনা টাইটান্সের ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়িয়েছিল।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই যা ভালো ছিল কুমিল্লার। দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও স্টিয়ান ভ্যান জিল ওপেনিং জুটিতে করেন ৪২ রান।

কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। মূলত স্টিফেন রাদারফোর্ডের তোপে পড়ে ধস নামে দলটির। তাতে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোন জুটি।

রানের গতিতেও ভাটা পড়ে। প্রথম ১০ ওভারে ৮০ করতে পারলেও শেষ ১০ ওভারে রান আসে মাত্র ৬০। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪০ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি।

সাধ্যের মধ্যে লক্ষ্য পেয়েও আশানুরূপ ব্যাটিং করতে পারেনি স্বাগতিকরা। দলীয় ৫ রানে বিদায় নেন দুই ওপেনার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান দলের অন্যতম ভরসা জনাথন চার্লস।

তার দেখানো পথেই হাঁটেন দলের বাকী দুই ক্যারিবিয়ান তারকা রাদারফোর্ড ও অধিনায়ক ফ্লেচারও। মোহাম্মদ মিঠুনও হন ব্যর্থ। দলীয় ৩২ থেকে ৩৩ রানে যেতেই শেষ মূল তিন উইকেট। কার্যত তখন হার দেখতে থাকে দলটি।

কিন্তু তখন যেন ভিন্ন পণ করে মাঠে নামেন সোহাগ গাজী। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে দলকে জয়ের ভিতও গড়ে দেন তিনি। ৩১ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় করেন ৫২ রান। নাজমুল হোসেন মিলনকে নিয়ে ৭০ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন তিনি।

তাতে মিলনের অবদান মাত্র ১৩ রান। বাকিটা একাই করেন গাজী। তবে ১৭তম ওভারে তিনটি উইকেট তুলে ম্যাচের মোর আবার ঘুরিয়ে দেন মুজিব। স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ করতে আবারও তিনটি উইকেট হারায় সিলেট। আবার চাপে পড়ে যায় দলটি।

তবে শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আবারও আশা জাগিয়েছিলেন মনির হোসেন ও নাভিন-উল-হক। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রানের। প্রথম দুই বল থেকে দুটি বাউন্ডারি নেন নাভিন। ফলে শেষ চার বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ রানের। কিন্তু ৬ রান তুলতে পারে দলটি। শেষ বলে রানআউট হয়ে যান মনির।

এদিন দুই দলের নিয়মিত দুই অধিনায়ক কেউই ছিলেন না মাঠে। স্ত্রীর অসুস্থতায় কুমিল্লার অধিনায়ক ডেভিড মালান ফিরে গেছেন দেশে। তার জায়গায় নেতৃত্বে ছিলেন আদ্রে ফ্লেচার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট থান্ডার: ২০ ওভারে ১৪০/৯ (থারাঙ্গা ৪৫, জিল ১০, সৌম্য ৫, সাব্বির ১৭, ইয়াসির ৫, উইজে ১৫, অংকন ১৯*, রনি ৭, সানজামুল ০, মুজিব ৩; নাভিন ০/২৫, ইবাদত ৩/৩৩, গাজী ২/২৩, নাঈম ০/১২, মনির ০/২১, রাদারফোর্ড ৩/১৯)।

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৪০ (চার্লস ০, রনি ২, মিঠুন ১৩, রাদারফোর্ড ১৫, ফ্লেচার ১, মিলন ১৩, গাজী ৫২, নাঈম ০, নাভিন ১৫, মনির ১৬, ইবাদত ৩*; সানজামুল ১/২৪, মুজিব ৪/১২, উইজে ১/৩১, আল-আমিন ২/৩০, সৌম্য ০/২২, হায়দার ০/১৭)।

ফলাফল: সুপার ওভারে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুজিব উর রহমান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)।

Tag :

শেয়ার করুন

রোমাঞ্চ শেষে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স

আপডেট টাইম : ১১:৩৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে সুপার ওভারের রোমাঞ্চ শেষে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা ৪৩তম সুপার ওভারের ম্যাচ।

আর দ্বিতীয় সুপার ওভার দেখল বিপিএল। এর আগে চলতি বছরেই ষষ্ঠ আসরে চট্টগ্রামের মাঠে চিটাগং ভাইকিংস ও খুলনা টাইটান্সের ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়িয়েছিল।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই যা ভালো ছিল কুমিল্লার। দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও স্টিয়ান ভ্যান জিল ওপেনিং জুটিতে করেন ৪২ রান।

কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। মূলত স্টিফেন রাদারফোর্ডের তোপে পড়ে ধস নামে দলটির। তাতে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোন জুটি।

রানের গতিতেও ভাটা পড়ে। প্রথম ১০ ওভারে ৮০ করতে পারলেও শেষ ১০ ওভারে রান আসে মাত্র ৬০। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪০ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি।

সাধ্যের মধ্যে লক্ষ্য পেয়েও আশানুরূপ ব্যাটিং করতে পারেনি স্বাগতিকরা। দলীয় ৫ রানে বিদায় নেন দুই ওপেনার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান দলের অন্যতম ভরসা জনাথন চার্লস।

তার দেখানো পথেই হাঁটেন দলের বাকী দুই ক্যারিবিয়ান তারকা রাদারফোর্ড ও অধিনায়ক ফ্লেচারও। মোহাম্মদ মিঠুনও হন ব্যর্থ। দলীয় ৩২ থেকে ৩৩ রানে যেতেই শেষ মূল তিন উইকেট। কার্যত তখন হার দেখতে থাকে দলটি।

কিন্তু তখন যেন ভিন্ন পণ করে মাঠে নামেন সোহাগ গাজী। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে দলকে জয়ের ভিতও গড়ে দেন তিনি। ৩১ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় করেন ৫২ রান। নাজমুল হোসেন মিলনকে নিয়ে ৭০ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন তিনি।

তাতে মিলনের অবদান মাত্র ১৩ রান। বাকিটা একাই করেন গাজী। তবে ১৭তম ওভারে তিনটি উইকেট তুলে ম্যাচের মোর আবার ঘুরিয়ে দেন মুজিব। স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ করতে আবারও তিনটি উইকেট হারায় সিলেট। আবার চাপে পড়ে যায় দলটি।

তবে শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আবারও আশা জাগিয়েছিলেন মনির হোসেন ও নাভিন-উল-হক। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রানের। প্রথম দুই বল থেকে দুটি বাউন্ডারি নেন নাভিন। ফলে শেষ চার বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ রানের। কিন্তু ৬ রান তুলতে পারে দলটি। শেষ বলে রানআউট হয়ে যান মনির।

এদিন দুই দলের নিয়মিত দুই অধিনায়ক কেউই ছিলেন না মাঠে। স্ত্রীর অসুস্থতায় কুমিল্লার অধিনায়ক ডেভিড মালান ফিরে গেছেন দেশে। তার জায়গায় নেতৃত্বে ছিলেন আদ্রে ফ্লেচার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট থান্ডার: ২০ ওভারে ১৪০/৯ (থারাঙ্গা ৪৫, জিল ১০, সৌম্য ৫, সাব্বির ১৭, ইয়াসির ৫, উইজে ১৫, অংকন ১৯*, রনি ৭, সানজামুল ০, মুজিব ৩; নাভিন ০/২৫, ইবাদত ৩/৩৩, গাজী ২/২৩, নাঈম ০/১২, মনির ০/২১, রাদারফোর্ড ৩/১৯)।

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৪০ (চার্লস ০, রনি ২, মিঠুন ১৩, রাদারফোর্ড ১৫, ফ্লেচার ১, মিলন ১৩, গাজী ৫২, নাঈম ০, নাভিন ১৫, মনির ১৬, ইবাদত ৩*; সানজামুল ১/২৪, মুজিব ৪/১২, উইজে ১/৩১, আল-আমিন ২/৩০, সৌম্য ০/২২, হায়দার ০/১৭)।

ফলাফল: সুপার ওভারে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুজিব উর রহমান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)।