ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে বিজিবি

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:২৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০২৩
  • / 17

সীমান্তে পাহারায় বিজিবি । ছবি- সংগৃহীত

কোরবানির পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত পথে সতর্কতা জারি করেছে ৪৯ ও ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এরই মধ্যে সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বৃদ্ধি করা হয়েছে বিজিবির নজরদারি ও লোকবল। বন্দর এলাকাসহ স্থল ও রেলপথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিজিবির পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে পুলিশ। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে এবার চামড়া পাচার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে পুঁজি সংকটে চাহিদা মতো চামড়া কিনতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের পশুর চামড়ার গুণগত মান উন্নত, তাই দেশটিতে এ দেশের চামড়ার দাম এবং চাহিদা দুটোই বেশি। এ কারণে বেশি লাভের আশায় সীমান্ত পথে চামড়া পাচারের প্রবণতা থেকে যায় অনেক ব্যবসায়ীর মধ্যে। বিগত দিনে যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্তে কোরবানি পশুর চামড়া ভারতে পাচারকালে আটকের ঘটনাও ঘটেছে বহুবার।

চোরাকারবারিরা সাধারণত পণ্য আনা নেয়ায় জন্য বেনাপোলের পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, ঘিবা, সাদিপুর, বড় আঁচড়া, কাশিপুর ধাণ্যখোলা ও রঘুনাথপুর সীমান্ত পথ ব্যবহার করে থাকে। এ কারণে এ এলাকা দিয়ে চামড়া পাচারের ঝুঁকি থাকায় নজরদারিও বাড়িয়েছে বিজিবি।

শার্শার চামড়া ব্যবসায়ী আক্তার ও তারিকুল ইসলাম তাদের পুঁজির স্বল্পতার কথা জানিয়ে বলেন, চাহিদা মতো চামড়া কিনতে পারবো কিনা দুশ্চিন্তায় আছি। এবারের ঈদে সরকার ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে ৪৫/৪৮ টাকা। ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা। ওই মূল্যে গ্রামে গ্রামে ঘুরে চামড়া কিনলে অন্যান্য খরচ করে লাভ হবে না। তবে চামড়ার মূল্য আর একটু বেশি হলে ভালো হতো।

শার্শা থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম ও বেনাপোল পোর্ট থানা কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, দেশে চামড়ার মূল্য ভারত অপেক্ষা কম থাকায় সীমান্ত দিয়ে পাচারের সম্ভাবনা থাকে। ফলে পাচার রোধে পুলিশ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে চামড়ার বাজারদর বেশি সে জন্য ব্যবসায়ীরা যাতে পাচার করতে না পারে সেদিকে পুলিশের সর্বোচ্চ নজরদারি আছে।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, কোরবানি ঈদে চামড়া পাচার রোধে এবার সীমান্তের বিশেষ বিশেষ পয়েন্ট চিহ্নিত করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসব পয়েন্টে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে অবৈধপথে চামড়া পাচার না হতে পারে। এ ছাড়া শহর থেকে যাতে চামড়া সহজেই সীমান্তে পৌঁছাতে না পারে সে জন্য বিজিবি চেক পয়েন্টগুলোতে নজরদারি জোরদার করা করেছে। এ ছাড়াও বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর রহমান বলেন, কোরবানির চামড়া এবার পাচার হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ বিজিবি টহল টিম জোরদার আছে। বিশেষ ঘাটগুলোতে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি ও বাড়ানো হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

 

facebook sharing button
twitter sharing button
messenger sharing button
sharethis sharing button

 

Tag :

শেয়ার করুন

পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে বিজিবি

আপডেট টাইম : ১১:২৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০২৩

কোরবানির পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত পথে সতর্কতা জারি করেছে ৪৯ ও ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এরই মধ্যে সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বৃদ্ধি করা হয়েছে বিজিবির নজরদারি ও লোকবল। বন্দর এলাকাসহ স্থল ও রেলপথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিজিবির পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে পুলিশ। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে এবার চামড়া পাচার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে পুঁজি সংকটে চাহিদা মতো চামড়া কিনতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের পশুর চামড়ার গুণগত মান উন্নত, তাই দেশটিতে এ দেশের চামড়ার দাম এবং চাহিদা দুটোই বেশি। এ কারণে বেশি লাভের আশায় সীমান্ত পথে চামড়া পাচারের প্রবণতা থেকে যায় অনেক ব্যবসায়ীর মধ্যে। বিগত দিনে যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্তে কোরবানি পশুর চামড়া ভারতে পাচারকালে আটকের ঘটনাও ঘটেছে বহুবার।

চোরাকারবারিরা সাধারণত পণ্য আনা নেয়ায় জন্য বেনাপোলের পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, ঘিবা, সাদিপুর, বড় আঁচড়া, কাশিপুর ধাণ্যখোলা ও রঘুনাথপুর সীমান্ত পথ ব্যবহার করে থাকে। এ কারণে এ এলাকা দিয়ে চামড়া পাচারের ঝুঁকি থাকায় নজরদারিও বাড়িয়েছে বিজিবি।

শার্শার চামড়া ব্যবসায়ী আক্তার ও তারিকুল ইসলাম তাদের পুঁজির স্বল্পতার কথা জানিয়ে বলেন, চাহিদা মতো চামড়া কিনতে পারবো কিনা দুশ্চিন্তায় আছি। এবারের ঈদে সরকার ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে ৪৫/৪৮ টাকা। ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা। ওই মূল্যে গ্রামে গ্রামে ঘুরে চামড়া কিনলে অন্যান্য খরচ করে লাভ হবে না। তবে চামড়ার মূল্য আর একটু বেশি হলে ভালো হতো।

শার্শা থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম ও বেনাপোল পোর্ট থানা কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, দেশে চামড়ার মূল্য ভারত অপেক্ষা কম থাকায় সীমান্ত দিয়ে পাচারের সম্ভাবনা থাকে। ফলে পাচার রোধে পুলিশ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে চামড়ার বাজারদর বেশি সে জন্য ব্যবসায়ীরা যাতে পাচার করতে না পারে সেদিকে পুলিশের সর্বোচ্চ নজরদারি আছে।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, কোরবানি ঈদে চামড়া পাচার রোধে এবার সীমান্তের বিশেষ বিশেষ পয়েন্ট চিহ্নিত করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসব পয়েন্টে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে অবৈধপথে চামড়া পাচার না হতে পারে। এ ছাড়া শহর থেকে যাতে চামড়া সহজেই সীমান্তে পৌঁছাতে না পারে সে জন্য বিজিবি চেক পয়েন্টগুলোতে নজরদারি জোরদার করা করেছে। এ ছাড়াও বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর রহমান বলেন, কোরবানির চামড়া এবার পাচার হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ বিজিবি টহল টিম জোরদার আছে। বিশেষ ঘাটগুলোতে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি ও বাড়ানো হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

 

 

facebook sharing button
twitter sharing button
messenger sharing button
sharethis sharing button