২৩ জেলা এইডস ঝুঁকিতে
- আপডেট টাইম : ১০:০৩:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
- / 21
বাংলাদেশে এইডস রোগী আছেন আনুমানিক ১৪ হাজারের বেশি। এই অনুমিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৮ হাজার ৭৬১ জন জানতে পেরেছে তাদের শরীরে এইচআইভি/এইডস ভাইরাস রয়েছে। মোট রোগীর বড় একটি অংশ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। কক্সবাজার জেলায় এইডস রোগী আছে ১ হাজার ৪৫ জন। তাদের মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৮৪৪ রোগী পাওয়া গেছে।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে কক্সবাজারে নতুন শনাক্ত রোগী কমছে। ২০২০ সালে রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৩৯০ জন। এর পরের বছরে (২০২১) রোগী শনাক্ত হয় ১৮৮ এবং চলতি বছর (২০২২) নতুন রোগী শনাক্ত হয় মাত্র ২৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি কর্মসূচির তথ্য অনুসারে, ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, কুমিল্লা, যশোর, মৌলভীবাজার, কক্সবাজার, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, বাগেরহাট, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, চাঁদপুর, সাতক্ষীরা, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, পটুয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, বগুড়া, রাজশাহী, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ জেলায় এ ঘাতক ব্যাধির অধিকমাত্রায় সংক্রমণ দেখা গেছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এআরটি কেন্দ্রে এইডস রোগী বাড়ছে। চলতি বছর ১৪৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৬ জন। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১০১ জন। সে বছর মারা গেছে ২২ জন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এআরটি কেন্দ্রে এইডস রোগী বাড়ছে। চলতি বছর ১৪৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৬ জন। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১০১ জন। সে বছর মারা গেছে ২২ জন।
বিএসএমএমইউর এআরটি কেন্দ্রের কাউন্সিলর ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাবরিনা আক্তার নিউজ লাইট ৭১ কে বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৭ জন পজিটিভ মা সন্তান প্রসব করবে। ইতিমধ্যে পাঁচজন বাচ্চা প্রসব করেছে। তাদের মধ্যে তিন বাচ্চার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আর দুটির রিপোর্ট এখনো পাইনি।’
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা মহামারীর কারণে গত দুই বছর এইচআইভি/এইডস রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে। ২০১৬ সালে ৫৭৮ জন রোগী শনাক্তের পর ২০১৭ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ৮৬৫ জনে দাঁড়ায়। ২০১৮ সালে তা আরও বেড়ে ৮৬৯ জন হয় এবং ২০১৯ সালে ৯১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। কিন্তু করোনা মহামারীতে পরীক্ষা কম হওয়ায় ২০২০ সালে নতুন শনাক্ত রোগী কমে ৬৫৮ জনে নেমে আসে। তারপর ২০২১ সালে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ৭২৯ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর রোগী বাড়তে পারে।
বাংলাদেশের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল বিভাগের তথ্য অনুসারে, গত বছর এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া ৭২৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪২০, নারী ২১০ ও তৃতীয় লিঙ্গের ১২ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ জনগোষ্ঠীর ১৮৬, রোহিঙ্গা ১৮৮, বিদেশফেরত প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্য ১৪৪, ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদকগ্রহণকারী ৬১, নারী যৌনকর্মী ১৭, সমকামী ৬৭, পুরুষ যৌনকর্মী
বাংলাদেশের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল বিভাগের তথ্য অনুসারে, গত বছর এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া ৭২৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪২০, নারী ২১০ ও তৃতীয় লিঙ্গের ১২ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ জনগোষ্ঠীর ১৮৬, রোহিঙ্গা ১৮৮, বিদেশফেরত প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্য ১৪৪, ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদকগ্রহণকারী ৬১, নারী যৌনকর্মী ১৭, সমকামী ৬৭, পুরুষ যৌনকর্মী ৫৩ ও তৃতীয় লিঙ্গের ১৩ জন রয়েছে।
নিউজ লাইট ৭১