পূর্বাভাস জানতে আসছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা
- আপডেট টাইম : ১২:৪৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
- / 31
বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশেও পরিবর্তন ঘটছে জলবায়ুর। অসময়ে হচ্ছে বৃষ্টি-ঝড়। আবার বর্ষাকালে বৃষ্টির দেখা মিলছে না। পৌষ-মাঘ মাসেও তেমন শীত পড়ছে না। আর এসবের প্রভাব পড়ছে মানুষ, জীব-যন্তু ও কৃষিক্ষেত্রে। তাই উন্নত আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ব্যাপারে অত্যাধুনিক ২২৫টি পূর্বাভাস কেন্দ্র তৈরি করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জানা গেছে, ২২৫টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ১৮৫টির নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে এগুলো পুরোদমে কাজ শুরু করবে।
এদিকে, আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, কেন্দ্রগুলো থেকে ১০ মিনিট পরপর আবহাওয়া সম্পর্কিত পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম তথ্য জানা যাবে। ফলে প্রাণহানিসহ কৃষি উৎপাদনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, বাংলাদেশ ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট সার্ভিসেস রিজওনাল প্রজেক্টের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৬ সালে। এ প্রকল্পেরই আওতায় সারা দেশে ২২৫টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ৩৫টি অটোমেটিক ওয়েদার স্টেশন (এডব্লিউএস), ১২৫টি এগ্রিকালচালার অটোমেটিক ওয়েদার স্টেশন (এজিএডব্লিউএস), ৬৫টি অটোমেটিক রেইন গেইজ স্টেশন (এআরজি) হবে। চারটি মহানগরে থাকছে রেইন গেইজ স্টেশন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় থাকছে ২৫টি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, এই প্রকল্পের সঙ্গে আরও যুক্ত রয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই উদ্যোগের ফলে বন্যার আগাম তথ্য মিলবে। বন্যা ও বৃষ্টিপাতের আপডেট তথ্য পেয়ে ফ্লাড ফোরকাস্টিং ও ওয়ার্নিংকে আমরা প্রভাইড করব। এতে বাংলাদেশ অঞ্চলভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনা, পানি নিষ্কাশণ ব্যবস্থাপনা, ফ্লাড ফোরকাস্টিং এবং ফ্লাড জেনারেশন ম্যাপ আরও উন্নত হবে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় তুলনামূলক বেশি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থাকবে। একইভাবে বজ্রপাত, নদীভাঙন এবং কৃষিনির্ভর অঞ্চলগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৩টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থাকলেও বঙ্গোপসাগর থেকে আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্পে বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার তিনটি স্থানে পর্যবেক্ষণ যন্ত্র ‘ওশান বয়’ স্থাপন করা হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, আবহওয়ার পূর্বাভাস দ্রুত জানানোর প্রয়োজন রয়েছে। নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি এসেছে। এসব কারণে বাংলাদেশ ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট সার্ভিসেস রিজওনাল প্রজেক্টের কাজ চলছে। এর ফল পেতে আরও দুই বছর সময় লাগবে।
নিউজ লাইট ৭১