রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পুলিশ সদস্য দেব রিমান্ডে
- আপডেট টাইম : ০১:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
- / 129
নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: বাংলাদেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচারের অভিযোগে দেব প্রসাদ সাহা নামে এক পুলিশ সদস্যকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। দেব প্রসাদ সাহা খুলনার তেরখাদা উপজেলার সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে। বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক সাইফুদ্দিন হুসাইন তা মঞ্জুর করেন।
গত মঙ্গলবার তাকে আটকের পর যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন। রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
মামলা, পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি দেব প্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১নং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল। সেই সুবাদে ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্মরত ছিলেন। তার বিপি নম্বর ৭৫৯৮০৫১১৯৮ ও কনস্টেবল নম্বর ৭০৩।
বেনাপোলে কর্মরত থাকা অবস্থায় ভারতের অনেকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে দেব প্রসাদ। তিনি যখন তখন নোম্যানসল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া-আসা করতেন। ইমিগ্রেশনে দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর অফিস সহকারী আবু হানজালা রানা ও সৈনিক শাহনেওয়াজ শাহিনের সঙ্গে তার পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এরা দুজন বেনাপোলে মাঝেমধ্যে এসে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুজনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।
২০১৮ সালের শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ নোম্যানসল্যান্ড পার হয়ে ভারতে পাচার করেন। ১৫ দিন পর আবু হানজালা রানার কাছ থেকে এনে আবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন দেব প্রসাদ সাহা।
সূত্র আরো জানায়, গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহিন আটক হন। এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয় এবং ভারতের কাছে তথ্য পাচারের বেশ কিছু তথ্য দেন। পরে বিষয়টি পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে অনুসন্ধানে নামে। তদন্তে তাদের মোবাইল ফোনের কল-লিস্ট ও ভারতের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আরেফের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও সিডির মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে।
বেনাপোল থানার ওসি মামুন খান জানান, সেনা সদস্য শাহনেওয়াজ ও অফিস সহকারী আবু হানজালার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে ভারতে পাচারের বিষয়টিও দেব প্রসাদ স্বীকার করেছে। ফলে তারা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এ কারণে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্য দেব প্রসাদ সাহাকে আটকের পর মামলা দিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।