ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : ডেপুটি স্পীকার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • / 28

যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের নাগরিকের হৃদয়ে তাদের অবদান থাকবে অমলিন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্য সম্মানের জায়গায় আসীন করেছেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মো. শামসুল হক টুকু পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও সাথিয়া উপজেলা মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি উপজেলা দুটির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র তুলে দেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধার অবদান স্মরণ করে ডেপুটি স্পীকার বলেন, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ হানাদার বাহিনীর প্রতিরোধ শুরু করেন। নিরস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ছিল জাতির পিতার ৭ই মার্চের সেই বাণী ‘তোমাদের যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করো।’ এরপর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানগণ নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পাকিস্তানী বর্বর ও এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।

মো. শামসুল হক টুকু বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নৌকার পক্ষে আছেন বলেই বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের সুনাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের পথে। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে নিয়ে দেশকে ক্ষুধামুক্ত, মাদকমুক্ত ও উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার পথে বীর দর্পে এগিয়ে যাচ্ছেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করার প্রসঙ্গে প্রধান অতিথি বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর পাকিস্তানী শাসকদের রেখে যাওয়া উচ্ছিষ্ট, উত্তরাধিকারীরা অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা ও নির্যাতন করে। জাতির জনকের কন্যা ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁরা আজ সমাজে মাথা উঁচু করে চলতে পারছে, তাদের সম্মানিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করার জন্য তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা-ভাতা, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। মৃত্যুর সময় দেয়া হচ্ছে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার।

মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব সম্পর্কে প্রধান অতিথি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এ দেশের কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। আমি আজ ডেপুটি স্পীকার তাদের কল্যাণেই, তারা দেশ স্বাধীন না করলে আমরা কেউই স্বাধীন দেশের নাগরিক থাকতাম না, আমরা যারা বড় বড় পদে আছি আমরা এই পদে থাকতাম না। এত বড় জয়ের পরও মুক্তিযোদ্ধাদের কর্তব্য শেষ হয়ে যায়নি, তাদের দায়িত্ব এখন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে ২০৪১ সালের মাঝে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ায় নেতৃত্ব দেয়া। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যতদিন অবশিষ্ট থাকবে ততদিন এ দেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. সবুর আলী সভাপতিত্বে এবং সাথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান দুটিতে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক, সাথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বেড়া-সাথিয়ার স্থানীয় আওয়ামী নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button
Tag :

শেয়ার করুন

মুক্তিযোদ্ধাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : ডেপুটি স্পীকার

আপডেট টাইম : ০৯:৩০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের নাগরিকের হৃদয়ে তাদের অবদান থাকবে অমলিন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্য সম্মানের জায়গায় আসীন করেছেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মো. শামসুল হক টুকু পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও সাথিয়া উপজেলা মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি উপজেলা দুটির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র তুলে দেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধার অবদান স্মরণ করে ডেপুটি স্পীকার বলেন, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ হানাদার বাহিনীর প্রতিরোধ শুরু করেন। নিরস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ছিল জাতির পিতার ৭ই মার্চের সেই বাণী ‘তোমাদের যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করো।’ এরপর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানগণ নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পাকিস্তানী বর্বর ও এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।

মো. শামসুল হক টুকু বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নৌকার পক্ষে আছেন বলেই বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের সুনাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের পথে। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে নিয়ে দেশকে ক্ষুধামুক্ত, মাদকমুক্ত ও উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার পথে বীর দর্পে এগিয়ে যাচ্ছেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করার প্রসঙ্গে প্রধান অতিথি বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর পাকিস্তানী শাসকদের রেখে যাওয়া উচ্ছিষ্ট, উত্তরাধিকারীরা অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা ও নির্যাতন করে। জাতির জনকের কন্যা ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁরা আজ সমাজে মাথা উঁচু করে চলতে পারছে, তাদের সম্মানিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করার জন্য তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা-ভাতা, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। মৃত্যুর সময় দেয়া হচ্ছে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার।

মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব সম্পর্কে প্রধান অতিথি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এ দেশের কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। আমি আজ ডেপুটি স্পীকার তাদের কল্যাণেই, তারা দেশ স্বাধীন না করলে আমরা কেউই স্বাধীন দেশের নাগরিক থাকতাম না, আমরা যারা বড় বড় পদে আছি আমরা এই পদে থাকতাম না। এত বড় জয়ের পরও মুক্তিযোদ্ধাদের কর্তব্য শেষ হয়ে যায়নি, তাদের দায়িত্ব এখন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে ২০৪১ সালের মাঝে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ায় নেতৃত্ব দেয়া। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যতদিন অবশিষ্ট থাকবে ততদিন এ দেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. সবুর আলী সভাপতিত্বে এবং সাথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান দুটিতে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক, সাথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বেড়া-সাথিয়ার স্থানীয় আওয়ামী নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ লাইট ৭১

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button