ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জরুরি অবস্থা জারি কানাডায়

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 28

ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে কানাডায় চলছে আন্দোলন। আর তাই গত ১৮ দিন ধরে টানা রাস্তায় ট্রাক নামিয়ে কানাডাকে একপ্রকার স্তব্ধ করে দিয়েছে সেদেশের ট্রাক চালকদের একাংশ। এই অবস্থায় বাধ্য হয়েই আগামী ৩০ দিনের জন্য দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এই বিষয়ে সাংবাদিকদের ট্রুডো বলেন, ‘আমরা অবৈধ এবং বিপজ্জনক কার্যকলাপ চলতে দিতে পারি না এবং দেব না।’

এর ফলে দেশটিতে গত ৫০ বছরের মধ্যে দেশজুড়ে প্রথমবারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। ট্রুডোর কথায়, এই ট্রাক অবরোধের জেরে সারা বিশ্বে কানাডার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা ট্রাক চালকদের বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর পদক্ষেপ নিলো কানাডা সরকার।

উল্লেখ্য, ট্রাক চালকদের বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক সপ্তাহ আগেই রাজধানী অটোয়াতে জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। তবে তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

ট্রাক চালকদের জন্য টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করতেই ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভকারী ট্রাক চালকরা রাজধানীর রাস্তা অচল করে দিনরাত হর্ন এবং সাইরেন বাজিয়ে চলেছেন। টিকা এবং লকডাউন বিরোধী আরও কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ট্রাক চালকদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছেন। বিক্ষোভকারীরা কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার পরিবার রাজধানী ছেড়ে অজানা স্থানে চলে যেতে হয়েছিল। এই আবহে জরুরি অবস্থা জারি করে এই বিক্ষোভ বন্ধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ করবে সরকার। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সাহায্য করতে যদি কেউ আসে, তাকে এবার থেকে গ্রেপ্তার করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১

 

Tag :

শেয়ার করুন

জরুরি অবস্থা জারি কানাডায়

আপডেট টাইম : ০৪:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে কানাডায় চলছে আন্দোলন। আর তাই গত ১৮ দিন ধরে টানা রাস্তায় ট্রাক নামিয়ে কানাডাকে একপ্রকার স্তব্ধ করে দিয়েছে সেদেশের ট্রাক চালকদের একাংশ। এই অবস্থায় বাধ্য হয়েই আগামী ৩০ দিনের জন্য দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এই বিষয়ে সাংবাদিকদের ট্রুডো বলেন, ‘আমরা অবৈধ এবং বিপজ্জনক কার্যকলাপ চলতে দিতে পারি না এবং দেব না।’

এর ফলে দেশটিতে গত ৫০ বছরের মধ্যে দেশজুড়ে প্রথমবারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। ট্রুডোর কথায়, এই ট্রাক অবরোধের জেরে সারা বিশ্বে কানাডার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা ট্রাক চালকদের বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর পদক্ষেপ নিলো কানাডা সরকার।

উল্লেখ্য, ট্রাক চালকদের বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক সপ্তাহ আগেই রাজধানী অটোয়াতে জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। তবে তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

ট্রাক চালকদের জন্য টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করতেই ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভকারী ট্রাক চালকরা রাজধানীর রাস্তা অচল করে দিনরাত হর্ন এবং সাইরেন বাজিয়ে চলেছেন। টিকা এবং লকডাউন বিরোধী আরও কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ট্রাক চালকদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছেন। বিক্ষোভকারীরা কানাডার পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার পরিবার রাজধানী ছেড়ে অজানা স্থানে চলে যেতে হয়েছিল। এই আবহে জরুরি অবস্থা জারি করে এই বিক্ষোভ বন্ধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ করবে সরকার। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সাহায্য করতে যদি কেউ আসে, তাকে এবার থেকে গ্রেপ্তার করা হবে।

নিউজ লাইট ৭১