ঢাকার উত্তরে কোন মাঠেই আর মেলার অনুমতি দেয়া হবে না
- আপডেট টাইম : ১২:২৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯
- / 126
নিউজ লাইট ৭১ ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) কোন মাঠেই আর মেলার অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ৪ ডিসেম্বর বুধবার নগর ভবনে ‘আমরাও বলতে চাই’ শীর্ষক সংলাপে একথা জানান তিনি। সংলাপে ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর মঞ্জুর আহমেদ ও ইউনিসেফ এর নগর বিশেষজ্ঞ শামীমা সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ হাসান নামে এক কিশোরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কোন মাঠে কোন ধরনের মেলা হবে না। আমরা এর অনুমতি দেব না। এগুলো তোমরা (শিশু-কিশোর) ব্যবহার করবে। যদি কোথাও কেউ সমস্যা করে, তোমাদের খেলতে না দেয়, তাহলে ৩৩৩ এর কল করে বলবে, আমার খেলার মাঠে আমাকে খেলতে দেয়া হচ্ছে না। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
মেয়র বলেন, আমরা ২৪টি খেলার মাঠ ও পার্কের সংস্কার ও উন্নয়ন করছি, যার ১৭টিতেই সিসি টিভি ক্যামেরা এবং এলইডি লাইট থাকবে। বনানী ১৮ নম্বর রোডের মাঠে শুধু নারী ও শিশুরা খেলবে। আর বাকিগুলোতেও একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা একটি নির্দিষ্ট জায়গা কিশোরীদের জন্য আলাদা করে দেয়া যায় কি না আমরা দেখব।
মরিয়ম আক্তার মেঘলা নামের এক কিশোরী বলেন, আমাদের কিশোরীদের অনেক ধরনের সমস্যা থাকে, কিন্তু আমরা সেগুলো হাসপাতালে বা ফার্মেসিতে বলতে পারি না কারণ সেখানে পুরুষ বেশি। এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মাতৃসদন হাসপাতালগুলোতে নারী চিকিৎসক আছেন, সেখানে কিশোর কিশোরী কর্নার রয়েছে। তোমরা সেখানে আসতে পারো। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরাও ভিজিটে তোমাদের কাছে যাবেন।
শিশু-বান্ধব শহর গড়ার লক্ষ্যে সিটি কর্পেরেশন আয়োজিত এই সংলাপে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকা থেকে, বিশেষ করে সুবিধা বঞ্চিত কিশোর-কিশোরীগণ অংশগ্রহণ করেন। কিশোর-কিশোরীরা পরিবেশ দূষণ, শিশুশ্রম, খেলার মাঠ, নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যসেবা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি, বস্তির আবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মেয়রের কাছে দাবি তুলে ধরেন। তখন মেয়র বলেন, তোমাদের সাহস করে কথা বলতে হবে। তোমাদের অধিকার তোমাদেরকেই আদায় করে নিতে হবে। আজকে যে দাবীগুলো তোমরা উপস্থাপন করলে সেগুলো আমরা বিভিন্ন মেয়াদে সমাধান করবো। সংলাপের পরে মেয়র কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে গুলশানস্থ বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্ক পরিদর্শন করেন।
এদিকে ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মশক নিধন কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে আধুনিক যন্ত্রপাতির সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ২০টি মিস্ট ব্লোয়ার এবং ২টি ভেহিকেল মাউন্টিং ফগার মেশিন। এছাড়া আরো ৩টি ভেহিকেল মাউন্টিং ফগার মেশিন ক্রয় করা হবে।
ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলে ২টি করে ১০টি অঞ্চলে মোট ২০টি মিস্ট ব্লোয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মিস্ট ব্লোয়ারকে পাওয়ার স্প্রে বলা হয়। এই মেশিনটি মশার ডিম ও লার্ভা নিধনে অর্থাৎ লার্ভিসাইডিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। ভেহিকেল মাউন্টিং ফগার মেশিন ২টি জার্মানি থেকে আনা হয়েছে। প্রতিটি মেশিন পিক আপ ভ্যানে বসিয়ে উড়ন্ত মশা নিধন অর্থাৎ এডাল্টিসাইডিং করা হয়। প্রতিটি মেশিনে ১৫০লিটার এডাল্টিসাইড রাখা যায়। ভেহিকেল মাউন্টিং ফগার মেশিন দুটি গত মাস থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া ইতোপূর্বে ১০টি মোটরসাইকেলে ফগার মেশিন স্থাপন করে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে ব্যবহার করা হচ্ছে ।