ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমে উঠেছে অস্থায়ী সবজির বাজার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 39

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় জমে উঠেছে অস্থায়ী সবজির বাজার। বরিশাল-স্বরুপকাঠি মহাসড়কের গুঠিয়া ইউনিয়নের চাংগুরিয়া জোড়াখাম্বা নামকস্থানে অস্থায়ী এই সবজির বাজার বসে প্রতি সপ্তাহের রবি ও বুধবার। 

এই দুদিন সকাল থেকে স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত লাউ, কুমড়া, মূলা, মেটে আলু, পেঁপে, লালশাক, পুঁইশাক, পালং শাক, লাউ শাক, কুমড়া শাক, সরিষা শাকসহ নানান প্রজাতির শীতকালীন শাক-সবজি নিয়ে মহাসড়কের দু’পাশে বসেন। আর বিকেলের মধ্যেই সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতা আর পাইকারদের কাছে অনায়েসে বিক্রি হয়ে যায় টাটকা শাক-সবিজ।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, তাদের উৎপাদিত সবজি স্থানীয় ভাবে বিক্রি করতে পেরে ও হাটটিতে কোন ইজারাদার না থাকায় কোন বাড়তি খরচ হচ্ছে না। এতে খুচরা ও পাইকারী দামে সবজি বিক্রি করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।

এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বরিশাল, উজিরপুর, বানারীপাড়া, বাবুগঞ্জের পাইকাররা এসে ট্রলি, পিকআপভ্যান, মাহেন্দ্রা ও ইজিবাইকযোগে সবজি কিনে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে শহরে।

স্থানীয় সরদার সোহেল, ফারুক হাওলাদারসহ একাধিক বাসিন্দা জানান, কৃষিতে সমৃদ্ধ গুঠিয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে প্রচুর পরিমান শাক-সবজি উৎপাদিত হয়। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলা ও উপজেলা শহরের চাহিদা মেটায়।

সবজি ক্রয়ের একাধিক পাইকার জানান, সকাল থেকে দুপুর ১টার মধ্যে সবজিগুলো বাজারে নিয়ে আসেন কৃষকেরা। যা কিনে নিয়ে বিকেলের বাজারে টাটকা অবস্থায় বিক্রি করা যায়। এছাড়াও তুলনামূলকভাবে গ্রামের সবজির মূল্য কম ও যাতায়ত খরচ সাশ্রয়ী হওয়ায় তারা (পাইকার) লাভবান হচ্ছেন।

সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকনের পাশাপাশি বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে উজিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ তৌহিদ জানান, কৃষকরা সবজি উৎপাদন করে লাভবান হওয়ায় দিন দিন শাক-সবজির আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীতে এই সবজি চাষাবাদ ও চাষীদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই কৃষিবিদ।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

জমে উঠেছে অস্থায়ী সবজির বাজার

আপডেট টাইম : ১১:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় জমে উঠেছে অস্থায়ী সবজির বাজার। বরিশাল-স্বরুপকাঠি মহাসড়কের গুঠিয়া ইউনিয়নের চাংগুরিয়া জোড়াখাম্বা নামকস্থানে অস্থায়ী এই সবজির বাজার বসে প্রতি সপ্তাহের রবি ও বুধবার। 

এই দুদিন সকাল থেকে স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত লাউ, কুমড়া, মূলা, মেটে আলু, পেঁপে, লালশাক, পুঁইশাক, পালং শাক, লাউ শাক, কুমড়া শাক, সরিষা শাকসহ নানান প্রজাতির শীতকালীন শাক-সবজি নিয়ে মহাসড়কের দু’পাশে বসেন। আর বিকেলের মধ্যেই সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতা আর পাইকারদের কাছে অনায়েসে বিক্রি হয়ে যায় টাটকা শাক-সবিজ।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, তাদের উৎপাদিত সবজি স্থানীয় ভাবে বিক্রি করতে পেরে ও হাটটিতে কোন ইজারাদার না থাকায় কোন বাড়তি খরচ হচ্ছে না। এতে খুচরা ও পাইকারী দামে সবজি বিক্রি করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।

এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বরিশাল, উজিরপুর, বানারীপাড়া, বাবুগঞ্জের পাইকাররা এসে ট্রলি, পিকআপভ্যান, মাহেন্দ্রা ও ইজিবাইকযোগে সবজি কিনে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে শহরে।

স্থানীয় সরদার সোহেল, ফারুক হাওলাদারসহ একাধিক বাসিন্দা জানান, কৃষিতে সমৃদ্ধ গুঠিয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে প্রচুর পরিমান শাক-সবজি উৎপাদিত হয়। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলা ও উপজেলা শহরের চাহিদা মেটায়।

সবজি ক্রয়ের একাধিক পাইকার জানান, সকাল থেকে দুপুর ১টার মধ্যে সবজিগুলো বাজারে নিয়ে আসেন কৃষকেরা। যা কিনে নিয়ে বিকেলের বাজারে টাটকা অবস্থায় বিক্রি করা যায়। এছাড়াও তুলনামূলকভাবে গ্রামের সবজির মূল্য কম ও যাতায়ত খরচ সাশ্রয়ী হওয়ায় তারা (পাইকার) লাভবান হচ্ছেন।

সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকনের পাশাপাশি বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে উজিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ তৌহিদ জানান, কৃষকরা সবজি উৎপাদন করে লাভবান হওয়ায় দিন দিন শাক-সবজির আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীতে এই সবজি চাষাবাদ ও চাষীদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই কৃষিবিদ।

নিউজ লাইট ৭১