ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশী সিগারেট আমদানীর লাইসেন্স প্রদান বন্ধের দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯
  • / 129

নিউজ লাইট ৭১-জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ও প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক কোম্পানীকে সিগারেট আমদানীর লাইসেন্স (আইআরসি) প্রদান বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বানিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে এলায়েন্স ফর এফসিটিসি ইমপ্লিমেন্টেশন বাংলাদেশ (এএফআইবি) এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটভুক্ত ২০টি সংগঠন। সম্প্রতি জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানী লি.) বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের নিকট সিগারেট আমদানির জন্য বানিজ্যিক আইআরসি প্রাপ্তির আবেদন করেছে। জাপান টোব্যাকোর এই আবেদন সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ পলিসি পরিপন্থি। বানিজ্যিক আইআরসি পেলে তারা বিদেশী ব্র্যান্ডসমূহ সূলভ মূল্যে এই দেশে বিক্রি করবে এবং ভোক্তাগণ ধূমপানের দিকে আরো অধিক ঝুকে পড়বে। আমদানি লাইসেন্স প্রদান করা হলে তামাক কোম্পানীগুলো যে সুকৌশলে বৈধ পথে সামান্য কিছু সিগারেট আমদানি করে অবৈধ পথে চোরাচালানের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে বিদেশী সিগারেটের বিস্তার ঘটাবে। যা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ও তামাক নিয়ন্ত্রণে এক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। অর্থাৎ সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ পলিসির বাস্তবায়নে বড় বাঁধার সৃষ্টি করবে। যদি তাদেরকে বানিজ্যিক আইআরসি দেয়া হয় তাহলে দেশের অন্যান্য তামাক কোম্পানিসমূহকে একই ধরনের আইআরসি গ্রহণ করবে। ফলে দেশে আমদানিকৃত সিগারেট বিক্রির প্রতিযোগিতায় জনস্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।

বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ রুপে নির্মূল করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৫ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে। যেখানে বিশ্বনেতাদের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার প্রতিনিয়ত তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর, সেখানে তামাক কোম্পানীগুলো তাদের মৃত্যুবিপনন কার্যক্রম চলমান রাখতে একের পর এক পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছে। তামাক কোম্পানীর এ সকল কুটকৌশল কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

স্বচ্ছ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুমন শেখের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন এএফআইবি সদস্য সংগঠন স্বজীব সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মো. আইনুল হক। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের বোর্ড অব ট্রাস্টি এম. রফিকুল ইসলাম মিলন, এলআরবি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা রাজিয়া শিলা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান আকবর হোসেন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও হোমস্টেড রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী সদস্য অসিত রঞ্জন মজুমদার, হোমস্টেড রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট এর মহাসচিব ফারুক আহমেদ, মানবিকের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, জনঅধিকার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য খাদিজা জাহান, মাধবিকার চেয়ারম্যান এবিএমএ রাজ্জাক প্রমুখ। এছাড়াও আয়োজক সংগঠন এনডিএফ, মানবিক, জনস্বার্থ ফাউন্ডেশন, ইয়ুথ সান, এলআরবি ফাউন্ডেশন, স্বচ্ছ ফাউন্ডেশন, জনঅধিকার ফাউন্ডেশন, বিআরডিএস, সজীব সোসাইটি, হেলথ কনজ্যুমার রাইটস ফোরাম, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট, এইচআরডিএ, ওয়াইএসএসই, বাদসা, জনউদ্যোগ ট্রাস্ট, পিইএইচডিএফ, এসপিপিও, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিআরডিএস এর নির্বাহী পরিচালক মো. রিয়াজুল ইসলাম পিন্টু বলেন, দেশে ২০১৮ সালে তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার জনের অকাল মৃত্যু হয়েছে, যা এ সময়ে সকল মৃত্যুর ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। তামাকজনিত ব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারনে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে যা বিগত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জাতীয় আয়ের (জিডিপি) ১ দশমিক ৪ শতাংশ। এই অকাল মৃত্যু রোধে আমাদের দেশে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরী। এতদসত্ত্বেও অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে, গত বছর দেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ আসে তামাক খাত থেকে। ২০১৮ সালে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল প্রায় ১৩,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আমাদের দেশে তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম শুরু করে যা কিনা আমাদের জনস্বাস্থ্যর জন্য একটি হুমকি। এই বিনিয়োগ বৈশ্বিক বিশে^ এটা প্রমান করবে যে বাংলাদেশে তামাক খাতে বিনিয়োগ করার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে এবং এর ফলে অন্যান্য আর্šÍজাতিক তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তামাক খাতে এ দেশে বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান করবে।

বক্তারা বলেন, যেহেতু বর্তমানে জাপান টোব্যাকোকে দেশে তামাক উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, মেশিনারিজ ও প্রভৃতি আমদানীর শিল্প আইআরসি দেয়া হয়েছে যা ব্যবসার প্রসার ঘটানোতে প্রত্যক্ষ উৎসাহ দেয়। অতিরিক্তভাবে তামাক কোম্পানীকে বানিজ্যিক আইআরসি প্রদান করা মানে তাদেরকে আরও উৎসাহিত করা এবং জনস্বাস্থ্যকে মারাত্বক হুমকির মূখে ঠেলে দেয়া। এ তাদের এই সকল কর্মকান্ডের ফলে দেশ থেকে তামাকের ব্যবহার তো নির্মূল করা সম্ভব হবেই না বরং বিদেশী সিগারেটের ব্যবহারে দেশ সয়লাব হবে। এজন্য বানিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে এবং অবস্থান কর্মসূচিতে ২০টি সংগঠন জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের কোন তামাক কোম্পানীকে বানিজ্যিক আইআরসি প্রদান থেকে বিরত থাকার জোরালো দাবি জানায়।

Tag :

শেয়ার করুন

বিদেশী সিগারেট আমদানীর লাইসেন্স প্রদান বন্ধের দাবি

আপডেট টাইম : ০৯:১৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১-জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ও প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক কোম্পানীকে সিগারেট আমদানীর লাইসেন্স (আইআরসি) প্রদান বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বানিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে এলায়েন্স ফর এফসিটিসি ইমপ্লিমেন্টেশন বাংলাদেশ (এএফআইবি) এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটভুক্ত ২০টি সংগঠন। সম্প্রতি জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানী লি.) বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের নিকট সিগারেট আমদানির জন্য বানিজ্যিক আইআরসি প্রাপ্তির আবেদন করেছে। জাপান টোব্যাকোর এই আবেদন সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ পলিসি পরিপন্থি। বানিজ্যিক আইআরসি পেলে তারা বিদেশী ব্র্যান্ডসমূহ সূলভ মূল্যে এই দেশে বিক্রি করবে এবং ভোক্তাগণ ধূমপানের দিকে আরো অধিক ঝুকে পড়বে। আমদানি লাইসেন্স প্রদান করা হলে তামাক কোম্পানীগুলো যে সুকৌশলে বৈধ পথে সামান্য কিছু সিগারেট আমদানি করে অবৈধ পথে চোরাচালানের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে বিদেশী সিগারেটের বিস্তার ঘটাবে। যা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ও তামাক নিয়ন্ত্রণে এক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। অর্থাৎ সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ পলিসির বাস্তবায়নে বড় বাঁধার সৃষ্টি করবে। যদি তাদেরকে বানিজ্যিক আইআরসি দেয়া হয় তাহলে দেশের অন্যান্য তামাক কোম্পানিসমূহকে একই ধরনের আইআরসি গ্রহণ করবে। ফলে দেশে আমদানিকৃত সিগারেট বিক্রির প্রতিযোগিতায় জনস্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।

বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ রুপে নির্মূল করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৫ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে। যেখানে বিশ্বনেতাদের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার প্রতিনিয়ত তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর, সেখানে তামাক কোম্পানীগুলো তাদের মৃত্যুবিপনন কার্যক্রম চলমান রাখতে একের পর এক পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছে। তামাক কোম্পানীর এ সকল কুটকৌশল কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

স্বচ্ছ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুমন শেখের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন এএফআইবি সদস্য সংগঠন স্বজীব সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মো. আইনুল হক। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের বোর্ড অব ট্রাস্টি এম. রফিকুল ইসলাম মিলন, এলআরবি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা রাজিয়া শিলা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান আকবর হোসেন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও হোমস্টেড রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী সদস্য অসিত রঞ্জন মজুমদার, হোমস্টেড রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট এর মহাসচিব ফারুক আহমেদ, মানবিকের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, জনঅধিকার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য খাদিজা জাহান, মাধবিকার চেয়ারম্যান এবিএমএ রাজ্জাক প্রমুখ। এছাড়াও আয়োজক সংগঠন এনডিএফ, মানবিক, জনস্বার্থ ফাউন্ডেশন, ইয়ুথ সান, এলআরবি ফাউন্ডেশন, স্বচ্ছ ফাউন্ডেশন, জনঅধিকার ফাউন্ডেশন, বিআরডিএস, সজীব সোসাইটি, হেলথ কনজ্যুমার রাইটস ফোরাম, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট, এইচআরডিএ, ওয়াইএসএসই, বাদসা, জনউদ্যোগ ট্রাস্ট, পিইএইচডিএফ, এসপিপিও, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিআরডিএস এর নির্বাহী পরিচালক মো. রিয়াজুল ইসলাম পিন্টু বলেন, দেশে ২০১৮ সালে তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার জনের অকাল মৃত্যু হয়েছে, যা এ সময়ে সকল মৃত্যুর ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। তামাকজনিত ব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারনে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে যা বিগত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জাতীয় আয়ের (জিডিপি) ১ দশমিক ৪ শতাংশ। এই অকাল মৃত্যু রোধে আমাদের দেশে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরী। এতদসত্ত্বেও অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে, গত বছর দেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ আসে তামাক খাত থেকে। ২০১৮ সালে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল প্রায় ১৩,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আমাদের দেশে তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম শুরু করে যা কিনা আমাদের জনস্বাস্থ্যর জন্য একটি হুমকি। এই বিনিয়োগ বৈশ্বিক বিশে^ এটা প্রমান করবে যে বাংলাদেশে তামাক খাতে বিনিয়োগ করার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে এবং এর ফলে অন্যান্য আর্šÍজাতিক তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তামাক খাতে এ দেশে বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান করবে।

বক্তারা বলেন, যেহেতু বর্তমানে জাপান টোব্যাকোকে দেশে তামাক উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, মেশিনারিজ ও প্রভৃতি আমদানীর শিল্প আইআরসি দেয়া হয়েছে যা ব্যবসার প্রসার ঘটানোতে প্রত্যক্ষ উৎসাহ দেয়। অতিরিক্তভাবে তামাক কোম্পানীকে বানিজ্যিক আইআরসি প্রদান করা মানে তাদেরকে আরও উৎসাহিত করা এবং জনস্বাস্থ্যকে মারাত্বক হুমকির মূখে ঠেলে দেয়া। এ তাদের এই সকল কর্মকান্ডের ফলে দেশ থেকে তামাকের ব্যবহার তো নির্মূল করা সম্ভব হবেই না বরং বিদেশী সিগারেটের ব্যবহারে দেশ সয়লাব হবে। এজন্য বানিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে এবং অবস্থান কর্মসূচিতে ২০টি সংগঠন জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের কোন তামাক কোম্পানীকে বানিজ্যিক আইআরসি প্রদান থেকে বিরত থাকার জোরালো দাবি জানায়।