ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র গতিতে বেড়েছে ভ্র্যাম্যমান মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
  • / 108

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নের নির্দেশনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দেশজুড়ে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও রাজারহাট উপজেলায় তীব্র গতিতে বেড়েছে ভ্র্যাম্যমান মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় মাদকের প্রধান ডিলার হচ্ছে ছিনাই ইউনিয়নের (১) আব্দুর রহমান বদী পিতা-অজ্ঞাত সাং কিং ছিনাই (২) জহুর আলী পিতা-মোকছার আলী (৩) এরশাদুল হক পিতা মোকছার আলী এরা একাধিক মাদক মামলার আসামি। 

সম্প্রতি এরশাদুল হককে বার বার গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও এদের নিযুক্ত কয়েকজন সেলসম্যানের মাধ্যমে ব্যাপক হারে চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তান সহ রাজনৈতিক পরিচয়ে কাঠালবাড়ি ও বৈদ্যেরবাজারের কয়েক ব্যক্তি মটর সাইকেলে ভ্রাম্যমান ভাবে ছিনাই মোবাইল টাওয়ার থেকে, একতার বাজার রোডে ফেনসিডিল সরবাহ করে থাকে। এদের মাধ্যমে ছিনাই ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভ্রাম্যমান মাদকের রমরমা ব্যবসা। সব সময় ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে এসব মাদক বিক্রেতা।

এছাড়াও রাজারহাট উপজেলা প্রপারে কয়েকজন কিশোর রাজনৈতিক দলের কর্মী পরিচয়ে দলীয় কিছু বড় ভাইদের ছত্রছায় চালিয়ে যাচ্ছে  মাদকের রমরমা বাণিজ্য। মাদক ব্যবসায়ীদের নিত্য নতুন কলা কৌশলের কাছে অনেকটাই অসহায় আইন শশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে মোবাইল ফোনে মাদক সেবিদের সাথে যোগাযোগ করে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাক্তির মাধ্যমে রাজারহাট ইউপি ও চাকিরপশার ইউপিতে পথে ঘাটে চলছে মাদক সরবরাহ। 

এলাকার এক সময়ের মোবাইল ছিনতাইকারী, প্রেমিক যুগলকে আটকে রেখে টাকা পয়সা লুন্ঠনকারী বিভিন্ন অপরাধে জড়িত কিশোর গ্যাংএর সদস্যরা বর্তমানে মাদকের নেশায় আসক্ত হয় পড়েছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে মাদক ব্যবসায়ীর সাথে কমিশন চুক্তিতে ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, ট্যাপেন্ডা লোপেন্ডা, মদ সরবরাহের সেলসম্যান হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে কিশোর গ্যাং। ফেনসিডিল সরবরাহের নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে- রাজারহাট ইউপির কিশামত পুনকর শিমুলতলা রোড়, সুইদির পুকুর পাড়, বোতলারপাড় বটতলী, চাকিরপশার ইউপির ব্রাক মোড় রোড, মাইনর স্কুল আজমের দোকানের পিছনে, মাইনর স্কুল টু চক্রাটারী রোড, ব্র্যাক থেকে কালীরপাট রোড ঘড়িয়াল ডাঁঙ্গা ইউপির মিয়াঁ পাড়া গোবদা ও বাঘআচড়া স্কুল মাঠ ও বিয়ানী বাজারে দিদার মাদক বিক্রি করছে ঐ এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ছামাদ মিয়া। 

ট্যাপেন্টা ও ইয়াবার নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে হাসপাতাল মোড়, রেলগেট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেস্কের পিছেন, চান্দামারী হাই স্কুলের মোড় সহ বাজারেও কৌশলে মাদক সরবরাহ করে থাকে। 

এ বিষয়ে ওসি রাজু সরকার বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত রাজারহাট থানা পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা জনসাধারণকে নিয়ে মাদকের কুফল সম্পর্কে অবগত করতেছি। কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হচ্ছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

তীব্র গতিতে বেড়েছে ভ্র্যাম্যমান মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা

আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নের নির্দেশনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দেশজুড়ে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও রাজারহাট উপজেলায় তীব্র গতিতে বেড়েছে ভ্র্যাম্যমান মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় মাদকের প্রধান ডিলার হচ্ছে ছিনাই ইউনিয়নের (১) আব্দুর রহমান বদী পিতা-অজ্ঞাত সাং কিং ছিনাই (২) জহুর আলী পিতা-মোকছার আলী (৩) এরশাদুল হক পিতা মোকছার আলী এরা একাধিক মাদক মামলার আসামি। 

সম্প্রতি এরশাদুল হককে বার বার গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও এদের নিযুক্ত কয়েকজন সেলসম্যানের মাধ্যমে ব্যাপক হারে চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তান সহ রাজনৈতিক পরিচয়ে কাঠালবাড়ি ও বৈদ্যেরবাজারের কয়েক ব্যক্তি মটর সাইকেলে ভ্রাম্যমান ভাবে ছিনাই মোবাইল টাওয়ার থেকে, একতার বাজার রোডে ফেনসিডিল সরবাহ করে থাকে। এদের মাধ্যমে ছিনাই ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভ্রাম্যমান মাদকের রমরমা ব্যবসা। সব সময় ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে এসব মাদক বিক্রেতা।

এছাড়াও রাজারহাট উপজেলা প্রপারে কয়েকজন কিশোর রাজনৈতিক দলের কর্মী পরিচয়ে দলীয় কিছু বড় ভাইদের ছত্রছায় চালিয়ে যাচ্ছে  মাদকের রমরমা বাণিজ্য। মাদক ব্যবসায়ীদের নিত্য নতুন কলা কৌশলের কাছে অনেকটাই অসহায় আইন শশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে মোবাইল ফোনে মাদক সেবিদের সাথে যোগাযোগ করে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাক্তির মাধ্যমে রাজারহাট ইউপি ও চাকিরপশার ইউপিতে পথে ঘাটে চলছে মাদক সরবরাহ। 

এলাকার এক সময়ের মোবাইল ছিনতাইকারী, প্রেমিক যুগলকে আটকে রেখে টাকা পয়সা লুন্ঠনকারী বিভিন্ন অপরাধে জড়িত কিশোর গ্যাংএর সদস্যরা বর্তমানে মাদকের নেশায় আসক্ত হয় পড়েছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে মাদক ব্যবসায়ীর সাথে কমিশন চুক্তিতে ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, ট্যাপেন্ডা লোপেন্ডা, মদ সরবরাহের সেলসম্যান হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে কিশোর গ্যাং। ফেনসিডিল সরবরাহের নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে- রাজারহাট ইউপির কিশামত পুনকর শিমুলতলা রোড়, সুইদির পুকুর পাড়, বোতলারপাড় বটতলী, চাকিরপশার ইউপির ব্রাক মোড় রোড, মাইনর স্কুল আজমের দোকানের পিছনে, মাইনর স্কুল টু চক্রাটারী রোড, ব্র্যাক থেকে কালীরপাট রোড ঘড়িয়াল ডাঁঙ্গা ইউপির মিয়াঁ পাড়া গোবদা ও বাঘআচড়া স্কুল মাঠ ও বিয়ানী বাজারে দিদার মাদক বিক্রি করছে ঐ এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ছামাদ মিয়া। 

ট্যাপেন্টা ও ইয়াবার নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে হাসপাতাল মোড়, রেলগেট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেস্কের পিছেন, চান্দামারী হাই স্কুলের মোড় সহ বাজারেও কৌশলে মাদক সরবরাহ করে থাকে। 

এ বিষয়ে ওসি রাজু সরকার বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত রাজারহাট থানা পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা জনসাধারণকে নিয়ে মাদকের কুফল সম্পর্কে অবগত করতেছি। কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হচ্ছে।

নিউজ লাইট ৭১