ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকার’ বলায় অবশেষে দুঃখ প্রকাশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / 106

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকার’ বলায় অবশেষে দুঃখ প্রকাশ করে নোয়াখালীবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরাম চৌধুরী।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) টেলিফোনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন।

একরাম চৌধুরী বলেন, আমার কোনো বক্তব্যে আমার নেতা ওবায়দুল কাদের কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আর নোয়াখালীবাসী দুঃখ পেয়ে থাকলে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি রাতে একরাম চৌধুরী ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারেন না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে। তা হলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।’

তিনি বলেন, মির্জা কাদেরের চাচা রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তাকে কাদের ভাইয়ের বাহিনী গুলি করে মেরেছে। তার বাবা ছিলেন মুসলিম লীগার। মির্জা কাদেরের নানা ছিলেন শান্তি বাহিনীর কমান্ডার। মামা ছিলেন রাজাকার। তাদের পুরো বংশই ছিল রাজাকার। একটা রাজাকার বংশের লোক নিয়মিত ৩০০ সাংসদের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা নেই দলের ভেতর।

২৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি ওই দিন রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়। তবে পরবর্তিতে ভিডিওটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকার’ বলায় অবশেষে দুঃখ প্রকাশ

আপডেট টাইম : ০৬:০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকার’ বলায় অবশেষে দুঃখ প্রকাশ করে নোয়াখালীবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরাম চৌধুরী।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) টেলিফোনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন।

একরাম চৌধুরী বলেন, আমার কোনো বক্তব্যে আমার নেতা ওবায়দুল কাদের কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আর নোয়াখালীবাসী দুঃখ পেয়ে থাকলে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি রাতে একরাম চৌধুরী ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারেন না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে। তা হলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।’

তিনি বলেন, মির্জা কাদেরের চাচা রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তাকে কাদের ভাইয়ের বাহিনী গুলি করে মেরেছে। তার বাবা ছিলেন মুসলিম লীগার। মির্জা কাদেরের নানা ছিলেন শান্তি বাহিনীর কমান্ডার। মামা ছিলেন রাজাকার। তাদের পুরো বংশই ছিল রাজাকার। একটা রাজাকার বংশের লোক নিয়মিত ৩০০ সাংসদের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা নেই দলের ভেতর।

২৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি ওই দিন রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়। তবে পরবর্তিতে ভিডিওটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১