ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া থেকে এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির উদ্যোগ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০
  • / 80

নিউজ লাইট ৭১ঃ রাশিয়া থেকে এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশটির জেএসসি ফরেন ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন (প্রদিনটর্গ) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী এই সার আনা হচ্ছে। এই খাতে সরকারের ব্যয় হবে ৩৪১ কোটি ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের কৃষি উৎপাদনে এমওপি সারের চাহিদা মেটাতে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর থেকে রাশিয়ার তৈরি এমওপি সার আমদানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এমওপি সারের বছরে চাহিদা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।

এর মধ্যে বিএডিসি রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করে। বাকি সার বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা হয়। উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে বিএনডিসির এমওপি সার আমদানির বিষয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন রয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিএডিসি ও ‘প্রদিনটর্গ’-এর মধ্যে সারের বিষয়ে ২০১৯ সালে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। আগের শর্তগুলো ঠিক রেখে চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ওই চুক্তি নবায়ন করা হয়। বিএডিসি ওই চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টনের ৬ লটে মোট এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি করবে।

রাশিয়া থেকে এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানিতে প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ২২৩ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার। সে অনুযায়ী সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে চার কোটি এক লাখ ৮৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪১ কোটি ৩৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৫০ টাকা।

চুক্তিমূল্য নির্ধারণের জন্য চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিএডিসির সংশ্লিষ্ট দর প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এরপর ওই প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

Tag :

শেয়ার করুন

রাশিয়া থেকে এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির উদ্যোগ

আপডেট টাইম : ০৬:৪৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০

নিউজ লাইট ৭১ঃ রাশিয়া থেকে এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশটির জেএসসি ফরেন ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন (প্রদিনটর্গ) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী এই সার আনা হচ্ছে। এই খাতে সরকারের ব্যয় হবে ৩৪১ কোটি ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের কৃষি উৎপাদনে এমওপি সারের চাহিদা মেটাতে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর থেকে রাশিয়ার তৈরি এমওপি সার আমদানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এমওপি সারের বছরে চাহিদা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।

এর মধ্যে বিএডিসি রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করে। বাকি সার বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা হয়। উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে বিএনডিসির এমওপি সার আমদানির বিষয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন রয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিএডিসি ও ‘প্রদিনটর্গ’-এর মধ্যে সারের বিষয়ে ২০১৯ সালে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। আগের শর্তগুলো ঠিক রেখে চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ওই চুক্তি নবায়ন করা হয়। বিএডিসি ওই চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টনের ৬ লটে মোট এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি করবে।

রাশিয়া থেকে এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানিতে প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ২২৩ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার। সে অনুযায়ী সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে চার কোটি এক লাখ ৮৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪১ কোটি ৩৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৫০ টাকা।

চুক্তিমূল্য নির্ধারণের জন্য চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিএডিসির সংশ্লিষ্ট দর প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এরপর ওই প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।