লিভ টুগেদারের অনুমতি দিয়েছে আরব আমিরাত
- আপডেট টাইম : ০৬:৩২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
- / 101
নিউজ লাইট ৭১ঃ অবিবাহিত ছেলে মেয়ে একত্রে বসবাস এবং মদ্যপানের উপর আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
দেশটিতে নিজস্ব ইসলামিক আইন চালু আছে এবং ইসলামে মদপান এবং বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ। তবে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে শনিবার (৭ নভেম্বর) ইসলামিক আইন সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আল জাজিরা জানায়, নতুন আইনে ২১ বছর বা তার বেশি বয়সের নাগরিকরা এখন মদ কেনা-বেচা এবং পান করতে পারবেন।
দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম এবং সরকার ঘনিষ্ঠ পত্রিকা ‘দ্য ন্যাশনাল’ শনিবার নতুন এ আইনের বিস্তারিত তুলে ধরেছে বলে জানায় কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার দেশটিতে প্রচলিত ইসলামি আইন ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে। ওই পরিকল্পনায় ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সীমারেখা বাড়াতে ইসলামি আইন শিথিল করার কথা বলা হয়েছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতি এবং সারা বিশ্ব থেকে অধিক বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টির অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে ‘সহনশীলতার নীতি আরও দৃঢ় হয়’ বলে জানান আমিরাত কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও, দেশটি ‘অনার কিলিং’ এর ঘটনাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে চাইছে।
আমিরাতে পর্যটকদের জন্য মদ পান এবং অবকাশ যাপনের সব আয়োজন থাকলেও দেশটির নাগরিকদের জন্য সেসব নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হত।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগে মদ কেনা, বহন এবং বাড়িতে রাখতে লাইসেন্সের প্রয়োজন হত। ইসলামি আইনের কারণে মুসলমানরা ওই লাইসেন্স করতে পারতেন না। নতুন আইনে নির্ধারিত বয়স সীমার পর তারাও এখন মদ পান করতে এবং বাড়িতে রাখতে পারবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দীর্ঘদিন ধরে অবিবাহিত যুগলের একত্রে বসবাস শাস্তি অপরাধ ছিল। যদিও দেশটির বাণিজ্যিক নগরী দুবাইতে অনেক দিন ধরেই সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তনের ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল।
পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে নারীদের উপর তার পরিবারের পুরুষ সদস্যদের যে কোনও ধরণের নির্যাতন বন্ধে ‘অনার কিলিং’ নিষিদ্ধ করেও সেখানে আইন হচ্ছে।