ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি বিদেশিদের প্রতি নির্ভর হয়ে পড়ছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১০:০১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 111

নিউজ লাইট ৭১: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের জনগণের প্রতি আস্থা নেই বলেই বিএনপি বিদেশিদের প্রতি নির্ভর হয়ে পড়ছে।

সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অবস্থা দেউলিয়াপনার অবস্থায় নিপতিত হয়েছে। নালিশি তাদের একমাত্র পুঁজি। তাদের কোনও অভিযোগ থাকলে সেই অভিযোগ বা নালিশ তারা করতে পারে জনগণের কাছে। বিচারক হতে পারে জনগণ।

তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের কাছে নালিশ না করে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে তারা প্রমাণ করেছে—দেশের জনগণ ও ভোটারদের প্রতি তাদের কোনও আস্থা নেই। জনগণের প্রতি ভরসা থাকলে তারা এত নালিশ করতো না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবে। কিন্তু সেটি কখনও যেন আক্রমণাত্মক না হয়। রাজনীতিরও একটি ভাষা আছে। আমরা ডিভাইস হয়ে যাচ্ছি। এটি পরিহার করা উচিত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আক্রমণের ভাষা পরিহার করা উচিত। ড. কামাল হোসেনের মতো একজন বিজ্ঞ মানুষ যখন খেই হারিয়ে বলেন—‘সরকারকে লাথি মেরে নামাতে হবে’ তার মুখে এ ধরনের ভাষা শোভন নয়। এটি পরিহার করা উচিত। অশালীন অমার্জিত ভাষা ব্যবহার করা ঠিক নয়। রাজনীতিতে মতান্তর থাকবে। মতান্তর যেন মনান্তর না হয়। মনান্তর পরিহার করতে পারলে রাজনীতিতে গুণগত মান বাড়বে।

ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দলকে আমান্ত্রণ জানানো হবে কিনা এর জবাবে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমাদের আমন্ত্রণের সাড়া দিয়ে ড. কামাল হোসেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, এ কিউ এম বদরুদ্দৌজা চৌধুরী উপস্থিত থাকলেও বিএনপির কেউ আসেনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো যখন মারা গেল, সন্তান হারা মাকে সান্ত্বনা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘরের দরজার তালা, গেটের তালা সব বন্ধ রাখা হয়েছিল। সব তালাবদ্ধ ছিল।

তিনি বলেন, রাজনীতির ময়দানে অমঙ্গলীয় দেয়াল তুলে ফেলতে হবে। রাজনীতিতে সৌজন্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। সবকিছুই যেন মানি না, মানবো না সংস্কৃতির দিকে যাচ্ছে। এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

Tag :

শেয়ার করুন

বিএনপি বিদেশিদের প্রতি নির্ভর হয়ে পড়ছে

আপডেট টাইম : ১০:০১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের জনগণের প্রতি আস্থা নেই বলেই বিএনপি বিদেশিদের প্রতি নির্ভর হয়ে পড়ছে।

সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অবস্থা দেউলিয়াপনার অবস্থায় নিপতিত হয়েছে। নালিশি তাদের একমাত্র পুঁজি। তাদের কোনও অভিযোগ থাকলে সেই অভিযোগ বা নালিশ তারা করতে পারে জনগণের কাছে। বিচারক হতে পারে জনগণ।

তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের কাছে নালিশ না করে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে তারা প্রমাণ করেছে—দেশের জনগণ ও ভোটারদের প্রতি তাদের কোনও আস্থা নেই। জনগণের প্রতি ভরসা থাকলে তারা এত নালিশ করতো না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবে। কিন্তু সেটি কখনও যেন আক্রমণাত্মক না হয়। রাজনীতিরও একটি ভাষা আছে। আমরা ডিভাইস হয়ে যাচ্ছি। এটি পরিহার করা উচিত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আক্রমণের ভাষা পরিহার করা উচিত। ড. কামাল হোসেনের মতো একজন বিজ্ঞ মানুষ যখন খেই হারিয়ে বলেন—‘সরকারকে লাথি মেরে নামাতে হবে’ তার মুখে এ ধরনের ভাষা শোভন নয়। এটি পরিহার করা উচিত। অশালীন অমার্জিত ভাষা ব্যবহার করা ঠিক নয়। রাজনীতিতে মতান্তর থাকবে। মতান্তর যেন মনান্তর না হয়। মনান্তর পরিহার করতে পারলে রাজনীতিতে গুণগত মান বাড়বে।

ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দলকে আমান্ত্রণ জানানো হবে কিনা এর জবাবে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমাদের আমন্ত্রণের সাড়া দিয়ে ড. কামাল হোসেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, এ কিউ এম বদরুদ্দৌজা চৌধুরী উপস্থিত থাকলেও বিএনপির কেউ আসেনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো যখন মারা গেল, সন্তান হারা মাকে সান্ত্বনা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘরের দরজার তালা, গেটের তালা সব বন্ধ রাখা হয়েছিল। সব তালাবদ্ধ ছিল।

তিনি বলেন, রাজনীতির ময়দানে অমঙ্গলীয় দেয়াল তুলে ফেলতে হবে। রাজনীতিতে সৌজন্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। সবকিছুই যেন মানি না, মানবো না সংস্কৃতির দিকে যাচ্ছে। এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।