ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ থেকে পুলিশ সপ্তাহ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০
  • / 114

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) পাচ্ছেন পুলিশের ১১৮ কর্মকর্তা ও সদস্য। আজ রাজধানীর রাজারবাগে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২০’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের হাতে এ পদক তুলে দেবেন। বীরত্বপূর্ণ কাজ এবং সেবার জন্য নতুন বছরের শুরুতেই পুলিশ সপ্তাহে চারটি ক্যাটাগরিতে এ পদক দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১৪ জনকে বিপিএম সেবা, ২৮ জনকে বিপিএম সাহসিকতা, পিপিএম সেবা ২০ জন এবং পিপিএম সাহসিকতা ৫৬ জন।

২০১৯ সালে ৩৪৯ পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট অনেকের ধারণা, জাতীয় নির্বাচনে ‘বিশেষ ভূমিকা’ এবং রাজনৈতিক কারণেই এই বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল। তবে এ বছর সে ধারা থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক পথেই হাঁটছে পুলিশ সদর দফতর। মাঠপুলিশের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এবার ১১৮ পুলিশ সদস্যকে পদক দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত আইজিপি মঈনুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের পদক কমিটি তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ করেছে। যাচাই-বাছাই শেষে পুলিশ সদর দফতর থেকে পদকের জন্য গত বৃহস্পতিবার ১২০ জনের তালিকা পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় থেকে ১১৮ জনকে পদক দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। দু-এক দিনের মধ্যেই পদকপ্রাপ্তদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বছর জুড়ে ভালো কাজ, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণ ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য পদক দেওয়া হয়। গত বছর রেকর্ডসংখ্যক এ পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশেষ করে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল। এ কারণেই একযোগে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও রেঞ্জ ডিআইজি ও মেট্রোপলিটন এলাকার কমিশনাররা সবাই পদক পান। তবে চলতি বছর পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে দু-একটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া গত বছর যারা এ পদক পেয়েছেন, এবার তাদের তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গত বছর রেকর্ডসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে পদক দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হওয়ার কারণে এবার এ সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে ২০১৮ সালে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য ১৮২ জনকে বিপিএম-পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল। এর আগে যথাক্রমে ২০১৭ সালে ১৩২, ২০১৬ সালে ১২২, ২০১৫ সালে ৮৬ ও ২০১৪ সালে ১০৫ কর্মকর্তা বিপিএম-পিপিএম পদক পান। পুলিশ কর্মকর্তারা অনেকেই বলছেন, গত বছর পদকের সংখ্যা অতিরিক্ত মাত্রায় বেশি এবং গণহারে হওয়ার কারণে এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিল। আর একই বছরে তুলনামূলক যোগ্যতা বেশি থাকার পরও এত পদকের মধ্যেও নিজের নাম খুঁজে না পয়ে ক্ষুব্ধও ছিলেন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, এবারের পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অর্ধশত সদস্য পদক পেতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখার কারণে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের আনুমানিক ২০ জন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ১০ এবং বাকি প্রায় ২০ জন ডিএমপির সদর দফতর ও ক্রাইম জোনের সদস্য বলে জানা গেছে। বাকি পদকের মধ্যে পুলিশের অন্যান্য দুই বড় ইউনিট র‌্যাব, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিসহ অন্য ইউনিটের সদস্যরা রয়েছেন।

গত বছর বিপিএম সাহসিকতার জন্য এককালীন ১ লাখ টাকা ও প্রতি মাসে বেতনের সঙ্গে দেড় হাজার টাকা, বিপিএম সেবার জন্য এককালীন ৭৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া পিপিএম সাহসিকতার জন্য এককালীন ৭৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা এবং পিপিএম সেবার জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

Tag :

শেয়ার করুন

আজ থেকে পুলিশ সপ্তাহ

আপডেট টাইম : ০৯:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) পাচ্ছেন পুলিশের ১১৮ কর্মকর্তা ও সদস্য। আজ রাজধানীর রাজারবাগে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২০’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের হাতে এ পদক তুলে দেবেন। বীরত্বপূর্ণ কাজ এবং সেবার জন্য নতুন বছরের শুরুতেই পুলিশ সপ্তাহে চারটি ক্যাটাগরিতে এ পদক দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১৪ জনকে বিপিএম সেবা, ২৮ জনকে বিপিএম সাহসিকতা, পিপিএম সেবা ২০ জন এবং পিপিএম সাহসিকতা ৫৬ জন।

২০১৯ সালে ৩৪৯ পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট অনেকের ধারণা, জাতীয় নির্বাচনে ‘বিশেষ ভূমিকা’ এবং রাজনৈতিক কারণেই এই বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল। তবে এ বছর সে ধারা থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক পথেই হাঁটছে পুলিশ সদর দফতর। মাঠপুলিশের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এবার ১১৮ পুলিশ সদস্যকে পদক দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত আইজিপি মঈনুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের পদক কমিটি তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ করেছে। যাচাই-বাছাই শেষে পুলিশ সদর দফতর থেকে পদকের জন্য গত বৃহস্পতিবার ১২০ জনের তালিকা পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় থেকে ১১৮ জনকে পদক দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। দু-এক দিনের মধ্যেই পদকপ্রাপ্তদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বছর জুড়ে ভালো কাজ, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণ ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য পদক দেওয়া হয়। গত বছর রেকর্ডসংখ্যক এ পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশেষ করে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল। এ কারণেই একযোগে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও রেঞ্জ ডিআইজি ও মেট্রোপলিটন এলাকার কমিশনাররা সবাই পদক পান। তবে চলতি বছর পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে দু-একটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া গত বছর যারা এ পদক পেয়েছেন, এবার তাদের তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গত বছর রেকর্ডসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে পদক দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হওয়ার কারণে এবার এ সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে ২০১৮ সালে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য ১৮২ জনকে বিপিএম-পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল। এর আগে যথাক্রমে ২০১৭ সালে ১৩২, ২০১৬ সালে ১২২, ২০১৫ সালে ৮৬ ও ২০১৪ সালে ১০৫ কর্মকর্তা বিপিএম-পিপিএম পদক পান। পুলিশ কর্মকর্তারা অনেকেই বলছেন, গত বছর পদকের সংখ্যা অতিরিক্ত মাত্রায় বেশি এবং গণহারে হওয়ার কারণে এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিল। আর একই বছরে তুলনামূলক যোগ্যতা বেশি থাকার পরও এত পদকের মধ্যেও নিজের নাম খুঁজে না পয়ে ক্ষুব্ধও ছিলেন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, এবারের পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অর্ধশত সদস্য পদক পেতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখার কারণে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের আনুমানিক ২০ জন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ১০ এবং বাকি প্রায় ২০ জন ডিএমপির সদর দফতর ও ক্রাইম জোনের সদস্য বলে জানা গেছে। বাকি পদকের মধ্যে পুলিশের অন্যান্য দুই বড় ইউনিট র‌্যাব, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিসহ অন্য ইউনিটের সদস্যরা রয়েছেন।

গত বছর বিপিএম সাহসিকতার জন্য এককালীন ১ লাখ টাকা ও প্রতি মাসে বেতনের সঙ্গে দেড় হাজার টাকা, বিপিএম সেবার জন্য এককালীন ৭৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া পিপিএম সাহসিকতার জন্য এককালীন ৭৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা এবং পিপিএম সেবার জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।