ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত-বাংলাদেশ ড্র

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১০:০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯
  • / 118

আদিল খানের নৈপুণ্যে দুর্দান্ত বাংলাদেশকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ভারত। গোল বাঁচানো, গোল করা দুটোই করেছেন ভারতীয় ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আদিল খান। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর বিশ্বকাপের বাছাইয়ে খেলতে নেমেছিল প্রতিবেশী দুই দেশ। এ লড়াইয়ে জেতেনি কেউ। তবে পারফরম্যান্সের দিক বিচার করলে জয় হয়েছে বাংলাদেশের। দুই দল মাঠে নামার আগে ভারতীয় রাশিয়ান কোচ ইগোর স্টিমাক বলেছিলেন বাংলাদেশকে হালকা করে দেখার উপায় নেই। কেন হালকা করে দেখার উপায় নেই তা জেমি ডের শিষ্যরা হারে হারে দেখিয়েছে। বলতে গেলে পুরো কলকাতা স্টেডিয়াম মাতিয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। ম্যাচটিতে দুর্দান্ত খেললেও যেন ভাগ্যটা সহায়ক ছিল না বাংলাদেশের। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৬ মিনিটের মাথায় নাবীব নেওয়াজ জীবনের নিশ্চিত গোল গোলবারে ঢুকে বের করে দেন আদিল খান। এরপর ৫৪ মিনিটের মাথায় ইব্রাহিমের বল বারে লেগে ফিরে আসে। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের না পাওয়া হলো এই দুটো গোল।

ম্যাচের ৪২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ম্যাচের ৮৭ মিনিটে গোল হজম করে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এবারের বিশ্বকাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ খেলেছে। তিনটি ম্যাচেই ইতিবাচক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচ না জিতলেও এটি বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য বড় পাওনা।

এদিকে ম্যাচের প্রথমার্ধের একদম শুরুতেই আক্রমণাত্মক খেলে বাংলাদেশ। মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রাখে ভারতের ডিফেন্ডারদের। ভারতের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের দূরত্ব সংখ্যার দিক দিয়ে ৮৩। ফিফার সর্বশেষ প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৭ নম্বর স্থানে। যেখানে ভারত রয়েছে ১০৪ নম্বরে। কিন্তু খেলায় এই র‌্যাঙ্কিংকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। জামাল ভূঁইয়াদের আক্রমণে ছন্নছাড়া হয়ে যায় ভারতের রক্ষণভাগ। এটিকে দারুণভাবে কাজে লাগায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচের ৪২ মিনিটের মাথায় আসে সেই বহুল কাক্সিক্ষত গোল। জামাল ভূঁইয়ার সেটপিস থেকে অসাধারণ হেড থেকে গোলটি করেন সাদউদ্দিন। গোলটি এমন চোখ জুড়ানো ছিল যে, টিভিতে ধারাভাষ্য দেয়া ধারাভাষ্যকারও গোলটির প্রশংসা না করে পারেননি।

প্রথমার্ধে গোল পাওয়ায় বাংলাদেশ বস কোচ জেমি ডে দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ফরমেশনে পরিবর্তন আনেন। গোল করার চেয়ে তখন গোলরক্ষার দিকে মনোযোগ দেন তিনি। শেষের দিকে এমন অতিরিক্ত ডিফেন্সিভও গোল হজম করার অন্যতম কারণ। বাংলাদেশ যখন রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলায় ব্যস্ত তখন ভারত একটির পর একটি আক্রমণ করতে থাকে।

মঙ্গলবারের ম্যাচসহ ২৯টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। যেখানে ভারত জয় পেয়েছে ১৩টি ম্যাচে। আর বাংলাদেশ জয় পেয়েছে দুটি ম্যাচে। আর বাকি ১৮টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

Tag :

শেয়ার করুন

ভারত-বাংলাদেশ ড্র

আপডেট টাইম : ১০:০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

আদিল খানের নৈপুণ্যে দুর্দান্ত বাংলাদেশকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ভারত। গোল বাঁচানো, গোল করা দুটোই করেছেন ভারতীয় ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আদিল খান। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর বিশ্বকাপের বাছাইয়ে খেলতে নেমেছিল প্রতিবেশী দুই দেশ। এ লড়াইয়ে জেতেনি কেউ। তবে পারফরম্যান্সের দিক বিচার করলে জয় হয়েছে বাংলাদেশের। দুই দল মাঠে নামার আগে ভারতীয় রাশিয়ান কোচ ইগোর স্টিমাক বলেছিলেন বাংলাদেশকে হালকা করে দেখার উপায় নেই। কেন হালকা করে দেখার উপায় নেই তা জেমি ডের শিষ্যরা হারে হারে দেখিয়েছে। বলতে গেলে পুরো কলকাতা স্টেডিয়াম মাতিয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। ম্যাচটিতে দুর্দান্ত খেললেও যেন ভাগ্যটা সহায়ক ছিল না বাংলাদেশের। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৬ মিনিটের মাথায় নাবীব নেওয়াজ জীবনের নিশ্চিত গোল গোলবারে ঢুকে বের করে দেন আদিল খান। এরপর ৫৪ মিনিটের মাথায় ইব্রাহিমের বল বারে লেগে ফিরে আসে। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের না পাওয়া হলো এই দুটো গোল।

ম্যাচের ৪২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ম্যাচের ৮৭ মিনিটে গোল হজম করে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এবারের বিশ্বকাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ খেলেছে। তিনটি ম্যাচেই ইতিবাচক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচ না জিতলেও এটি বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য বড় পাওনা।

এদিকে ম্যাচের প্রথমার্ধের একদম শুরুতেই আক্রমণাত্মক খেলে বাংলাদেশ। মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রাখে ভারতের ডিফেন্ডারদের। ভারতের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের দূরত্ব সংখ্যার দিক দিয়ে ৮৩। ফিফার সর্বশেষ প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৭ নম্বর স্থানে। যেখানে ভারত রয়েছে ১০৪ নম্বরে। কিন্তু খেলায় এই র‌্যাঙ্কিংকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। জামাল ভূঁইয়াদের আক্রমণে ছন্নছাড়া হয়ে যায় ভারতের রক্ষণভাগ। এটিকে দারুণভাবে কাজে লাগায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচের ৪২ মিনিটের মাথায় আসে সেই বহুল কাক্সিক্ষত গোল। জামাল ভূঁইয়ার সেটপিস থেকে অসাধারণ হেড থেকে গোলটি করেন সাদউদ্দিন। গোলটি এমন চোখ জুড়ানো ছিল যে, টিভিতে ধারাভাষ্য দেয়া ধারাভাষ্যকারও গোলটির প্রশংসা না করে পারেননি।

প্রথমার্ধে গোল পাওয়ায় বাংলাদেশ বস কোচ জেমি ডে দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ফরমেশনে পরিবর্তন আনেন। গোল করার চেয়ে তখন গোলরক্ষার দিকে মনোযোগ দেন তিনি। শেষের দিকে এমন অতিরিক্ত ডিফেন্সিভও গোল হজম করার অন্যতম কারণ। বাংলাদেশ যখন রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলায় ব্যস্ত তখন ভারত একটির পর একটি আক্রমণ করতে থাকে।

মঙ্গলবারের ম্যাচসহ ২৯টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। যেখানে ভারত জয় পেয়েছে ১৩টি ম্যাচে। আর বাংলাদেশ জয় পেয়েছে দুটি ম্যাচে। আর বাকি ১৮টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।