কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে-বোন আটক
- আপডেট টাইম : ১২:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯
- / 124
আবারও উত্তাপ ছড়াচ্ছে কাশ্মীর। দুই মাস অবরুদ্ধ থাকার পর সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সব বিধি নিষেধ ওঠছিল, ঠিক তখনই গ্রেনেড হামলাকে কেন্দ্র আবারও উত্তাল হচ্ছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি।
চাঁপা ক্ষোভ নিয়ে থেমে থাকা মানুষগুলো গর্জে ওঠছে রাজপথে। উত্তাল শ্রীনগরে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ধাওয়া করে অনেক নারী বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহর মেয়ে ও বোনও ছিলেন বলে এনডিটিভির এক খবরে জানা গেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শ্রীনগরের লালচকের কাছে প্রতাপ পার্কে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অনেক নারী জড়ো হন। তারা প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করতেই পুলিশ তাদের বিক্ষোভে বাধা দিয়ে এক ডজনেরও বেশি নারীকে আটক করেছে।
বিক্ষোভ থেকে ফারুক আবদুল্লাহর বোন সুরাইয়া আবদুল্লাহ, তার মেয়ে সাফিয়া আবদুল্লাহ খান এবং কাশ্মীরের সাবেক প্রধান বিচারপতি বশির আহমেদ খানের স্ত্রী হাওয়া বশিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদও রয়েছেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে গৃহবন্দী সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহর বোন সুরাইয়া আবদুল্লাহ বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট আমাদের বাড়ির ভেতরে তালাবদ্ধ করে রেখে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছিল। জোর করে বিয়ে দিলেও তো কার্যকর হয় না।’
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা রদ করে কথিত জননিরাপত্তা আইনে উপত্যকার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ এবং তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহকে (তিনিও কাশ্মীরের সাবেক মুখমন্ত্রী) আটক করে মোদি সরকার।
পাশাপাশি কাশ্মীরের আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিসহ রাজ্যের কয়েকশ নেতাকেও আটক বা গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে বাতিল করে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা দেয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
জননিরাপত্তা আইনের (পিএসএ) আওতায় শ্রীনগরে ৮৩ বছর বয়সী ফারুক আবদুল্লাহকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। জননিরাপত্তা আইন (পিএসএ) এমন একটি কঠোর আইন যার অধীনে তিন থেকে ছয় মাস বিনা বিচারে কাউকে আটক করে রাখা সম্ভব।